মুফতি আবু দারদা
মানুষের অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্যই আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রতি জোর দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থেকো। কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদের সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা ন্যায়বিচার করো। এটি আল্লাহভীতির নিকটতর। আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে সম্পর্কে খবর রাখেন।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
ইসলামি বিধান মতে, সমাজে ন্যায়বিচারের ধারা অব্যাহত রাখা ফরজে কিফায়া। মুসলিম সমাজের একটি অংশ মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত থাকলে অন্যরা দায়মুক্ত হয়ে যাবেন। নতুবা সমাজে সবার ওপর ফরজ ত্যাগের দায় বর্তাবে। হজরত দাউদ (আ.)-কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে দাউদ, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছি। সুতরাং তুমি মানুষের মধ্যে যথাযথভাবে বিচার করো।’ (সুরা সোয়াদ: ২৬)
সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদান
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাক্ষ্যদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই ইসলামি শরিয়তে সাক্ষীর সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার শর্তারোপ করা হয়েছে। ইনসাফপূর্ণ ফয়সালা করতে সাক্ষ্য গ্রহণে বিচারককেও সতর্ক থাকতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা, ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থেকো এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাক্ষ্য দাও, এমনকি সেই সাক্ষ্য তোমাদের নিজেদের অথবা মা-বাবার অথবা নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে গেলেও। যার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে, সে ধনী হোক বা গরিব, আল্লাহই উভয়ের সর্বোত্তম অভিভাবক। প্রবৃত্তির অনুসরণ কোরো না, যাতে তোমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারো। আর তোমরা যদি প্যাঁচানো কথা বলো অথবা সত্যকে এড়িয়ে যাও, তবে মনে রেখো, তোমরা যা করো, সে বিষয়ে আল্লাহ পুরোপুরি অবগত আছেন।’ (সুরা নিসা: ১৩৫)
আদর্শ বিচারকের বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচারের সুফল যাতে জনগণ ভোগ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে ইসলাম বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। বিচারকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে বিচারপ্রার্থীকে তাঁর কাছে পৌঁছাতে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে না। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাঁর কোনো বান্দাকে যদি মুসলমানদের কোনো বিষয়ে শাসন ও দায়িত্বভার অর্পণ করেন, তারপর সেই ব্যক্তি যদি অভাবগ্রস্ত ও অসহায় লোকজনের তার কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করে রাখে, তাহলে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ ও অভাব মোচনের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করে রাখবেন।’ (তিরমিজি)
ইসলামি আইনগ্রন্থ ফতোয়ায়ে শামিতে ইসলামের দৃষ্টিতে আদর্শ বিচারকের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে। যথা—
» বিচারক যেখানেই বিচার করুন না কেন, সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশের অনুমতি থাকতে হবে।
» কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের উপহার নিতে পারবেন না।
» কারও বিশেষ দাওয়াতে অংশ নিতে পারবেন না।
» সব বিষয়ে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের প্রতি সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
» কোনো এক পক্ষের সঙ্গে গোপন আলাপ, উচ্চ স্বরে কথাবার্তা বলা, মুখোমুখি হাসা, তাদের সম্মানার্থে দাঁড়ানো ইত্যাদি আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
» বিচারের মঞ্চে বসে ঠাট্টা-মশকরা করা যাবে না।
» আদালতে বিচারকের সামনে কোনো পক্ষই এমন কথা বলতে পারবে না, যা অন্য পক্ষ বুঝতে অপারগ। (দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম; পৃ. ৫৭১-৫৭২)
বিচারকের অনন্য মর্যাদা
ন্যায়পরায়ণ বিচারকের অনন্য মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে বিচারকাজকে নবী-রাসুলদের কাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নিজেই ন্যায়পরায়ণ বিচারকদের ভালোবাসার কথা ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তুমি বিচার করো, তখন তাদের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে ফয়সালা কোরো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়নিষ্ঠদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়িদা: ৫)
বিচারককে ন্যায়বিচার করার সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হবে। তার পরও তার সিদ্ধান্তে ভুল হওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে দোষণীয় নয়। সিদ্ধান্ত সঠিক হোক কিংবা ভুল, আল্লাহ তাঁকে ন্যায়নিষ্ঠার প্রতিদান অবশ্যই দান করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো বিচারক যখন বিচার করেন এবং বিচারকাজে (সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে) যথাযথ প্রচেষ্টা চালান এবং তাঁর রায় সঠিক হয়, তবে তাঁর জন্য দুটি নেকি। আর তিনি যখন বিচার করেন এবং বিচারকাজে যথাযথ প্রচেষ্টা চালান (ইজতিহাদ করেন) আর তাঁর রায় ভুল হয়, তবে তাঁর জন্য একটি নেকি।’ (বুখারি)
পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকের পরিণাম
ইসলামে বিচারকের মর্যাদা ঘোষণার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে। কারণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সমাজের অন্যতম স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আইনের যথাযথ প্রয়োগে বিচারকদের চৌকস সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিচারকার্যের স্পর্শকাতরতা উল্লেখ করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যাকে মানুষের মধ্যে বিচারক বানানো হলো, তাকে ছুরি ছাড়া জবাই করা হলো।’ (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৪ / ৫০৫)
বিচারকাজে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া এবং অন্যায় ফয়সালা করা পরকালে কঠিন শাস্তির কারণ। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘বিচারকেরা তিন দলে বিভক্ত। একদল জান্নাতি এবং দুই দল জাহান্নামি। যে বিচারক সত্য জেনে সেই মোতাবেক ফয়সালা করে, সে জান্নাতি। আর যে সত্য জানা সত্ত্বেও রায় প্রদানে অন্যায়ের আশ্রয় নেয়, সে জাহান্নামি। আর যে ব্যক্তি অজ্ঞ অবস্থায় বিচারকাজ সম্পাদন করে, সেও জাহান্নামি।’ (আবু দাউদ)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্যই আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রতি জোর দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থেকো। কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদের সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা ন্যায়বিচার করো। এটি আল্লাহভীতির নিকটতর। আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে সম্পর্কে খবর রাখেন।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
ইসলামি বিধান মতে, সমাজে ন্যায়বিচারের ধারা অব্যাহত রাখা ফরজে কিফায়া। মুসলিম সমাজের একটি অংশ মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত থাকলে অন্যরা দায়মুক্ত হয়ে যাবেন। নতুবা সমাজে সবার ওপর ফরজ ত্যাগের দায় বর্তাবে। হজরত দাউদ (আ.)-কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে দাউদ, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছি। সুতরাং তুমি মানুষের মধ্যে যথাযথভাবে বিচার করো।’ (সুরা সোয়াদ: ২৬)
সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদান
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাক্ষ্যদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই ইসলামি শরিয়তে সাক্ষীর সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার শর্তারোপ করা হয়েছে। ইনসাফপূর্ণ ফয়সালা করতে সাক্ষ্য গ্রহণে বিচারককেও সতর্ক থাকতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা, ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থেকো এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাক্ষ্য দাও, এমনকি সেই সাক্ষ্য তোমাদের নিজেদের অথবা মা-বাবার অথবা নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে গেলেও। যার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে, সে ধনী হোক বা গরিব, আল্লাহই উভয়ের সর্বোত্তম অভিভাবক। প্রবৃত্তির অনুসরণ কোরো না, যাতে তোমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারো। আর তোমরা যদি প্যাঁচানো কথা বলো অথবা সত্যকে এড়িয়ে যাও, তবে মনে রেখো, তোমরা যা করো, সে বিষয়ে আল্লাহ পুরোপুরি অবগত আছেন।’ (সুরা নিসা: ১৩৫)
আদর্শ বিচারকের বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচারের সুফল যাতে জনগণ ভোগ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে ইসলাম বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। বিচারকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে বিচারপ্রার্থীকে তাঁর কাছে পৌঁছাতে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে না। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাঁর কোনো বান্দাকে যদি মুসলমানদের কোনো বিষয়ে শাসন ও দায়িত্বভার অর্পণ করেন, তারপর সেই ব্যক্তি যদি অভাবগ্রস্ত ও অসহায় লোকজনের তার কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করে রাখে, তাহলে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ ও অভাব মোচনের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করে রাখবেন।’ (তিরমিজি)
ইসলামি আইনগ্রন্থ ফতোয়ায়ে শামিতে ইসলামের দৃষ্টিতে আদর্শ বিচারকের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে। যথা—
» বিচারক যেখানেই বিচার করুন না কেন, সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশের অনুমতি থাকতে হবে।
» কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের উপহার নিতে পারবেন না।
» কারও বিশেষ দাওয়াতে অংশ নিতে পারবেন না।
» সব বিষয়ে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের প্রতি সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
» কোনো এক পক্ষের সঙ্গে গোপন আলাপ, উচ্চ স্বরে কথাবার্তা বলা, মুখোমুখি হাসা, তাদের সম্মানার্থে দাঁড়ানো ইত্যাদি আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
» বিচারের মঞ্চে বসে ঠাট্টা-মশকরা করা যাবে না।
» আদালতে বিচারকের সামনে কোনো পক্ষই এমন কথা বলতে পারবে না, যা অন্য পক্ষ বুঝতে অপারগ। (দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম; পৃ. ৫৭১-৫৭২)
বিচারকের অনন্য মর্যাদা
ন্যায়পরায়ণ বিচারকের অনন্য মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে বিচারকাজকে নবী-রাসুলদের কাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নিজেই ন্যায়পরায়ণ বিচারকদের ভালোবাসার কথা ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তুমি বিচার করো, তখন তাদের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে ফয়সালা কোরো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়নিষ্ঠদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়িদা: ৫)
বিচারককে ন্যায়বিচার করার সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হবে। তার পরও তার সিদ্ধান্তে ভুল হওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে দোষণীয় নয়। সিদ্ধান্ত সঠিক হোক কিংবা ভুল, আল্লাহ তাঁকে ন্যায়নিষ্ঠার প্রতিদান অবশ্যই দান করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো বিচারক যখন বিচার করেন এবং বিচারকাজে (সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে) যথাযথ প্রচেষ্টা চালান এবং তাঁর রায় সঠিক হয়, তবে তাঁর জন্য দুটি নেকি। আর তিনি যখন বিচার করেন এবং বিচারকাজে যথাযথ প্রচেষ্টা চালান (ইজতিহাদ করেন) আর তাঁর রায় ভুল হয়, তবে তাঁর জন্য একটি নেকি।’ (বুখারি)
পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকের পরিণাম
ইসলামে বিচারকের মর্যাদা ঘোষণার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে। কারণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সমাজের অন্যতম স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আইনের যথাযথ প্রয়োগে বিচারকদের চৌকস সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিচারকার্যের স্পর্শকাতরতা উল্লেখ করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যাকে মানুষের মধ্যে বিচারক বানানো হলো, তাকে ছুরি ছাড়া জবাই করা হলো।’ (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৪ / ৫০৫)
বিচারকাজে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া এবং অন্যায় ফয়সালা করা পরকালে কঠিন শাস্তির কারণ। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘বিচারকেরা তিন দলে বিভক্ত। একদল জান্নাতি এবং দুই দল জাহান্নামি। যে বিচারক সত্য জেনে সেই মোতাবেক ফয়সালা করে, সে জান্নাতি। আর যে সত্য জানা সত্ত্বেও রায় প্রদানে অন্যায়ের আশ্রয় নেয়, সে জাহান্নামি। আর যে ব্যক্তি অজ্ঞ অবস্থায় বিচারকাজ সম্পাদন করে, সেও জাহান্নামি।’ (আবু দাউদ)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
১৭ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
২ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৩ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৪ দিন আগে