ইসলাম ডেস্ক
কামান দাগিয়ে ইফতারের সময় ঘোষণা করা মুসলিম বিশ্বের একটি ঐতিহ্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনো এর চল রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইও এর ব্যতিক্রম নয়। বরং আধুনিক শহর দুবাইয়ে কামান দাগানোর ঐতিহ্যকে আরও আধুনিক করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দারা এখনো ইফতারের সময় কামানের আওয়াজ শোনার অপেক্ষায় থাকেন।
কয়েক বছর ধরে দুবাইয়ে এসব কামানের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সদস্যরাই এসব কামান পরিচালনা করে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ তারিশ আল-আমিমি কামান দাগানোর কাজে বেশ পরিচিত মুখ। কারণ, ইফতারের সময় টেলিভিশনে তাঁকেই কায়দা করে ‘ফায়ার’ ঘোষণা করতে দেখা যায়। আট বছর যাবৎ তিনি এই কাজ করে যাচ্ছেন।
আল-আমিমি জানান, ইফতারের সময় কামান দাগানোর এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যকে দুবাইয়ে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তবে শহর-সভ্যতার আমূল পরিবর্তন সত্ত্বেও কামানের মূল ঐতিহ্য এখানে অপরিবর্তিত রয়েছে, যা প্রজন্মের মন-মানসে অনুরণিত হচ্ছে। এটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, মানুষের কাছে এই কামানের একটি শক্তিশালী আবেদন রয়েছে। স্থানীয় লোকজন নিজেদের ঐতিহ্য ফিরে পেয়ে আনন্দিত হয় এবং বাইরের লোকজনও এর প্রতি দারুণভাবে আকৃষ্ট হয়। এ সম্পর্কে আরও জানতে চায়।
দুবাই ঘুরতে আসা রাশিয়ান পর্যটক আনাস্তাসিয়া চেটভারিকভ বলেন, ‘এটিই আমার প্রথম রমজান অভিজ্ঞতা। একজন অমুসলিম হিসেবে আমি সব সময়ই রমজান উদ্যাপনে আগ্রহী। নতুন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে এবং নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আমার সময় ভালো লাগে।’
মার্কিন দর্শনার্থী এলিজাবেথ ইবরাহিম বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত রমজানের চেতনা লালন করছে। উচ্চ স্বরে আজান শুনে আমি অবাক হলাম। আমাদের দেশে এমনটি কখনো শুনিনি। কামান দাগানোর বিষয়টি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আমি এ সম্পর্কে আগে কখনো শুনিনি। মাগরিবের সময় কামানের মাধ্যমে সংকেত দেওয়া আমার কাছে সত্যিই দুর্দান্ত মনে হয়।’
তবে কামান ব্যবহারের এই পরম্পরা মুসলিম বিশ্বে কোথা থেকে এল? মূলত দশম শতকে মিসরে ফাতেমি খিলাফতের সময় ইফতারের সময় ঘোষণার জন্য কামান ব্যবহৃত হতো। তখন থেকেই এর প্রচলন শুরু হয়।
চলতি বছর দুবাই শহরের প্রধান কামানটি দ্বিতীয় ‘হেই রমজান’ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আইকনিক আল-ওয়াসল প্লাজার কাছে এক্সপো সিটিতে স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে কামান ছাড়াও অনেক আকর্ষণীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে চমৎকার সব ইভেন্টও।
সূত্র: আরব নিউজ
কামান দাগিয়ে ইফতারের সময় ঘোষণা করা মুসলিম বিশ্বের একটি ঐতিহ্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনো এর চল রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইও এর ব্যতিক্রম নয়। বরং আধুনিক শহর দুবাইয়ে কামান দাগানোর ঐতিহ্যকে আরও আধুনিক করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দারা এখনো ইফতারের সময় কামানের আওয়াজ শোনার অপেক্ষায় থাকেন।
কয়েক বছর ধরে দুবাইয়ে এসব কামানের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সদস্যরাই এসব কামান পরিচালনা করে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ তারিশ আল-আমিমি কামান দাগানোর কাজে বেশ পরিচিত মুখ। কারণ, ইফতারের সময় টেলিভিশনে তাঁকেই কায়দা করে ‘ফায়ার’ ঘোষণা করতে দেখা যায়। আট বছর যাবৎ তিনি এই কাজ করে যাচ্ছেন।
আল-আমিমি জানান, ইফতারের সময় কামান দাগানোর এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যকে দুবাইয়ে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তবে শহর-সভ্যতার আমূল পরিবর্তন সত্ত্বেও কামানের মূল ঐতিহ্য এখানে অপরিবর্তিত রয়েছে, যা প্রজন্মের মন-মানসে অনুরণিত হচ্ছে। এটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, মানুষের কাছে এই কামানের একটি শক্তিশালী আবেদন রয়েছে। স্থানীয় লোকজন নিজেদের ঐতিহ্য ফিরে পেয়ে আনন্দিত হয় এবং বাইরের লোকজনও এর প্রতি দারুণভাবে আকৃষ্ট হয়। এ সম্পর্কে আরও জানতে চায়।
দুবাই ঘুরতে আসা রাশিয়ান পর্যটক আনাস্তাসিয়া চেটভারিকভ বলেন, ‘এটিই আমার প্রথম রমজান অভিজ্ঞতা। একজন অমুসলিম হিসেবে আমি সব সময়ই রমজান উদ্যাপনে আগ্রহী। নতুন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে এবং নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আমার সময় ভালো লাগে।’
মার্কিন দর্শনার্থী এলিজাবেথ ইবরাহিম বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত রমজানের চেতনা লালন করছে। উচ্চ স্বরে আজান শুনে আমি অবাক হলাম। আমাদের দেশে এমনটি কখনো শুনিনি। কামান দাগানোর বিষয়টি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আমি এ সম্পর্কে আগে কখনো শুনিনি। মাগরিবের সময় কামানের মাধ্যমে সংকেত দেওয়া আমার কাছে সত্যিই দুর্দান্ত মনে হয়।’
তবে কামান ব্যবহারের এই পরম্পরা মুসলিম বিশ্বে কোথা থেকে এল? মূলত দশম শতকে মিসরে ফাতেমি খিলাফতের সময় ইফতারের সময় ঘোষণার জন্য কামান ব্যবহৃত হতো। তখন থেকেই এর প্রচলন শুরু হয়।
চলতি বছর দুবাই শহরের প্রধান কামানটি দ্বিতীয় ‘হেই রমজান’ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আইকনিক আল-ওয়াসল প্লাজার কাছে এক্সপো সিটিতে স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে কামান ছাড়াও অনেক আকর্ষণীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে চমৎকার সব ইভেন্টও।
সূত্র: আরব নিউজ
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৮ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৮ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৮ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে