ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
ইবাদত দুই প্রকার। শারীরিক ও আর্থিক। ইসলামের মূলনীতি হলো, শারীরিক ইবাদতে প্রতিনিধিত্ব হয় না। তবে হজের মতো রোজা এই নীতির ব্যতিক্রম। হাফেজ ইবনে আবদিল বার (রহ.) বলেন, ‘নামাজের ব্যাপারে সবাই একমত যে কেউ কারও পক্ষ থেকে নামাজ আদায় করবে না, চাই তা ফরজ হোক আর নফল হোক, ব্যক্তি মৃত হোক আর জীবিত হোক। অনুরূপভাবে জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও রোজা আদায় করা যাবে না—এ ব্যাপারে সব ইমাম একমত। কিন্তু মৃত ব্যক্তির জিম্মায় যদি রোজা থাকে, তার বিধান সম্পর্কে আলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।’
আলিমগণ বলেন, মৃত ব্যক্তির জিম্মায় যে রোজা রয়েছে, তার দুটি অবস্থা। এক. কাজার সুযোগ না পেয়ে মারা যাওয়া, সময়ের সংকীর্ণতা অথবা অসুস্থতা অথবা সফরাবস্থা অথবা রোজার অক্ষমতার কারণে কাজার সুযোগ পায়নি, এমতাবস্থায় আলিমগণের মতে, তাঁর পক্ষ থেকে রোজা আদায় করতে হবে না।
দুই. মৃত ব্যক্তি কাজা করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু তা আদায় না করায় তার উত্তরাধিকারের পক্ষ থেকে আদায় করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে মারা গেল অথচ তার রোজা রয়েছে, তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে রোজা রাখবে।’ (বুখারি)।
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা মারা গেছেন, তাঁর জিম্মায় এক মাসের রোজা রয়েছে। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে তা আদায় করব?” তিনি বললেন, “যদি তোমার মায়ের ওপর ঋণ থাকে, তা কি তুমি আদায় করবে?” লোকটি বলল, “হ্যাঁ, অবশ্যই।” মহানবী (সা.) বললেন, “অতএব আল্লাহর ঋণ বেশি হকদার, যা তোমার কাজা করা উচিত।”’ (বুখারি)
সুতরাং উল্লিখিত নিয়মে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে রোজার কাজা আদায় করা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইবাদত দুই প্রকার। শারীরিক ও আর্থিক। ইসলামের মূলনীতি হলো, শারীরিক ইবাদতে প্রতিনিধিত্ব হয় না। তবে হজের মতো রোজা এই নীতির ব্যতিক্রম। হাফেজ ইবনে আবদিল বার (রহ.) বলেন, ‘নামাজের ব্যাপারে সবাই একমত যে কেউ কারও পক্ষ থেকে নামাজ আদায় করবে না, চাই তা ফরজ হোক আর নফল হোক, ব্যক্তি মৃত হোক আর জীবিত হোক। অনুরূপভাবে জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও রোজা আদায় করা যাবে না—এ ব্যাপারে সব ইমাম একমত। কিন্তু মৃত ব্যক্তির জিম্মায় যদি রোজা থাকে, তার বিধান সম্পর্কে আলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।’
আলিমগণ বলেন, মৃত ব্যক্তির জিম্মায় যে রোজা রয়েছে, তার দুটি অবস্থা। এক. কাজার সুযোগ না পেয়ে মারা যাওয়া, সময়ের সংকীর্ণতা অথবা অসুস্থতা অথবা সফরাবস্থা অথবা রোজার অক্ষমতার কারণে কাজার সুযোগ পায়নি, এমতাবস্থায় আলিমগণের মতে, তাঁর পক্ষ থেকে রোজা আদায় করতে হবে না।
দুই. মৃত ব্যক্তি কাজা করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু তা আদায় না করায় তার উত্তরাধিকারের পক্ষ থেকে আদায় করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে মারা গেল অথচ তার রোজা রয়েছে, তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে রোজা রাখবে।’ (বুখারি)।
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা মারা গেছেন, তাঁর জিম্মায় এক মাসের রোজা রয়েছে। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে তা আদায় করব?” তিনি বললেন, “যদি তোমার মায়ের ওপর ঋণ থাকে, তা কি তুমি আদায় করবে?” লোকটি বলল, “হ্যাঁ, অবশ্যই।” মহানবী (সা.) বললেন, “অতএব আল্লাহর ঋণ বেশি হকদার, যা তোমার কাজা করা উচিত।”’ (বুখারি)
সুতরাং উল্লিখিত নিয়মে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে রোজার কাজা আদায় করা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে