ইজাজুল হক, ঢাকা
‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’
‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’ নামের দেয়াললিখনটি করেছেন ক্যালিগ্রাফি শিল্পী উসাইদ মুহাম্মাদ, সঙ্গে ছিলেন মুহাম্মাদ ওমর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো এক জরাজীর্ণ দেয়ালে উসাইদরা এটি উৎকীর্ণ করেন। ওপরে শেওলা ধরা এবং নিচে পলেস্তারা খসে পড়া এই দেয়ালে উসাইদদের রংতুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার বিজয়। লাল দালান ভেদ করে বেরিয়ে এসেছে স্বাধীনতার নতুন সূর্য।
উসাইদ মুহাম্মাদ একজন পেশাদার ক্যালিগ্রাফি শিল্পী। ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা তিনি। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার জামিয়া কোরআনিয়া লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া মাহমুদিয়ায়। ২০১৮ সালে ক্যালিগ্রাফির জগতে পা দেন। রয়েছে একটি ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণ একাডেমিও।
‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’ সম্পর্কে উসাইদ বলেন, ‘মূলত কাজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেখানে আমরা কিছু দুর্বৃত্তের বাধার মুখে পড়ি। আমাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্র-জনতা আমাকে কাজটি করার আমন্ত্রণ জানায়। দেশের মানুষ আমার কাজ পছন্দ করায় ভালো লাগছে। দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।’
‘তারুণ্যের বিজয়’
আরবি হরফের সাধারণ গাঁথুনি দিয়ে গড়ে তোলা নান্দনিক শিল্পকর্ম ‘তারুণ্যের বিজয়’। ঢাকার কেরানীগঞ্জে এটি এঁকেছেন ক্যালিগ্রাফি শিল্পী ইবরাহীম তাহির, সঙ্গে ছিলেন জুনাইদ নামের আরেক তরুণ। ইবরাহীম ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা এবং জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন। কয়েক বছর ধরে তিনি ক্যালিগ্রাফি শিল্পের সঙ্গে রয়েছেন।
কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ব্রিজের পাঁচ নম্বর পিলারে আঁকা এই শিল্পকর্ম জুলুমের শিকল ভেঙে তারুণ্যের জেগে ওঠার এবং বিজয় নিশান উড়ানোর মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশের কথা বলে। শিল্পী ইবরাহীম তাহির বলেন, ‘তারুণ্যের তাজা রক্ত দিয়ে অর্জিত ২০২৪-এর এ বিজয় তরুণদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা।’
এ ছাড়া ‘স্বাধীনতা-২৪’ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আরেকটি শিল্পকর্ম করেছেন ইবরাহীম। গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের নির্মম হত্যার ঘটনাকে তাতে চিত্রিত হয়। দুটিই মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছে। ইবরাহীম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার দেয়াললিখনের প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখে আপ্লুত। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আমাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। সেই দুঃখ কিছুটা লাঘব হলো এখন। হিংসা নয়, আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি।’
‘স্বাধীন বাংলা ২.০’
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ‘স্বাধীন বাংলা ২.০’ নামের এই শিল্পকর্ম। এঁকেছেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা এবং ঢাকার বসুন্ধরা ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের ছাত্র জুনাইদ তাহের। তিনিও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় হেনস্তার শিকার হওয়া শিল্পীদের একজন। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘বাধা দেওয়ার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দেয়ালচিত্র করার কাজে জোয়ার আসে। সেই সূত্রে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির দেয়ালে এ কাজটি সম্পন্ন করি।’
কিছু সাধারণ আরবি হরফের রঙিন ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর লাল-সাদা রঙে ফুটিয়ে তোলা হয় এই শিল্পকর্ম। ক্যালিগ্রাফি নিয়ে ভাবনা জানতে চাইলে জুনাইদ তাহের বলেন, ‘ক্যালিগ্রাফি শিল্পের একটি শাখা। এটি করতে গিয়ে কেন বাধার সম্মুখীন হতে হবে? এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে চাই।’
শিল্পবোদ্ধারা যা বলছেন
