মুফতি আবু দারদা
পরকালে জুমার দিনে জান্নাতে আনন্দমেলা বসবে। নবী-রাসুল, শহীদ, সিদ্দিক ও নেককার বান্দারা এই দিনে জান্নাতের সবুজ উপত্যকায় একত্র হবেন। তাঁরা সেখানে সরাসরি দয়াময় আল্লাহর অনেক নিয়ামত লাভ করবেন। ফেরেশতারা এই দিনকে ‘ইয়াউমুল মাজিদ’ বা ‘অনন্য প্রাপ্তির দিন’ নামে আখ্যায়িত করবেন।সাহাবি আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার জুমা প্রসঙ্গে জিবরাইল (আ.)কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়াউমুল মাজিদ কী?’
উত্তরে তিনি বললেন, ‘জান্নাতে আল্লাহ সুঘ্রাণে ভরা এক বিশাল উপত্যকা বানিয়েছেন। এতে সাদা মেশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন আল্লাহ ওই উপত্যকায় নেমে আসবেন। সেখানে নবীদের জন্য সোনার আসন রাখা হবে, শহীদদের জন্য চেয়ার পাতা হবে এবং জান্নাতি হুরেরা নিজ নিজ ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন। এরপর সবাই মিলে আল্লাহর প্রশংসা করবেন।’
‘এরপর আল্লাহ ঘোষণা করবেন, (হে ফেরেশতারা,) আমার বান্দাদের পোশাক পরাও। তাদের বিশেষ পোশাক পরানো হবে। এরপর আল্লাহ আদেশ করবেন, আমার বান্দাদের খাবার পরিবেশন করো। তখন বিশেষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর আল্লাহ বলবেন, আমার বান্দাদের পানীয় দাও। তখন বিশেষ পানীয় পরিবেশন করা হবে। এরপর আল্লাহ আদেশ দেবেন, আমার বান্দাদের খুশবু মেখে দাও। তাদের সুরভি মেখে দেওয়া হবে। এবার আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, (আমার বান্দারা) আমার কাছে কী চাও? তারা বলবেন, হে আমাদের রব, আমরা কেবল আপনার সন্তুষ্টিই চাই। জবাবে আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট।’
তাবারানির বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে, ‘এরপর আল্লাহ তাদের জন্য এমন সব নেয়ামতের দরজা খুলে দেবেন, যা কখনো কোনো চোখ দেখেনি এবং কোনো মন তা ভাবেনি।’
‘এরপর সবাইকে নিজ নিজ ঘরে চলে যেতে বলা হবে। সবাই নিজ নিজ ঘরে চলে যাবেন এবং হুরেরা সবুজ পান্না ও লাল ইয়াকুতের তৈরি ঘরে প্রবেশ করবেন।’
সূত্র: মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৪২২৮; মুজামুল আওসাত: ২১০৫৪।
পরকালে জুমার দিনে জান্নাতে আনন্দমেলা বসবে। নবী-রাসুল, শহীদ, সিদ্দিক ও নেককার বান্দারা এই দিনে জান্নাতের সবুজ উপত্যকায় একত্র হবেন। তাঁরা সেখানে সরাসরি দয়াময় আল্লাহর অনেক নিয়ামত লাভ করবেন। ফেরেশতারা এই দিনকে ‘ইয়াউমুল মাজিদ’ বা ‘অনন্য প্রাপ্তির দিন’ নামে আখ্যায়িত করবেন।সাহাবি আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার জুমা প্রসঙ্গে জিবরাইল (আ.)কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়াউমুল মাজিদ কী?’
উত্তরে তিনি বললেন, ‘জান্নাতে আল্লাহ সুঘ্রাণে ভরা এক বিশাল উপত্যকা বানিয়েছেন। এতে সাদা মেশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন আল্লাহ ওই উপত্যকায় নেমে আসবেন। সেখানে নবীদের জন্য সোনার আসন রাখা হবে, শহীদদের জন্য চেয়ার পাতা হবে এবং জান্নাতি হুরেরা নিজ নিজ ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন। এরপর সবাই মিলে আল্লাহর প্রশংসা করবেন।’
‘এরপর আল্লাহ ঘোষণা করবেন, (হে ফেরেশতারা,) আমার বান্দাদের পোশাক পরাও। তাদের বিশেষ পোশাক পরানো হবে। এরপর আল্লাহ আদেশ করবেন, আমার বান্দাদের খাবার পরিবেশন করো। তখন বিশেষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর আল্লাহ বলবেন, আমার বান্দাদের পানীয় দাও। তখন বিশেষ পানীয় পরিবেশন করা হবে। এরপর আল্লাহ আদেশ দেবেন, আমার বান্দাদের খুশবু মেখে দাও। তাদের সুরভি মেখে দেওয়া হবে। এবার আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, (আমার বান্দারা) আমার কাছে কী চাও? তারা বলবেন, হে আমাদের রব, আমরা কেবল আপনার সন্তুষ্টিই চাই। জবাবে আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট।’
তাবারানির বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে, ‘এরপর আল্লাহ তাদের জন্য এমন সব নেয়ামতের দরজা খুলে দেবেন, যা কখনো কোনো চোখ দেখেনি এবং কোনো মন তা ভাবেনি।’
‘এরপর সবাইকে নিজ নিজ ঘরে চলে যেতে বলা হবে। সবাই নিজ নিজ ঘরে চলে যাবেন এবং হুরেরা সবুজ পান্না ও লাল ইয়াকুতের তৈরি ঘরে প্রবেশ করবেন।’
সূত্র: মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৪২২৮; মুজামুল আওসাত: ২১০৫৪।
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৯ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৯ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৯ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে