মুফতি খালিদ কাসেমি
কুরআন মহান আল্লাহর শাশ্বত বাণী। মানব জাতির জীবনবিধান। এই কিতাব সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তাআলা গ্রহণ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমিই এর সংরক্ষক।’ (সুরা হিজর: ৯) এ কারণেই অবতীর্ণ হওয়ার দীর্ঘকাল পরও কুরআনের কোনো শব্দ কিংবা হরকতে সামান্যতম পরিবর্তন ঘটেনি এবং কেয়ামত পর্যন্তও ঘটবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে নির্দিষ্ট পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করা ফরজ। তাই প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কুরআন শুদ্ধভাবে পড়া আবশ্যক, যাতে অর্থ বিকৃত না হয়। কারণ, তিলাওয়াতের সময় অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙে যায়। তাই কমপক্ষে নামাজের জন্য যে সুরাগুলো প্রয়োজন, সেগুলো শুদ্ধ করে নেওয়া জরুরি, নতুবা কঠিন গুনাহগার হতে হবে।
কুরআন-হাদিসে শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াতের অনেক তাগিদ এসেছে। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর কুরআন তিলাওয়াত করো ধীরে ধীরে এরং সুস্পষ্টভাবে।’ (সুরা মুজজাম্মিল: ৪) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরকারগণ বলেন, প্রতিটি হরফ বিশুদ্ধভাবে আরবি উচ্চারণনীতি অনুযায়ী উচ্চারণ করতে হবে।
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘যাদের আমি কিতাব দিয়েছি, তারা যখন যেভাবে তিলাওয়াত করা উচিত সেভাবে তিলাওয়াত করে, তখন তারাই তার প্রতি (প্রকৃত) ইমান রাখে।’ (সুরা বাকারা: ১২১) অর্থাৎ, যারা শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াত করে এবং আয়াতের শিক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এবং তদনুযায়ী আমল করে, তারাই প্রকৃত মুমিন।
নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা কুরআনকে সুমিষ্ট স্বরে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে পড়বে। কারণ, সুমিষ্ট স্বর কুরআনের সৌন্দর্য বাড়ায়।’ (শুআবুল ইমান) তাই দ্রুত, অস্পষ্ট এবং অশুদ্ধ উচ্চারণে কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত নয়। বরং ধীরগতিতে, সুস্পষ্টভাবে ও শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াত করা কাম্য। এর জন্য প্রথমে বিশুদ্ধভাবে কুরআন শেখা জরুরি।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
কুরআন মহান আল্লাহর শাশ্বত বাণী। মানব জাতির জীবনবিধান। এই কিতাব সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তাআলা গ্রহণ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমিই এর সংরক্ষক।’ (সুরা হিজর: ৯) এ কারণেই অবতীর্ণ হওয়ার দীর্ঘকাল পরও কুরআনের কোনো শব্দ কিংবা হরকতে সামান্যতম পরিবর্তন ঘটেনি এবং কেয়ামত পর্যন্তও ঘটবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে নির্দিষ্ট পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করা ফরজ। তাই প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কুরআন শুদ্ধভাবে পড়া আবশ্যক, যাতে অর্থ বিকৃত না হয়। কারণ, তিলাওয়াতের সময় অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙে যায়। তাই কমপক্ষে নামাজের জন্য যে সুরাগুলো প্রয়োজন, সেগুলো শুদ্ধ করে নেওয়া জরুরি, নতুবা কঠিন গুনাহগার হতে হবে।
কুরআন-হাদিসে শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াতের অনেক তাগিদ এসেছে। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর কুরআন তিলাওয়াত করো ধীরে ধীরে এরং সুস্পষ্টভাবে।’ (সুরা মুজজাম্মিল: ৪) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরকারগণ বলেন, প্রতিটি হরফ বিশুদ্ধভাবে আরবি উচ্চারণনীতি অনুযায়ী উচ্চারণ করতে হবে।
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘যাদের আমি কিতাব দিয়েছি, তারা যখন যেভাবে তিলাওয়াত করা উচিত সেভাবে তিলাওয়াত করে, তখন তারাই তার প্রতি (প্রকৃত) ইমান রাখে।’ (সুরা বাকারা: ১২১) অর্থাৎ, যারা শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াত করে এবং আয়াতের শিক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এবং তদনুযায়ী আমল করে, তারাই প্রকৃত মুমিন।
নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা কুরআনকে সুমিষ্ট স্বরে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে পড়বে। কারণ, সুমিষ্ট স্বর কুরআনের সৌন্দর্য বাড়ায়।’ (শুআবুল ইমান) তাই দ্রুত, অস্পষ্ট এবং অশুদ্ধ উচ্চারণে কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত নয়। বরং ধীরগতিতে, সুস্পষ্টভাবে ও শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াত করা কাম্য। এর জন্য প্রথমে বিশুদ্ধভাবে কুরআন শেখা জরুরি।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে