মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
এমএলএম ব্যবসার পদ্ধতি
মাল্টিলেভেল মার্কেটিং তথা এমএলএম ব্যবসার সাধারণ পদ্ধতি হলো, কোম্পানি পণ্য বিক্রয় বা সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে পরিবেশক নিয়োগ দেয়। অর্থাৎ কেউ কোনো এমএলএম কোম্পানির পরিবেশক হতে চাইলে তাঁকে নির্ধারিত মূল্যে তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাদের পরিবেশক হওয়ার অধিকার অর্জন করেন। এ জন্য এমএলএম ব্যবসার কর্মীদের উপাধি ক্রেতা-পরিবেশক। ক্রেতা-পরিবেশক হওয়ার পর তিনি যদি আরও দুজনকে কোম্পানির নিয়ম অনুসারে ক্রেতা-পরিবেশক বানান, তাহলে তিনি এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। এরপর ওই দুই ব্যক্তি যদি দুজন করে চার ব্যক্তিকে ক্রেতা-পরিবেশক বানান, তাহলে ওই দুই ব্যক্তির পাশাপাশি প্রথম ব্যক্তিও কমিশন পাবেন। এভাবে ওপরের স্তরের ক্রেতা-পরিবেশকগণ নিম্নস্তরের ক্রেতা-পরিবেশকদের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে থাকেন।
নাজায়েজ হওয়ার কারণ
ব্যবসার এই পদ্ধতি ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কারণ কোরআন-হাদিসের যেসব মূলনীতির ভিত্তিতে ইসলামে কোনো ক্রয়-বিক্রয়কে হারাম সাব্যস্ত করা হয়, এর মধ্য থেকে একাধিক মূলনীতি এমএলএম ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নিচে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
উল্লেখ করা হলো—
প্রথম মূলনীতি: বাতিল পন্থায় অন্যের সম্পদ ভোগ করা নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অন্যায়ভাবে তোমাদের (কারও) সম্পদ ভোগ কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮) আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘লেনদেনে বিনিময়হীন উপার্জন অন্যায় উপায়ে উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত।’ (আহকামুল কোরআন) আর এমএলএম ব্যবসায় নিচের স্তর থেকে ওপরের স্তরে যে কমিশন আসে, তা বিনিময়হীন অর্জিত হয়। কারণ প্রথম স্তরের সরাসরি জোগাড় করা ক্রেতারা ছাড়া দ্বিতীয় স্তরের পরবর্তী স্তরগুলোতে যেসব ব্যক্তি যুক্ত হন, তাঁরা কোম্পানিতে যোগ হয়েছেন অন্যান্য লোকজন কর্তৃক। সুতরাং যে কমিশন বা পারিশ্রমিক নিচের স্তর থেকে আসছে, তা বিনিময়হীন হওয়ার কারণে অন্যের সম্পদ অন্যায় উপায়ে আহরণের অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিতীয় মূলনীতি: বেচাকেনার চুক্তি ‘গারার’ তথা অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত হওয়া আবশ্যক। রাসুল (সা.) গারারযুক্ত চুক্তি করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম) গারারযুক্ত চুক্তি বলতে এমন চুক্তিকে বোঝায়, যার পরিণাম স্পষ্ট নয়। (কিতাবুল মাবসুত) এমএলএম ব্যবসায় একজন ডিস্ট্রিবিউটর যে চুক্তিতে কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হন, সে অনুসারে লোকটি তাঁর নিচের স্তর থেকে কমিশন লাভ করতে থাকবেন, অথচ তাঁর ক্ষেত্রে নিচের স্তর সৃষ্টি হবে কি না, হলে তা কত দিন এবং কয়টি স্তর পর্যন্ত চলবে—তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত, যা শরিয়তে নিষিদ্ধ গারার বা অনিশ্চয়তার বাস্তব উদাহরণ।
তৃতীয় মূলনীতি: এক চুক্তির সঙ্গে আরেক চুক্তি যুক্ত করা ইসলামে নিষেধ। রাসুল (সা.) এক চুক্তির সঙ্গে আরেক চুক্তির শর্তারোপ করতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ) এমএলএম ব্যবসায় বিক্রয় চুক্তির সঙ্গে পরিবেশক হওয়ার শর্ত অথবা পরিবেশক হওয়ার চুক্তির সঙ্গে বিক্রয় চুক্তির শর্ত আরোপ করা হয়, যা ফিকহের পরিভাষায় ‘বাই মাশরুত বিল ইজারাহ’ তথা বেচাকেনার সময় পরিবেশক হওয়ার শর্ত দেওয়া অথবা ‘ইজারাহ মাশরুতাহ বিল বাই’ তথা পরিবেশক নিয়োগ চুক্তির মধ্যে পণ্য ক্রয়ের শর্ত দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত, যা উল্লিখিত হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যবসার এই পদ্ধতি সুদ ও জুয়ার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধায় তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কারণ ইসলামে সরাসরি সুদে জড়িত হওয়া যেমন নিষেধ, তেমনি সুদের আশঙ্কা আছে এমন বিষয়ে জড়িত হওয়াও নিষেধ। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘কোরআনের সর্বশেষ আয়াতটি সুদ প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) আয়াতটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার আগেই ইন্তেকাল করেছেন। সুতরাং তোমরা সুদ এবং সুদের আশঙ্কা আছে এমন বিষয় পরিহার করো।’ (ইবনে মাজাহ)
