মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: অনেককে বলতে শুনি, কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া ইসলামে জায়েজ নেই। আবার অনেকে বলেন, কোনো অসুবিধা নেই। কাঁচা বা রান্না করা পেঁয়াজ খাওয়া সম্পর্কে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাই।
হামিদা বেগম, নোয়াখালী
উত্তর: পেঁয়াজ ও রসুন দুটি পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে এর অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ দুটি খাদ্যবস্তু সর্বসম্মতভাবে হালাল। তবে নিষেধাজ্ঞা কেবল কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন খেয়ে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে। মহানবী (সা.) নিজেও পেঁয়াজ-রসুন খেয়েছেন। তবে মুসলমানদের যেহেতু দৈনিক পাঁচবার মসজিদে যেতে হয়, তাই তিনি কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেতে নিরুৎসাহিত করেছেন। তবে কেউ কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেলে তার গুনাহ হবে না, যদি সে মসজিদ বা অন্য জনসমাগমস্থলে যাওয়ার সময় মুখের দুর্গন্ধ দূর করে যায়।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.)-এর সামনে রসুন ও পেঁয়াজ সম্পর্কে আলোচনা হয়। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এ দুটির মধ্যে রসুনের ঝাঁজ বেশি, আপনি কি একে হারাম মনে করেন?’ তখন তিনি বললেন, ‘তোমরা তা খাবে, কিন্তু যে ব্যক্তি তা খাবে, এর দুর্গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত সে যেন মসজিদে না আসে।’ (আবু দাউদ: ৩৭৮০)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, কুররা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এ দুটি গাছ (পেঁয়াজ ও রসুন) সম্পর্কে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এ দুটি জিনিস খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদে না আসে। যদি কোনো কারণবশত তোমাদের তা খেতে হয়, তবে তোমরা তা রান্না করে দুর্গন্ধ দূর করে খাবে।’ (আবু দাউদ: ৩৭৮৪) অন্য হাদিসে এসেছে, খিয়ার ইবনে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন আয়েশা (রা.)কে তিনি পেঁয়াজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) সর্বশেষ যে খাদ্য গ্রহণ করেন, তাতে পেঁয়াজমিশ্রিত ছিল।’ অর্থাৎ রান্না করা পেঁয়াজ। (আবু দাউদ: ৩৭৮৬)
আরেক হাদিসে এসেছে, মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি রসুন খাওয়ার পর মসজিদে যাই, যেখানে রাসুল (সা.) সালাত আদায় করতেন। এ সময় এক রাকাত নামাজ চলে যায়। যখনই আমি মসজিদে প্রবেশ করি, তখন রাসুল (সা.) রসুনের গন্ধ পান। তিনি নামাজ শেষে বললেন, ‘যে ব্যক্তি এ গাছ (পেঁয়াজ-রসুন) খাবে, সে যেন ততক্ষণ আমাদের কাছে না আসে, যতক্ষণ দুর্গন্ধ দূর হয়ে না যায়। (আবু দাউদ: ৩৭৮৩)
মোটকথা, কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া ইসলামে হারাম না হলেও অপছন্দনীয়। তাই তা খেতে নিরুৎসাহিত করা হয়। অবশ্য রান্না করা পেঁয়াজ খেতে শরিয়তে কোনো আপত্তি নেই। আর কেউ যদি কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খায়, সে যেন মসজিদ বা জনসমাগমস্থলে অবশ্যই তার মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে যায়, যাতে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের না হয়। এটি সামাজিক শিষ্টাচারের অংশ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: অনেককে বলতে শুনি, কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া ইসলামে জায়েজ নেই। আবার অনেকে বলেন, কোনো অসুবিধা নেই। কাঁচা বা রান্না করা পেঁয়াজ খাওয়া সম্পর্কে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাই।
হামিদা বেগম, নোয়াখালী
উত্তর: পেঁয়াজ ও রসুন দুটি পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে এর অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ দুটি খাদ্যবস্তু সর্বসম্মতভাবে হালাল। তবে নিষেধাজ্ঞা কেবল কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন খেয়ে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে। মহানবী (সা.) নিজেও পেঁয়াজ-রসুন খেয়েছেন। তবে মুসলমানদের যেহেতু দৈনিক পাঁচবার মসজিদে যেতে হয়, তাই তিনি কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেতে নিরুৎসাহিত করেছেন। তবে কেউ কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেলে তার গুনাহ হবে না, যদি সে মসজিদ বা অন্য জনসমাগমস্থলে যাওয়ার সময় মুখের দুর্গন্ধ দূর করে যায়।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.)-এর সামনে রসুন ও পেঁয়াজ সম্পর্কে আলোচনা হয়। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এ দুটির মধ্যে রসুনের ঝাঁজ বেশি, আপনি কি একে হারাম মনে করেন?’ তখন তিনি বললেন, ‘তোমরা তা খাবে, কিন্তু যে ব্যক্তি তা খাবে, এর দুর্গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত সে যেন মসজিদে না আসে।’ (আবু দাউদ: ৩৭৮০)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, কুররা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এ দুটি গাছ (পেঁয়াজ ও রসুন) সম্পর্কে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এ দুটি জিনিস খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদে না আসে। যদি কোনো কারণবশত তোমাদের তা খেতে হয়, তবে তোমরা তা রান্না করে দুর্গন্ধ দূর করে খাবে।’ (আবু দাউদ: ৩৭৮৪) অন্য হাদিসে এসেছে, খিয়ার ইবনে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন আয়েশা (রা.)কে তিনি পেঁয়াজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) সর্বশেষ যে খাদ্য গ্রহণ করেন, তাতে পেঁয়াজমিশ্রিত ছিল।’ অর্থাৎ রান্না করা পেঁয়াজ। (আবু দাউদ: ৩৭৮৬)
আরেক হাদিসে এসেছে, মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি রসুন খাওয়ার পর মসজিদে যাই, যেখানে রাসুল (সা.) সালাত আদায় করতেন। এ সময় এক রাকাত নামাজ চলে যায়। যখনই আমি মসজিদে প্রবেশ করি, তখন রাসুল (সা.) রসুনের গন্ধ পান। তিনি নামাজ শেষে বললেন, ‘যে ব্যক্তি এ গাছ (পেঁয়াজ-রসুন) খাবে, সে যেন ততক্ষণ আমাদের কাছে না আসে, যতক্ষণ দুর্গন্ধ দূর হয়ে না যায়। (আবু দাউদ: ৩৭৮৩)
মোটকথা, কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া ইসলামে হারাম না হলেও অপছন্দনীয়। তাই তা খেতে নিরুৎসাহিত করা হয়। অবশ্য রান্না করা পেঁয়াজ খেতে শরিয়তে কোনো আপত্তি নেই। আর কেউ যদি কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খায়, সে যেন মসজিদ বা জনসমাগমস্থলে অবশ্যই তার মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে যায়, যাতে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের না হয়। এটি সামাজিক শিষ্টাচারের অংশ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ দিন আগে