বাংলাদেশে যাঁদের হাত ধরে ক্যালিগ্রাফি শিল্প বেশি বিকশিত হয়েছে, তাঁদের একজন শিল্পী মাহবুব মুর্শিদ। অভ্যুত্থান-পরবর্তী মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের করা আলোচিত দেয়াললিখনগুলোর বেশির ভাগই তাঁর শিষ্যরা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্যালিগ্রাফি ও পেইন্টিং শেখাই। এতে সারা দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়, যাদের বেশির ভাগই আবার এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। অভ্যুত্থানের পর তারাও যে দেশকে নান্দনিক আলপনায় রঙিন করার জন্য নেমে পড়েছে, এ জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই।’
আরবি ক্যালিগ্রাফিতে অনেকের আপত্তি প্রসঙ্গে মাহবুব মুর্শিদ বলেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে মাঠে থাকতে না পারলেও তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলাম। অনেকে বাংলা ক্যালিগ্রাফি করেছে। আর যারা আরবি ক্যালিগ্রাফি করেছে, তাতে দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া সবই লেটার কম্পোজিশন, এতে কোরআন-হাদিসের কোনো বাণী নেই। এমন ক্যালিগ্রাফি বিশ্বের সব স্থানে আদৃত। বাংলাদেশেও এটি গ্রহণ করা উচিত।’
ক্যালিগ্রাফি সাম্প্রদায়িক চর্চা কি না জানতে চাইলে মাহবুব মুর্শিদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, শিল্পচর্চায় কোনো জাত-ধর্ম বিবেচ্য নয়। সব ধর্মের মানুষই শিল্পচর্চা করতে পারে। শিল্পীর মনন থাকবে উদার-অহিংস। আমাদের দেশের মানুষের একটা বড় অংশ ধর্মচর্চা করেন। তাঁদেরও শিল্পমন রয়েছে। কিন্তু তারা তা থেকে বঞ্চিত। ক্যালিগ্রাফি শিল্প হতে পারে সেই বঞ্চিত মানুষের শিল্পমাধ্যম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্যালিগ্রাফার তোয়াসীন আরাফাত তোয়াহা বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অসাধারণ সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। যারা মনে করত, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শিল্পকলা থেকে অনেক দূরে, তাদের ভুল ভাঙছে। ফলে তাদের প্রান্তিক করে রাখার চিন্তাও দূর হবে বলে আশা করি। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও এই সৃজনশীলতাকে মানুষের কল্যাণে নিবেদন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’
‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’ নামের দেয়াললিখনটি করেছেন ক্যালিগ্রাফি শিল্পী উসাইদ মুহাম্মাদ, সঙ্গে ছিলেন মুহাম্মাদ ওমর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো এক জরাজীর্ণ দেয়ালে উসাইদরা এটি উৎকীর্ণ করেন। ওপরে শেওলা ধরা এবং নিচে পলেস্তারা খসে পড়া এই দেয়ালে উসাইদদের রংতুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার বিজয়। লাল দালান ভেদ করে বেরিয়ে এসেছে স্বাধীনতার নতুন সূর্য।
উসাইদ মুহাম্মাদ একজন পেশাদার ক্যালিগ্রাফি শিল্পী। ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা তিনি। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার জামিয়া কোরআনিয়া লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া মাহমুদিয়ায়। ২০১৮ সালে ক্যালিগ্রাফির জগতে পা দেন। রয়েছে একটি ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণ একাডেমিও।
‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’ সম্পর্কে উসাইদ বলেন, ‘মূলত কাজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেখানে আমরা কিছু দুর্বৃত্তের বাধার মুখে পড়ি। আমাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্র-জনতা আমাকে কাজটি করার আমন্ত্রণ জানায়। দেশের মানুষ আমার কাজ পছন্দ করায় ভালো লাগছে। দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।’
‘তারুণ্যের বিজয়’
আরবি হরফের সাধারণ গাঁথুনি দিয়ে গড়ে তোলা নান্দনিক শিল্পকর্ম ‘তারুণ্যের বিজয়’। ঢাকার কেরানীগঞ্জে এটি এঁকেছেন ক্যালিগ্রাফি শিল্পী ইবরাহীম তাহির, সঙ্গে ছিলেন জুনাইদ নামের আরেক তরুণ। ইবরাহীম ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা এবং জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন। কয়েক বছর ধরে তিনি ক্যালিগ্রাফি শিল্পের সঙ্গে রয়েছেন।
কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ব্রিজের পাঁচ নম্বর পিলারে আঁকা এই শিল্পকর্ম জুলুমের শিকল ভেঙে তারুণ্যের জেগে ওঠার এবং বিজয় নিশান উড়ানোর মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশের কথা বলে। শিল্পী ইবরাহীম তাহির বলেন, ‘তারুণ্যের তাজা রক্ত দিয়ে অর্জিত ২০২৪-এর এ বিজয় তরুণদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা।’
এ ছাড়া ‘স্বাধীনতা-২৪’ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আরেকটি শিল্পকর্ম করেছেন ইবরাহীম। গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের নির্মম হত্যার ঘটনাকে তাতে চিত্রিত হয়। দুটিই মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছে। ইবরাহীম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার দেয়াললিখনের প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখে আপ্লুত। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আমাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। সেই দুঃখ কিছুটা লাঘব হলো এখন। হিংসা নয়, আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি।’
‘স্বাধীন বাংলা ২.০’
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ‘স্বাধীন বাংলা ২.০’ নামের এই শিল্পকর্ম। এঁকেছেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা এবং ঢাকার বসুন্ধরা ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের ছাত্র জুনাইদ তাহের। তিনিও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় হেনস্তার শিকার হওয়া শিল্পীদের একজন। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘বাধা দেওয়ার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দেয়ালচিত্র করার কাজে জোয়ার আসে। সেই সূত্রে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির দেয়ালে এ কাজটি সম্পন্ন করি।’
কিছু সাধারণ আরবি হরফের রঙিন ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর লাল-সাদা রঙে ফুটিয়ে তোলা হয় এই শিল্পকর্ম। ক্যালিগ্রাফি নিয়ে ভাবনা জানতে চাইলে জুনাইদ তাহের বলেন, ‘ক্যালিগ্রাফি শিল্পের একটি শাখা। এটি করতে গিয়ে কেন বাধার সম্মুখীন হতে হবে? এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে চাই।’
শিল্পবোদ্ধারা যা বলছেন
বাংলাদেশে যাঁদের হাত ধরে ক্যালিগ্রাফি শিল্প বেশি বিকশিত হয়েছে, তাঁদের একজন শিল্পী মাহবুব মুর্শিদ। অভ্যুত্থান-পরবর্তী মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের করা আলোচিত দেয়াললিখনগুলোর বেশির ভাগই তাঁর শিষ্যরা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্যালিগ্রাফি ও পেইন্টিং শেখাই। এতে সারা দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়, যাদের বেশির ভাগই আবার এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। অভ্যুত্থানের পর তারাও যে দেশকে নান্দনিক আলপনায় রঙিন করার জন্য নেমে পড়েছে, এ জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই।’
আরবি ক্যালিগ্রাফিতে অনেকের আপত্তি প্রসঙ্গে মাহবুব মুর্শিদ বলেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে মাঠে থাকতে না পারলেও তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলাম। অনেকে বাংলা ক্যালিগ্রাফি করেছে। আর যারা আরবি ক্যালিগ্রাফি করেছে, তাতে দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া সবই লেটার কম্পোজিশন, এতে কোরআন-হাদিসের কোনো বাণী নেই। এমন ক্যালিগ্রাফি বিশ্বের সব স্থানে আদৃত। বাংলাদেশেও এটি গ্রহণ করা উচিত।’
ক্যালিগ্রাফি সাম্প্রদায়িক চর্চা কি না জানতে চাইলে মাহবুব মুর্শিদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, শিল্পচর্চায় কোনো জাত-ধর্ম বিবেচ্য নয়। সব ধর্মের মানুষই শিল্পচর্চা করতে পারে। শিল্পীর মনন থাকবে উদার-অহিংস। আমাদের দেশের মানুষের একটা বড় অংশ ধর্মচর্চা করেন। তাঁদেরও শিল্পমন রয়েছে। কিন্তু তারা তা থেকে বঞ্চিত। ক্যালিগ্রাফি শিল্প হতে পারে সেই বঞ্চিত মানুষের শিল্পমাধ্যম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্যালিগ্রাফার তোয়াসীন আরাফাত তোয়াহা বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অসাধারণ সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। যারা মনে করত, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শিল্পকলা থেকে অনেক দূরে, তাদের ভুল ভাঙছে। ফলে তাদের প্রান্তিক করে রাখার চিন্তাও দূর হবে বলে আশা করি। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও এই সৃজনশীলতাকে মানুষের কল্যাণে নিবেদন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৪ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৪ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে