ইসলাম ডেস্ক
ইসলামের প্রতিটি ইবাদত মানুষের শক্তি-সামর্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখেই প্রণীত। আল্লাহ তাআলা মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ চাপিয়ে দেননি। রোজা ইসলামের অন্যতম শারীরিক ইবাদত। যেকোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষই তা অনায়াসে আদায় করতে পারে। তাই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, সবল ও মানসিকভাবে সুস্থ মুমিনের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তবে বিশেষ কারণে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে ফেলার অবকাশ ইসলামে রয়েছে। এ রকম পাঁচটি কারণের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
১. অসুস্থতা
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা না রাখার সুযোগ আছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, অন্য সময়ে এই সংখ্যা পূরণ করতে হবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪) তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—অসুস্থতা এমন পর্যায়ের হতে হবে, যাতে রোজা রাখলে বড় ধরনের ক্ষতি, কষ্টের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া অথবা সুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একইভাবে কোনো রোগের কারণে কোনো আল্লাহভীরু অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোজা না রাখার পরামর্শ দিলে রোজা ছেড়ে দেওয়া যাবে। তবে পরে তা কাজা করতে হবে।
২. বার্ধক্য
অতিশয় বৃদ্ধ মানুষের যদি রোজা রাখার শারীরিক সামর্থ্য না থাকে, তবে তাদের রোজা না রাখার অবকাশ দিয়েছে ইসলাম। যদি এমন হয় যে বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ বছরের কোনো সময় (দিন ছোট বা বড় হোক, শীত বা গ্রীষ্ম হোক) রোজা কাজা করতে পারবে না, তাহলে তারা ফিদয়া আদায় করবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রোজার কারণে যাদের খুব বেশি কষ্ট হয়, তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদয়াস্বরূপ একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এমন বৃদ্ধ পুরুষ ও নারী, যাদের রোজা রাখার সামর্থ্য নেই, তারা প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন অভাবগ্রস্তকে খাবার খাওয়াবে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)
৩. বিপদ
অনিবার্য কারণে বিপদের হাত থেকে বাঁচতে কখনো কখনো রোজা না রাখার অবকাশ আছে। যেমন—ডুবে যাওয়া বা আগুনে পোড়া ব্যক্তির চিকিৎসা রোজা ভঙ্গ না করলে করা সম্ভব হয় না। তবে এমন ব্যক্তিকেও পরে রোজা কাজা করতে হবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রোজা রেখে মক্কার উদ্দেশে সফর করছিলাম। আমরা একজন এক জায়গায় যাত্রাবিরতি দিলাম, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের শত্রুর নিকটবর্তী হয়েছ। রোজা ভঙ্গ করাই তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে।’ (মুসলিম: ১১২০)
৪. গর্ভধারণ ও স্তন্যদান
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী যদি নিজের ও সন্তানের ব্যাপারে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা করেন, তবে তার জন্য রোজা না রাখার অবকাশ রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুসাফিরের জন্য রোজা ও অর্ধেক নামাজ ছাড় দিয়েছেন এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীর জন্য রোজার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন।’ (সুনানে নাসায়ি: ২৩১৫) তবে পরে রোজা কাজা করতে হবে। আর ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলে তার জন্য রোজা ছেড়ে দেওয়া জায়েজ হবে না।
৫. ভ্রমণ
ভ্রমণরত ব্যক্তির জন্য রমজানের রোজা না রাখার অবকাশ আছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করতে হবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
তবে শর্ত হলো, তাকে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির হতে হবে। ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে ভ্রমণ করার নিয়তে নিজের শহর ত্যাগ করার পর থেকে যেকোনো ব্যক্তি ইসলামে মুসাফির হিসেবে গণ্য হন। গন্তব্যস্থলে ১৫ দিনের কম সময় অবস্থান করার নিয়ত করলে সেখানে গিয়েও মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন। মুসাফির ব্যক্তি রোজা ভাঙলে পরবর্তী সময়ে তা কাজা করে নিতে হবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমরা রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সফর করেছি। তখন রোজাদার ব্যক্তি রোজা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তিকে এবং রোজা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তি রোজাদার ব্যক্তিকে দোষারোপ করেনি।’ (বুখারি: ১৯৪৭)
এ ছাড়া ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব চলাকালীন নারীরা রোজা রাখবেন না। এই সময়ে রোজা রাখা যাবে না। পরে কাজা করে নিতে হবে।
ইসলামের প্রতিটি ইবাদত মানুষের শক্তি-সামর্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখেই প্রণীত। আল্লাহ তাআলা মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ চাপিয়ে দেননি। রোজা ইসলামের অন্যতম শারীরিক ইবাদত। যেকোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষই তা অনায়াসে আদায় করতে পারে। তাই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, সবল ও মানসিকভাবে সুস্থ মুমিনের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তবে বিশেষ কারণে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে ফেলার অবকাশ ইসলামে রয়েছে। এ রকম পাঁচটি কারণের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
১. অসুস্থতা
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা না রাখার সুযোগ আছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, অন্য সময়ে এই সংখ্যা পূরণ করতে হবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪) তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—অসুস্থতা এমন পর্যায়ের হতে হবে, যাতে রোজা রাখলে বড় ধরনের ক্ষতি, কষ্টের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া অথবা সুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একইভাবে কোনো রোগের কারণে কোনো আল্লাহভীরু অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোজা না রাখার পরামর্শ দিলে রোজা ছেড়ে দেওয়া যাবে। তবে পরে তা কাজা করতে হবে।
২. বার্ধক্য
অতিশয় বৃদ্ধ মানুষের যদি রোজা রাখার শারীরিক সামর্থ্য না থাকে, তবে তাদের রোজা না রাখার অবকাশ দিয়েছে ইসলাম। যদি এমন হয় যে বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ বছরের কোনো সময় (দিন ছোট বা বড় হোক, শীত বা গ্রীষ্ম হোক) রোজা কাজা করতে পারবে না, তাহলে তারা ফিদয়া আদায় করবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রোজার কারণে যাদের খুব বেশি কষ্ট হয়, তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদয়াস্বরূপ একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এমন বৃদ্ধ পুরুষ ও নারী, যাদের রোজা রাখার সামর্থ্য নেই, তারা প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন অভাবগ্রস্তকে খাবার খাওয়াবে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)
৩. বিপদ
অনিবার্য কারণে বিপদের হাত থেকে বাঁচতে কখনো কখনো রোজা না রাখার অবকাশ আছে। যেমন—ডুবে যাওয়া বা আগুনে পোড়া ব্যক্তির চিকিৎসা রোজা ভঙ্গ না করলে করা সম্ভব হয় না। তবে এমন ব্যক্তিকেও পরে রোজা কাজা করতে হবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রোজা রেখে মক্কার উদ্দেশে সফর করছিলাম। আমরা একজন এক জায়গায় যাত্রাবিরতি দিলাম, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের শত্রুর নিকটবর্তী হয়েছ। রোজা ভঙ্গ করাই তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে।’ (মুসলিম: ১১২০)
৪. গর্ভধারণ ও স্তন্যদান
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী যদি নিজের ও সন্তানের ব্যাপারে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা করেন, তবে তার জন্য রোজা না রাখার অবকাশ রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুসাফিরের জন্য রোজা ও অর্ধেক নামাজ ছাড় দিয়েছেন এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীর জন্য রোজার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন।’ (সুনানে নাসায়ি: ২৩১৫) তবে পরে রোজা কাজা করতে হবে। আর ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলে তার জন্য রোজা ছেড়ে দেওয়া জায়েজ হবে না।
৫. ভ্রমণ
ভ্রমণরত ব্যক্তির জন্য রমজানের রোজা না রাখার অবকাশ আছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করতে হবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
তবে শর্ত হলো, তাকে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির হতে হবে। ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে ভ্রমণ করার নিয়তে নিজের শহর ত্যাগ করার পর থেকে যেকোনো ব্যক্তি ইসলামে মুসাফির হিসেবে গণ্য হন। গন্তব্যস্থলে ১৫ দিনের কম সময় অবস্থান করার নিয়ত করলে সেখানে গিয়েও মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন। মুসাফির ব্যক্তি রোজা ভাঙলে পরবর্তী সময়ে তা কাজা করে নিতে হবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমরা রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সফর করেছি। তখন রোজাদার ব্যক্তি রোজা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তিকে এবং রোজা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তি রোজাদার ব্যক্তিকে দোষারোপ করেনি।’ (বুখারি: ১৯৪৭)
এ ছাড়া ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব চলাকালীন নারীরা রোজা রাখবেন না। এই সময়ে রোজা রাখা যাবে না। পরে কাজা করে নিতে হবে।
এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৮ ঘণ্টা আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগে