রায়হান রাশেদ
ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর ভিন্নতায় এ দেশের রং, ঢং, সাজ-সজ্জায় বিস্তর পরিবর্তন হয়। ঋতুর পালাবদলের ধারাবাহিকতায় শিশিরের হালকা আগমন ও বায়ুর শীতলতায় আসে শীত। নাতিশীতোষ্ণ অগ্রহায়ণের পর শুরু হয় শীত। পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল।
শীতকালে হাড়-কাঁপানো শীতে ভীষণ কষ্ট করে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। দারিদ্র্যের কশাঘাতে কাপড়ের অভাবে বিপন্নতায় পড়ে তারা। শীতের প্রাদুর্ভাবের সময় মোটা জামা কিংবা কম্বলের অভাবে দেশের কোথাও মানুষের মৃত্যুর খবরও আসে। ছিন্নমূল মানুষ, বিশেষ করে শীতের সকালে পথশিশুদের জীর্ণ-শীর্ণ পোশাক সত্যিকারের মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের আদর্শ। দরিদ্র ও এতিমদের পাশে দাঁড়াতে ইসলাম মানুষকে উৎসাহিত করেছে। তাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে প্রভু প্রেমের নিদর্শন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা আল্লাহর প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দরিদ্র, এতিম ও বন্দীদের খাদ্য দান করে।’ (সুরা: দাহর, আয়াত: ৮)
শীতকালে একটু উষ্ণতার জন্য খড়কুটা ও কাগজ জ্বালিয়ে মানুষ তাপ পেতে চায়। শরীরকে উষ্ণ রাখতে চায়। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চায়। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রকোপে নিদারুণ কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লাখো শিশু, বৃদ্ধ ও নারী-পুরুষকে। ওই সব মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা উচিত। শীতের কষ্ট লাঘব করতে তাদের পাশে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব। ওই সব বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো বড় ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে মোমিন অন্য বিবস্ত্র মোমিনকে কাপড় পরিয়ে দিল, মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিয়ে দেবেন। যে মোমিন কোনো ক্ষুধার্ত মুসলমানকে খানা খাওয়ায়, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। আর যে মোমিন কোনো পিপাসার্ত মুসলমানকে পানি পান করায়, আল্লাহ তাকে এমন শরাব পান করাবেন যার ওপর মোহর লাগানো থাকবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৪৪৯)
মানুষ সামাজিক জীব। মানুষকে উপেক্ষা করে মানুষ চলতে পারে না। গরিবের পাশে দাঁড়ানো, অসহায়কে সাহায্য করা, বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করা ইসলামের শিক্ষা। জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা ইসলামের মৌলিক আদর্শ। সৃষ্টির প্রতি দয়া প্রদর্শনে আছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি পেতে হলে মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র হতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করে না, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেন না।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৬০১৩)
আরেক হাদিসে আছে, ‘আল্লাহ তাআলা দয়ালুদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা জমিনে যারা বসবাস করছে, তাদের প্রতি দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস: ৪৯৪১)
মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে গিয়ে বান্দার যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, আল্লাহ তাকে সাত শ গুণ বেশি অর্থের সওয়াব দান করবেন। তার আমলের ঝুলি পুণ্যে ভরপুর করে দেবেন। তার জন্য জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের কষ্টার্জিত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে আল্লাহর কাছে তাদের প্রাপ্য কত বেশি জানো? তাদের প্রাপ্যের উপমা হলো একটি শিষ। যার থেকে সাতটি শিষ হলো, প্রতিটি শিষ থেকে আবার শত শস্য উৎপন্ন হলো; কোনো কোনো শিষে আল্লাহ চাইলে আরও বেশি শস্য দান করেন। আসলে আল্লাহ যাকে দেন হিসাব ছাড়া দেন। তিনি তো মহাজ্ঞানী।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ২৬১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর ভিন্নতায় এ দেশের রং, ঢং, সাজ-সজ্জায় বিস্তর পরিবর্তন হয়। ঋতুর পালাবদলের ধারাবাহিকতায় শিশিরের হালকা আগমন ও বায়ুর শীতলতায় আসে শীত। নাতিশীতোষ্ণ অগ্রহায়ণের পর শুরু হয় শীত। পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল।
শীতকালে হাড়-কাঁপানো শীতে ভীষণ কষ্ট করে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। দারিদ্র্যের কশাঘাতে কাপড়ের অভাবে বিপন্নতায় পড়ে তারা। শীতের প্রাদুর্ভাবের সময় মোটা জামা কিংবা কম্বলের অভাবে দেশের কোথাও মানুষের মৃত্যুর খবরও আসে। ছিন্নমূল মানুষ, বিশেষ করে শীতের সকালে পথশিশুদের জীর্ণ-শীর্ণ পোশাক সত্যিকারের মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের আদর্শ। দরিদ্র ও এতিমদের পাশে দাঁড়াতে ইসলাম মানুষকে উৎসাহিত করেছে। তাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে প্রভু প্রেমের নিদর্শন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা আল্লাহর প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দরিদ্র, এতিম ও বন্দীদের খাদ্য দান করে।’ (সুরা: দাহর, আয়াত: ৮)
শীতকালে একটু উষ্ণতার জন্য খড়কুটা ও কাগজ জ্বালিয়ে মানুষ তাপ পেতে চায়। শরীরকে উষ্ণ রাখতে চায়। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চায়। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রকোপে নিদারুণ কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লাখো শিশু, বৃদ্ধ ও নারী-পুরুষকে। ওই সব মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা উচিত। শীতের কষ্ট লাঘব করতে তাদের পাশে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব। ওই সব বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো বড় ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে মোমিন অন্য বিবস্ত্র মোমিনকে কাপড় পরিয়ে দিল, মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিয়ে দেবেন। যে মোমিন কোনো ক্ষুধার্ত মুসলমানকে খানা খাওয়ায়, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। আর যে মোমিন কোনো পিপাসার্ত মুসলমানকে পানি পান করায়, আল্লাহ তাকে এমন শরাব পান করাবেন যার ওপর মোহর লাগানো থাকবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৪৪৯)
মানুষ সামাজিক জীব। মানুষকে উপেক্ষা করে মানুষ চলতে পারে না। গরিবের পাশে দাঁড়ানো, অসহায়কে সাহায্য করা, বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করা ইসলামের শিক্ষা। জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা ইসলামের মৌলিক আদর্শ। সৃষ্টির প্রতি দয়া প্রদর্শনে আছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি পেতে হলে মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র হতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করে না, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেন না।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৬০১৩)
আরেক হাদিসে আছে, ‘আল্লাহ তাআলা দয়ালুদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা জমিনে যারা বসবাস করছে, তাদের প্রতি দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস: ৪৯৪১)
মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে গিয়ে বান্দার যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, আল্লাহ তাকে সাত শ গুণ বেশি অর্থের সওয়াব দান করবেন। তার আমলের ঝুলি পুণ্যে ভরপুর করে দেবেন। তার জন্য জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের কষ্টার্জিত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে আল্লাহর কাছে তাদের প্রাপ্য কত বেশি জানো? তাদের প্রাপ্যের উপমা হলো একটি শিষ। যার থেকে সাতটি শিষ হলো, প্রতিটি শিষ থেকে আবার শত শস্য উৎপন্ন হলো; কোনো কোনো শিষে আল্লাহ চাইলে আরও বেশি শস্য দান করেন। আসলে আল্লাহ যাকে দেন হিসাব ছাড়া দেন। তিনি তো মহাজ্ঞানী।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ২৬১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১০ ঘণ্টা আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
১ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
২ দিন আগে