মুফতি আবু দারদা
ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
১০ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগে