আবদুল আযীয কাসেমি
প্রশ্ন: ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া যাবে কি? ঘুষের লেনদেনে কেমন গুনাহ হবে? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ফরিদপুর থেকে।
উত্তর: ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। ইসলামে ঘুষ গ্রহণ কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
হাদিসে এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে। সাহাবি আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়কে অভিশাপ দিয়েছেন।’ (তিরমিজি: ৬ / ৩১৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত সাওবান (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ঘুষদাতা ঘুষগ্রহীতা এবং এদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন।’ (আহমদ: ২২৩৯৯)
নাসায়ির এক হাদিস থেকে জানা যায়, বিচারক যখন কারও কাছ থেকে হাদিয়া নেন, সেটা আর হাদিয়া থাকে না; সেটা ঘুষ হয়ে যায়। তিনি যদি এ হাদিয়া ভোগ করেন, তবে তিনি হারাম সম্পদ ভোগ করবেন। এটা তাঁকে কুফর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঘুষ এমন এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছে অনৈতিকতা ও দুর্নীতির বীজ। এর ফলে অনেক যোগ্য মানুষ কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং অনেক অযোগ্য লোক অর্থ ও স্বজনপ্রীতির বলে বিভিন্ন পদ পেয়ে যাচ্ছেন। শরিয়ত, মানবতা ও দেশীয় আইন—সবদিক থেকেই বিষয়টি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া বৈধ নয়।
অন্যায় সুবিধা গ্রহণের জন্য সব ধরনের সুবিধা ও আর্থিক লেনদেনকেই ঘুষের অন্তর্ভুক্ত করে ইসলাম। তা যে নামেই প্রচলিত থাকুক না কেন। হাদিয়া, বকশিশ, উপরি আয়, অফিস খরচ, চা-নাশতার খরচ—যে নামেই ডাকুন, ইসলামে তা ঘুষ হিসেবেই গণ্য হবে। রাসুল (সা.)-এর দরবারে এক কর্মচারী কিছু সম্পদ এনে (সেখান থেকে কিছু আলাদা করে) বলল, ‘এটা আপনাদের (বায়তুল মাল) সম্পদ আর এটি আমাকে দেওয়া হাদিয়া।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সে তার মা-বাবার ঘরে বসে থাকল না কেন—তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না?’ (বুখারি)
ঘুষের কারণে বড় বড় পদে অযোগ্যরা বসে যাচ্ছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। তাই ইসলামে ঘুষের লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘুষের মতো অবৈধ আয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ইবাদত কবুল করবেন না আল্লাহ তাআলা। হাদিসে এসেছে, ‘বৈধ আয়ের ইবাদত ছাড়া কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে পৌঁছানো হবে না।’ (মুসলিম)
উত্তর দিয়েছেন, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
প্রশ্ন: ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া যাবে কি? ঘুষের লেনদেনে কেমন গুনাহ হবে? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ফরিদপুর থেকে।
উত্তর: ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। ইসলামে ঘুষ গ্রহণ কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
হাদিসে এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে। সাহাবি আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়কে অভিশাপ দিয়েছেন।’ (তিরমিজি: ৬ / ৩১৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত সাওবান (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ঘুষদাতা ঘুষগ্রহীতা এবং এদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন।’ (আহমদ: ২২৩৯৯)
নাসায়ির এক হাদিস থেকে জানা যায়, বিচারক যখন কারও কাছ থেকে হাদিয়া নেন, সেটা আর হাদিয়া থাকে না; সেটা ঘুষ হয়ে যায়। তিনি যদি এ হাদিয়া ভোগ করেন, তবে তিনি হারাম সম্পদ ভোগ করবেন। এটা তাঁকে কুফর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঘুষ এমন এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছে অনৈতিকতা ও দুর্নীতির বীজ। এর ফলে অনেক যোগ্য মানুষ কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং অনেক অযোগ্য লোক অর্থ ও স্বজনপ্রীতির বলে বিভিন্ন পদ পেয়ে যাচ্ছেন। শরিয়ত, মানবতা ও দেশীয় আইন—সবদিক থেকেই বিষয়টি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া বৈধ নয়।
অন্যায় সুবিধা গ্রহণের জন্য সব ধরনের সুবিধা ও আর্থিক লেনদেনকেই ঘুষের অন্তর্ভুক্ত করে ইসলাম। তা যে নামেই প্রচলিত থাকুক না কেন। হাদিয়া, বকশিশ, উপরি আয়, অফিস খরচ, চা-নাশতার খরচ—যে নামেই ডাকুন, ইসলামে তা ঘুষ হিসেবেই গণ্য হবে। রাসুল (সা.)-এর দরবারে এক কর্মচারী কিছু সম্পদ এনে (সেখান থেকে কিছু আলাদা করে) বলল, ‘এটা আপনাদের (বায়তুল মাল) সম্পদ আর এটি আমাকে দেওয়া হাদিয়া।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সে তার মা-বাবার ঘরে বসে থাকল না কেন—তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না?’ (বুখারি)
ঘুষের কারণে বড় বড় পদে অযোগ্যরা বসে যাচ্ছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। তাই ইসলামে ঘুষের লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘুষের মতো অবৈধ আয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ইবাদত কবুল করবেন না আল্লাহ তাআলা। হাদিসে এসেছে, ‘বৈধ আয়ের ইবাদত ছাড়া কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে পৌঁছানো হবে না।’ (মুসলিম)
উত্তর দিয়েছেন, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
১ দিন আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
২ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৩ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৪ দিন আগে