আবরার নাঈম
প্রতিটি কাজেই কিছু নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলা থাকে, থাকে কিছু শিষ্টাচার। যা যথাযথভাবে মেনে চললে কাজ হয় সুন্দর ও পরিপাটি। মজলিসে বসারও কিছু আদব রয়েছে। নিচে অতিসংক্ষেপে তা উল্লেখ করা হলো।
১. মজলিস থেকে উঠে গিয়ে ফিরে এলে আগের স্থানে বসার সুযোগ দেওয়া: কেউ কোনো কারণে মজলিস থেকে উঠে গিয়ে আবার সেই স্থানে ফিরে এলে ওই ব্যক্তিই সেখানে বসার অধিক হকদার। এটিই মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিস থেকে উঠে গিয়ে আবার সেখানে ফিরে এলে, সে তার পূর্বোক্ত স্থানে বসার অধিক হকদার।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১১৪৮)
২. কাউকে আসন থেকে উঠিয়ে না দেওয়া: আগে থেকে কেউ মজলিসের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় বসলে ক্ষমতাবলে তাকে সেখান থেকে উঠিয়ে না দেওয়াই ইসলামি রীতি। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন অন্য ব্যক্তিকে তার বসার স্থান থেকে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সেখানে না বসে। বরং তোমরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে জায়গা প্রশস্ত করে বসো।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১১৫০)
৩. খালি জায়গা পেলে বসে যাওয়া: এক সাহাবি বলেন, আমরা নবী (সা.)-এর মজলিসে এসে যেখানে জায়গা (খালি) পাওয়া যেত, আমাদের যে কেউ সেখানে বসে যেত।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১১৫১)
৪. মজলিস শেষে দোয়া পড়া: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক মজলিসে বসে প্রয়োজন ছাড়া অনেক কথাবার্তা বলেছে, সে ওই মজলিস থেকে উঠে যাওয়ার আগে যদি বলে—হে আল্লাহ, তুমি পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য; আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই, তোমার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে ওই মজলিসে তার যে গুনাহ হয়েছিল, তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৩৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ঢাকা
প্রতিটি কাজেই কিছু নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলা থাকে, থাকে কিছু শিষ্টাচার। যা যথাযথভাবে মেনে চললে কাজ হয় সুন্দর ও পরিপাটি। মজলিসে বসারও কিছু আদব রয়েছে। নিচে অতিসংক্ষেপে তা উল্লেখ করা হলো।
১. মজলিস থেকে উঠে গিয়ে ফিরে এলে আগের স্থানে বসার সুযোগ দেওয়া: কেউ কোনো কারণে মজলিস থেকে উঠে গিয়ে আবার সেই স্থানে ফিরে এলে ওই ব্যক্তিই সেখানে বসার অধিক হকদার। এটিই মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিস থেকে উঠে গিয়ে আবার সেখানে ফিরে এলে, সে তার পূর্বোক্ত স্থানে বসার অধিক হকদার।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১১৪৮)
২. কাউকে আসন থেকে উঠিয়ে না দেওয়া: আগে থেকে কেউ মজলিসের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় বসলে ক্ষমতাবলে তাকে সেখান থেকে উঠিয়ে না দেওয়াই ইসলামি রীতি। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন অন্য ব্যক্তিকে তার বসার স্থান থেকে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সেখানে না বসে। বরং তোমরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে জায়গা প্রশস্ত করে বসো।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১১৫০)
৩. খালি জায়গা পেলে বসে যাওয়া: এক সাহাবি বলেন, আমরা নবী (সা.)-এর মজলিসে এসে যেখানে জায়গা (খালি) পাওয়া যেত, আমাদের যে কেউ সেখানে বসে যেত।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১১৫১)
৪. মজলিস শেষে দোয়া পড়া: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক মজলিসে বসে প্রয়োজন ছাড়া অনেক কথাবার্তা বলেছে, সে ওই মজলিস থেকে উঠে যাওয়ার আগে যদি বলে—হে আল্লাহ, তুমি পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য; আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই, তোমার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে ওই মজলিসে তার যে গুনাহ হয়েছিল, তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৩৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ঢাকা
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৯ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৯ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৯ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে