ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আরবি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ শব্দদ্বয়ের অর্থ ‘নবীদের জীবন’। মৃত্যুর পর কবরে নবীদের বিশেষ জীবন লাভ করাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ বলা হয়। মৃত্যুর পর সব নবীরই কবরে বিশেষ জীবন দান করা হয়—এ অর্থে তাঁরা জীবিত। বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। অর্থাৎ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার মাধ্যমে তাঁদের দুনিয়ার জীবনের ইতি ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০) তবে মৃত্যুর পর তাঁরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জীবন লাভ করেছেন। তাই তাঁরা কবরে জীবিত।
নবীদের কবরের বিশেষ জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো, কবরের জীবনে সাধারণ মুমিন ও শহীদদের জীবন থেকে নবীদের জীবন পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত। এ ছাড়া দুনিয়ার জীবনের সঙ্গে কবরের জীবনের কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। যেমন কবরে তাঁদের পবিত্র দেহ সুরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। তাঁদের কবরের কাছে গিয়ে দরুদ-সালাম পেশ করলে তাঁরা তা সরাসরি শোনেন। দূর থেকে কেউ দরুদ-সালাম পাঠালে ফেরেশতারা তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা বিশেষ রিজিকপ্রাপ্ত হন। ইমাম বায়হাকি (রহ.) ‘আল ইতিকাদ’ গ্রন্থে বলেন, ‘সব নবীর জান কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের মতো রবের কাছে জীবিত।’ (আল ইতিকাদ, পৃ. ৪১৫; আত-তালখিসুল হাবির: ২ / ২৫৪; আল-বাদরুল মুনির: ৫ / ২৯২)
কবরের জগতে সব মানুষের একধরনের জীবন আছে। তবে কোরআনে সাধারণ মানুষ কবরে জীবিত—এমন কথা বলা হয়নি। অবশ্য শহীদদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শহীদদের জীবন সাধারণের চেয়ে উন্নত ও ভিন্নতর। শহীদদের জীবিত থাকার অর্থ শুধু রুহের জীবন নয়; দেহের সঙ্গে এ জীবনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁরা রিজিকপ্রাপ্ত হন। তবে এ জীবনের ধরন উপলব্ধি করা যায় না।
নবীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে শহীদদের চেয়ে বেশি। কাজেই নবীদের জীবন শহীদদের চেয়ে বেশি উন্নত।
ইসলামি বিশ্বাস মোতাবেক নবীগণ কবরে জীবিত। তাঁরা কবরে নামাজ আদায় করেন। কোন নামাজ বা কত রাকাত আদায় করেন তা জানা না গেলেও নামাজ আদায় করার বিষয়টি হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নবীগণ কবরে জীবিত, তাঁরা নামাজ আদায় করেন।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া, বায়হাকি: ১-৪)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তাঁর কবরে সশরীরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। নবী (সা.) কবরের অবস্থানটিও উল্লেখ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি মিরাজের রাতে (বায়তুল মাকদিসের পাশে) লাল বালুর ঢিবির কাছে মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি। তখন তিনি তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন।’ (মুসলিম: ২৩৪৭)
নবীদের শরীর মাটির জন্য হারাম। তাঁরা কবরে সশরীরে জীবিত থাকেন। আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হলো—জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সব প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরুদ ও সালাম পাঠাও। তোমাদের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পেশ করা হবে।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আমাদের দরুদ ও সালাম আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে—অথচ আপনি (মাটির সঙ্গে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবেন?’ নবী (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ কবরে নবীদের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতোই অক্ষত থাকে। এর সঙ্গে আত্মার গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও দরুদ ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। (আবু দাউদ: ১০৪৭; ইবনে খুজাইমা: ১৭৩৩; মুসতাদরাকে হাকিম: ১০২৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৬১৬২) হাদিসটি ভিন্ন সনদে আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।’ (ইবনে মাযাহ: ১৬৩৭)
কবরের পাশ থেকে সালাত ও সালাম পেশ করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। প্রশ্ন হতে পারে, মাটির নিচ থেকে সালাম কী করে শোনেন? এর উত্তর হলো—প্রথমত, এটি কবর জীবনের বিষয়। হাদিসে সালাত ও সালাম শুনতে পাওয়ার কথা এসেছে, তাই তা বিশ্বাস করতে হবে। তবে কীভাবে শোনেন, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। দ্বিতীয়ত, নবী (সা.) দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায়ও অনেক সময় মাটির নিচে কবরে সংঘটিত আজাব শুনতে পেয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমার কবরের পাশে আমার ওপর সালাত পেশ করে, আমি তা শুনি। আর যে দূর থেকে আমার ওপর দরুদ পড়ে, তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়।’ (ফাতহুল বারি: ৬ / ৬০৫; আল-কাওলুল বাদি, পৃ. ১৬০)
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আমাদের মহানবী (সা.)ও কবরে সশরীরে জীবিত। এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। যে কেউ তাঁকে সালাম দিলে তিনি উত্তর দেন। দিনরাত সর্বাবস্থায়ই কবরের কাছ ও দূর থেকে নবী (সা.)-এর ওপর সালাত ও সালাম অব্যাহত থাকে। সারাক্ষণ কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে সালাত ও সালাম পেশ করতে থাকে। আর নবী (সা.) তার উত্তর দিতে থাকেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(মৃত্যুর পর) যে আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় পাবে যে আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর আগেই) রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রুহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই। (আবু দাউদ: ২০৪১)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২০ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
২০ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
২০ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে