মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
আল্লাহর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া মানুষের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য। তাই আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন না এমন সব বিষয় থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মানুষের জন্য বাঞ্ছনীয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
সীমা লঙ্ঘনকারী: যেকোনো বিষয়ে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা, যেমন অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া, কথাবার্তা ও আচরণে অপ্রয়োজনীয় কৃত্রিমতা, উচ্চ স্বরে দোয়া করা, যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করা, এমনকি সামর্থ্যের বাইরে অতিরিক্ত নফল ইবাদত ইত্যাদি সীমা লঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’
(সুরা বাকারা: ১৯০; সুরা মায়িদা: ৮৭; সুরা আরাফ: ৫৫)
জালিম: শিরক করা, পাপাচারে নিমজ্জিত থাকা, অন্যের জানমাল ও সম্ভ্রমে অন্যায় হস্তক্ষেপ, বিচার-ফয়সালায় পক্ষপাতিত্ব, সর্বোপরি ইনসাফ পরিপন্থী যেকোনো কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে জুলুম। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ জালিমদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আলে ইমরান: ৫৭ ও ১৪০; সুরা শুরা: ৪০)
অহংকারী: রাসুল (সা.) বলেন, ‘অহংকার হচ্ছে সত্যের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং (নিজেকে বড় মনে করে) অন্যকে তুচ্ছজ্ঞান করা।’ (মুসলিম) সম্পদ, জ্ঞান ও সামাজিক মর্যাদা মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। কিন্তু এসব পেয়ে যদি কেউ অহংকারী হয়ে ওঠে, আল্লাহ তা সহ্য করেন না। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা নিসা: ৩৬; সুরা লুকমান: ১৮; হাদিদ: ২৩ ও সুরা নাহল: ২৩)
ফাসাদ সৃষ্টিকারী: দুর্নীতি, দল ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক ঝগড়া, চুরি-ডাকাতি, আত্মসাৎ, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, যা সামাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে, পবিত্র কোরআনে সেগুলোকে ‘ফাসাদ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৬৪; সুরা কাসাস: ৭৭)
কাফির: যারা আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ববাদে বিশ্বাসী নয়, আল্লাহ ও রাসুলের বিধানকে অস্বীকার করে, কোরআনের ভাষায় তারা কাফির। আর কাফিরদের আল্লাহ পছন্দ করেন না। (সুরা রুম: ৪৫)
অপচয়কারী: আল্লাহর দেওয়া সময় ও ধন-সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা এমন কাজে ব্যবহার করা, যাতে ইহকালীন বা পরকালীন কোনো কল্যাণ নেই, ইসলামের পরিভাষায় তাকে ইসরাফ বা অপচয় বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আনআম: ১৪১; সুরা আরাফ: ৩১)
আমানতের খিয়ানতকারী: একজনের কাছে গচ্ছিত থাকা অন্যজনের সম্পদ এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা জনগণের সম্পদ নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করা এবং যথাসময়ে যথাযথভাবে আসল মালিকের হাতে তুলে না দেওয়া আমানতের খিয়ানত। এরশাদ হয়েছে ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ খিয়ানতকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আনফাল: ৫৮)
পাপাচারী: আল্লাহ ও রাসুল (সা.) যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তা না করা এবং যা থেকে বারণ করেছেন তা করাই পাপাচার। মানুষ পাপে জড়াবে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঙ্গে সঙ্গে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে নেওয়া জরুরি। তাতে মজে থাকা অনুচিত। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না, যে খিয়ানতকারী ও অত্যধিক পাপী।’ (সুরা নিসা: ১০৭)
অকৃতজ্ঞ: আল্লাহ তাআলা মানুষকে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। এসবের বিনিময়ে তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা আবশ্যক। অনুরূপভাবে কেউ উপকার করলে তার প্রতিদান দেওয়া, না পারলে অন্তত মুখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না, যে খিয়ানতকারী ও অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা হজ: ৩৮)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া মানুষের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য। তাই আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন না এমন সব বিষয় থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মানুষের জন্য বাঞ্ছনীয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
সীমা লঙ্ঘনকারী: যেকোনো বিষয়ে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করা, যেমন অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া, কথাবার্তা ও আচরণে অপ্রয়োজনীয় কৃত্রিমতা, উচ্চ স্বরে দোয়া করা, যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করা, এমনকি সামর্থ্যের বাইরে অতিরিক্ত নফল ইবাদত ইত্যাদি সীমা লঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’
(সুরা বাকারা: ১৯০; সুরা মায়িদা: ৮৭; সুরা আরাফ: ৫৫)
জালিম: শিরক করা, পাপাচারে নিমজ্জিত থাকা, অন্যের জানমাল ও সম্ভ্রমে অন্যায় হস্তক্ষেপ, বিচার-ফয়সালায় পক্ষপাতিত্ব, সর্বোপরি ইনসাফ পরিপন্থী যেকোনো কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে জুলুম। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ জালিমদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আলে ইমরান: ৫৭ ও ১৪০; সুরা শুরা: ৪০)
অহংকারী: রাসুল (সা.) বলেন, ‘অহংকার হচ্ছে সত্যের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং (নিজেকে বড় মনে করে) অন্যকে তুচ্ছজ্ঞান করা।’ (মুসলিম) সম্পদ, জ্ঞান ও সামাজিক মর্যাদা মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। কিন্তু এসব পেয়ে যদি কেউ অহংকারী হয়ে ওঠে, আল্লাহ তা সহ্য করেন না। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা নিসা: ৩৬; সুরা লুকমান: ১৮; হাদিদ: ২৩ ও সুরা নাহল: ২৩)
ফাসাদ সৃষ্টিকারী: দুর্নীতি, দল ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক ঝগড়া, চুরি-ডাকাতি, আত্মসাৎ, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, যা সামাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে, পবিত্র কোরআনে সেগুলোকে ‘ফাসাদ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৬৪; সুরা কাসাস: ৭৭)
কাফির: যারা আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ববাদে বিশ্বাসী নয়, আল্লাহ ও রাসুলের বিধানকে অস্বীকার করে, কোরআনের ভাষায় তারা কাফির। আর কাফিরদের আল্লাহ পছন্দ করেন না। (সুরা রুম: ৪৫)
অপচয়কারী: আল্লাহর দেওয়া সময় ও ধন-সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা এমন কাজে ব্যবহার করা, যাতে ইহকালীন বা পরকালীন কোনো কল্যাণ নেই, ইসলামের পরিভাষায় তাকে ইসরাফ বা অপচয় বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আনআম: ১৪১; সুরা আরাফ: ৩১)
আমানতের খিয়ানতকারী: একজনের কাছে গচ্ছিত থাকা অন্যজনের সম্পদ এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা জনগণের সম্পদ নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করা এবং যথাসময়ে যথাযথভাবে আসল মালিকের হাতে তুলে না দেওয়া আমানতের খিয়ানত। এরশাদ হয়েছে ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ খিয়ানতকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আনফাল: ৫৮)
পাপাচারী: আল্লাহ ও রাসুল (সা.) যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তা না করা এবং যা থেকে বারণ করেছেন তা করাই পাপাচার। মানুষ পাপে জড়াবে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঙ্গে সঙ্গে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে নেওয়া জরুরি। তাতে মজে থাকা অনুচিত। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না, যে খিয়ানতকারী ও অত্যধিক পাপী।’ (সুরা নিসা: ১০৭)
অকৃতজ্ঞ: আল্লাহ তাআলা মানুষকে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। এসবের বিনিময়ে তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা আবশ্যক। অনুরূপভাবে কেউ উপকার করলে তার প্রতিদান দেওয়া, না পারলে অন্তত মুখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না, যে খিয়ানতকারী ও অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা হজ: ৩৮)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
১৯ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
২ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৩ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৪ দিন আগে