উল্লিখিত মূলনীতিসমূহ ছাড়া আরও একাধিক মূলনীতি আছে, যার আলোকে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসা হারাম হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
প্রতারণার সুযোগ থেকেই যায়
এমএলএম ব্যবসা মূলত একটি প্রতারণানির্ভর বিপণন পদ্ধতি। এতে শুরুর দিককার কয়েকজন খুব বেশি লাভবান হলেও পরের স্তরের লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তা ছাড়া পণ্যের মূল্যের সঙ্গে অঘোষিতভাবে ক্রেতা-পরিবেশকদের কমিশন যোগ করার ফলে একটি সাধারণ মানের পণ্য অনেক চড়া দামে কিনতে হয়। পরিবেশক হয়ে কমিশন পাওয়ার লোভে সাধারণ জনগণ তা কিনে প্রতারিত হন। এভাবে একসময় চাহিদা ও জোগানের সামঞ্জস্য নষ্ট হয়ে এ ধরনের কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়।
সমকালীন আলিমদের অভিমত
২০০৩ সালে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলিমগণ মুফতি বোর্ড গঠন করে এমএলএম ব্যবসা হারাম হওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত ফতোয়া দেন।
২০০৭ সালে ভারতের ইসলামি ফিকহ একাডেমি এ বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় মুফতিদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে। ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত জামেয়া ইসলামিয়া মুহাযযাবপুর আযীমগড়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ইন্ডিয়া ফিকহ একাডেমির ১৬তম সেমিনার। এতে দেশ-বিদেশের দুই শতাধিক মুফতি, বিজ্ঞ আলেম এবং অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিজ্ঞ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনার পর এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসা নাজায়েজ বলে ফতোয়া দেন। (নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শরয়ি নুকতায়ে নজর)
একইভাবে পাকিস্তান ও আরব বিশ্বের আলিমগণও একই ফতোয়া প্রদান করেন। (উইকিপিডিয়া)
এমএলএম ব্যবসার পদ্ধতি
মাল্টিলেভেল মার্কেটিং তথা এমএলএম ব্যবসার সাধারণ পদ্ধতি হলো, কোম্পানি পণ্য বিক্রয় বা সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে পরিবেশক নিয়োগ দেয়। অর্থাৎ কেউ কোনো এমএলএম কোম্পানির পরিবেশক হতে চাইলে তাঁকে নির্ধারিত মূল্যে তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাদের পরিবেশক হওয়ার অধিকার অর্জন করেন। এ জন্য এমএলএম ব্যবসার কর্মীদের উপাধি ক্রেতা-পরিবেশক। ক্রেতা-পরিবেশক হওয়ার পর তিনি যদি আরও দুজনকে কোম্পানির নিয়ম অনুসারে ক্রেতা-পরিবেশক বানান, তাহলে তিনি এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। এরপর ওই দুই ব্যক্তি যদি দুজন করে চার ব্যক্তিকে ক্রেতা-পরিবেশক বানান, তাহলে ওই দুই ব্যক্তির পাশাপাশি প্রথম ব্যক্তিও কমিশন পাবেন। এভাবে ওপরের স্তরের ক্রেতা-পরিবেশকগণ নিম্নস্তরের ক্রেতা-পরিবেশকদের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে থাকেন।
নাজায়েজ হওয়ার কারণ
ব্যবসার এই পদ্ধতি ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কারণ কোরআন-হাদিসের যেসব মূলনীতির ভিত্তিতে ইসলামে কোনো ক্রয়-বিক্রয়কে হারাম সাব্যস্ত করা হয়, এর মধ্য থেকে একাধিক মূলনীতি এমএলএম ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নিচে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
উল্লেখ করা হলো—
প্রথম মূলনীতি: বাতিল পন্থায় অন্যের সম্পদ ভোগ করা নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অন্যায়ভাবে তোমাদের (কারও) সম্পদ ভোগ কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮) আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘লেনদেনে বিনিময়হীন উপার্জন অন্যায় উপায়ে উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত।’ (আহকামুল কোরআন) আর এমএলএম ব্যবসায় নিচের স্তর থেকে ওপরের স্তরে যে কমিশন আসে, তা বিনিময়হীন অর্জিত হয়। কারণ প্রথম স্তরের সরাসরি জোগাড় করা ক্রেতারা ছাড়া দ্বিতীয় স্তরের পরবর্তী স্তরগুলোতে যেসব ব্যক্তি যুক্ত হন, তাঁরা কোম্পানিতে যোগ হয়েছেন অন্যান্য লোকজন কর্তৃক। সুতরাং যে কমিশন বা পারিশ্রমিক নিচের স্তর থেকে আসছে, তা বিনিময়হীন হওয়ার কারণে অন্যের সম্পদ অন্যায় উপায়ে আহরণের অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিতীয় মূলনীতি: বেচাকেনার চুক্তি ‘গারার’ তথা অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত হওয়া আবশ্যক। রাসুল (সা.) গারারযুক্ত চুক্তি করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম) গারারযুক্ত চুক্তি বলতে এমন চুক্তিকে বোঝায়, যার পরিণাম স্পষ্ট নয়। (কিতাবুল মাবসুত) এমএলএম ব্যবসায় একজন ডিস্ট্রিবিউটর যে চুক্তিতে কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হন, সে অনুসারে লোকটি তাঁর নিচের স্তর থেকে কমিশন লাভ করতে থাকবেন, অথচ তাঁর ক্ষেত্রে নিচের স্তর সৃষ্টি হবে কি না, হলে তা কত দিন এবং কয়টি স্তর পর্যন্ত চলবে—তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত, যা শরিয়তে নিষিদ্ধ গারার বা অনিশ্চয়তার বাস্তব উদাহরণ।
তৃতীয় মূলনীতি: এক চুক্তির সঙ্গে আরেক চুক্তি যুক্ত করা ইসলামে নিষেধ। রাসুল (সা.) এক চুক্তির সঙ্গে আরেক চুক্তির শর্তারোপ করতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ) এমএলএম ব্যবসায় বিক্রয় চুক্তির সঙ্গে পরিবেশক হওয়ার শর্ত অথবা পরিবেশক হওয়ার চুক্তির সঙ্গে বিক্রয় চুক্তির শর্ত আরোপ করা হয়, যা ফিকহের পরিভাষায় ‘বাই মাশরুত বিল ইজারাহ’ তথা বেচাকেনার সময় পরিবেশক হওয়ার শর্ত দেওয়া অথবা ‘ইজারাহ মাশরুতাহ বিল বাই’ তথা পরিবেশক নিয়োগ চুক্তির মধ্যে পণ্য ক্রয়ের শর্ত দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত, যা উল্লিখিত হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যবসার এই পদ্ধতি সুদ ও জুয়ার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধায় তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কারণ ইসলামে সরাসরি সুদে জড়িত হওয়া যেমন নিষেধ, তেমনি সুদের আশঙ্কা আছে এমন বিষয়ে জড়িত হওয়াও নিষেধ। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘কোরআনের সর্বশেষ আয়াতটি সুদ প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) আয়াতটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার আগেই ইন্তেকাল করেছেন। সুতরাং তোমরা সুদ এবং সুদের আশঙ্কা আছে এমন বিষয় পরিহার করো।’ (ইবনে মাজাহ)
উল্লিখিত মূলনীতিসমূহ ছাড়া আরও একাধিক মূলনীতি আছে, যার আলোকে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসা হারাম হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
প্রতারণার সুযোগ থেকেই যায়
এমএলএম ব্যবসা মূলত একটি প্রতারণানির্ভর বিপণন পদ্ধতি। এতে শুরুর দিককার কয়েকজন খুব বেশি লাভবান হলেও পরের স্তরের লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তা ছাড়া পণ্যের মূল্যের সঙ্গে অঘোষিতভাবে ক্রেতা-পরিবেশকদের কমিশন যোগ করার ফলে একটি সাধারণ মানের পণ্য অনেক চড়া দামে কিনতে হয়। পরিবেশক হয়ে কমিশন পাওয়ার লোভে সাধারণ জনগণ তা কিনে প্রতারিত হন। এভাবে একসময় চাহিদা ও জোগানের সামঞ্জস্য নষ্ট হয়ে এ ধরনের কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়।
সমকালীন আলিমদের অভিমত
২০০৩ সালে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলিমগণ মুফতি বোর্ড গঠন করে এমএলএম ব্যবসা হারাম হওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত ফতোয়া দেন।
২০০৭ সালে ভারতের ইসলামি ফিকহ একাডেমি এ বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় মুফতিদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে। ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত জামেয়া ইসলামিয়া মুহাযযাবপুর আযীমগড়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ইন্ডিয়া ফিকহ একাডেমির ১৬তম সেমিনার। এতে দেশ-বিদেশের দুই শতাধিক মুফতি, বিজ্ঞ আলেম এবং অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিজ্ঞ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনার পর এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসা নাজায়েজ বলে ফতোয়া দেন। (নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শরয়ি নুকতায়ে নজর)
একইভাবে পাকিস্তান ও আরব বিশ্বের আলিমগণও একই ফতোয়া প্রদান করেন। (উইকিপিডিয়া)
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
১৭ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
২ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৩ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৪ দিন আগে