মুফতি খালিদ কাসেমি
মনোযোগ ছাড়া নামাজ প্রাণহীন শরীরের মতো। মনোযোগের সঙ্গে আদায় করা নামাজের বিনিময়ে রয়েছে অনেক পুরস্কার। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. দুনিয়া-আখেরাতের সফলতা: মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
দুই. জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হওয়া: দীর্ঘ হাদিসে আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) ওজুর ফজিলত বয়ান করার পর এরশাদ করেন, ‘...এরপর সে যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে, তাঁর যথাযোগ্য মর্যাদা বর্ণনা করে এবং অন্তরকে মহান আল্লাহর জন্য পৃথক করে নেয়, তাহলে সে তার জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
তিন. অতীতের সব গুনাহের ক্ষমা: উসমান (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আমার এই ওজুর মতো ওজু করতে দেখেছি এবং ওজু শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ ওজুর মতো ওজু করবে এবং একান্ত মনোযোগের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম)
চার. গুনাহের কাফফারা: উসমান (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যখন কোনো মুসলমান কোনো ফরজ নামাজের সময় হলে ভালোভাবে নামাজের ওজু করে, নামাজের নিয়ম ও রুকু উত্তমভাবে আদায় করে, তাহলে যতক্ষণ না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হবে, এ নামাজ তার অতীতের সব গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে।’ বর্ণনাকারী বলেন, আর এটি সব যুগের জন্য প্রযোজ্য। (মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মনোযোগ ছাড়া নামাজ প্রাণহীন শরীরের মতো। মনোযোগের সঙ্গে আদায় করা নামাজের বিনিময়ে রয়েছে অনেক পুরস্কার। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. দুনিয়া-আখেরাতের সফলতা: মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
দুই. জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হওয়া: দীর্ঘ হাদিসে আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) ওজুর ফজিলত বয়ান করার পর এরশাদ করেন, ‘...এরপর সে যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে, তাঁর যথাযোগ্য মর্যাদা বর্ণনা করে এবং অন্তরকে মহান আল্লাহর জন্য পৃথক করে নেয়, তাহলে সে তার জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
তিন. অতীতের সব গুনাহের ক্ষমা: উসমান (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আমার এই ওজুর মতো ওজু করতে দেখেছি এবং ওজু শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ ওজুর মতো ওজু করবে এবং একান্ত মনোযোগের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম)
চার. গুনাহের কাফফারা: উসমান (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যখন কোনো মুসলমান কোনো ফরজ নামাজের সময় হলে ভালোভাবে নামাজের ওজু করে, নামাজের নিয়ম ও রুকু উত্তমভাবে আদায় করে, তাহলে যতক্ষণ না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হবে, এ নামাজ তার অতীতের সব গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে।’ বর্ণনাকারী বলেন, আর এটি সব যুগের জন্য প্রযোজ্য। (মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৬ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৬ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে