ইজাজুল হক
মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে আয়-উপার্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ইসলাম একে অন্যতম ফরজ কাজ হিসেবে অবহিত করেছে। ইসলামের ফরজ ইবাদতগুলো পালনের পাশাপাশি হালাল উপায়ে আয়-রোজগার করাও অন্যতম ফরজ। তবে এসব আয়-উপার্জন হতে হবে পরকালীন সাফল্যের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। ধন-সম্পদ অর্জন করতে গিয়ে কেউ যেন অন্যায় ও অবৈধ পথে পা না বাড়ায়—এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করেছে ইসলাম।
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই সম্পদের প্রতি লালায়িত। একটু পেলেই সে আরেকটু চায়। এই চাহিদার শেষ নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা ধনসম্পদ অনেক বেশি ভালোবাসো।’ (সুরা ফজর: ২০) মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আদমসন্তানের যদি দুই উপত্যকা পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তাহলে সে কামনা করে, তার যদি আরেক উপত্যকা পরিমাণ স্বর্ণ থাকত! কবরের মাটি ছাড়া কোনো কিছুই তার মুখ পূর্ণ করতে পারবে না।’ (তিরমিজি: ২৩৩৭)
আল্লাহ তাআলার পরীক্ষা এখানেই। তিনি মানুষের সামনে ভোগবিলাসের সব উপকরণ পেশ করেছেন। হালাল-হারাম ও ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বোঝানোর জন্য নবীদের পাঠিয়েছেন। এখন মানুষের সামনে স্পষ্ট, সে কোন পথে যাবে। দুনিয়ার ভোগবিলাস, নাকি আখিরাতের চিরসাফল্য। দ্বিতীয়টি চাইলে অবশ্যই তাকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন অতিবাহিত করতে হবে। হারাম ও অন্যায় পথে ধন-সম্পদ উপার্জনের চিন্তাও করা যাবে না।
পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের জন্য সাজানো হয়েছে নারী, সন্তান, স্তূপীকৃত স্বর্ণ ও রৌপ্যভান্ডার, চিহ্নযুক্ত অশ্বরাজি, গৃহপালিত পশু এবং শস্যক্ষেত্র। এসব পার্থিব জীবনের সম্পদ। আর আল্লাহর কাছেই রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল। বলো, আমি কি তোমাদের এসব থেকে অতি উত্তম কোনো কিছুর সংবাদ দেব? যারা মুত্তাকি তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে এমন বাগান রয়েছে, যার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত, তারা তাতে চিরকাল থাকবে। আর রয়েছে পবিত্র সঙ্গী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। ...’ (সুরা আল ইমরান: ১৪-১৫)
অর্থাৎ, স্ত্রী-সন্তানদের জন্য ধন-সম্পদ গড়া বা তাদের সুখ-সমৃদ্ধির উপাদান জোগাড় করা পার্থিব জীবনের অনুষঙ্গ। তবে এসব করতে গিয়ে কোনোভাবেই আখিরাতকে ভুলে যাওয়া যাবে না। অন্যায় ও অবৈধ পথে পা বাড়ানো যাবে না। আর সম্পদ অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হওয়াই বরং উত্তম। কারণ সম্পদ মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করে রাখে। তাই বুদ্ধিমানেরা ধন-সম্পদের মোহ থেকে দূরে থাকে। কারণ দুই দিনের দুনিয়ায় মানুষ ক্ষণিকের মুসাফির। এখানে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অখ্যাত-অপরিচিত বা পথচারীর মতোই কাটিয়ে দাও এই দুনিয়ার জীবন।’ (বুখারি: ৬৪১৬)
আরেক হাদিসে এসেছে, হজরত আবু জর বর্ণনা করেন, ‘একবার আমি নবী (সা.)-এর সঙ্গে এশার সময় মদিনার হাররা নামক স্থান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন আমরা উহুদ পাহাড়ের মুখোমুখি হলে তিনি বললেন, ‘হে আবু জর, আমি এটা পছন্দ করি না যে আমার কাছে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আসুক এবং ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছাড়া এক দিনার পরিমাণ স্বর্ণও এক রাত বা তিন রাত পর্যন্ত আমার হাতে থেকে যাক। বরং আমি পছন্দ করি যে আমি তা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এভাবে বিলিয়ে দিই।’ কীভাবে দেবেন তা তাঁর হাত দিয়ে তিনি দেখালেন। তারপর বললেন, ‘দুনিয়ায় যাদের বেশি সম্পদ, আখিরাতে তারা হবে কম সওয়াবের অধিকারী। তবে যারা তাদের সম্পদ এভাবে বিলিয়ে দেবে, তারা হবে ব্যতিক্রম।’ (বুখারি: ৬২৬৮)
তবে এর অর্থ এই নয় যে কোনো সম্পদ উপার্জন করাই যাবে না। এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা ইসলামে নেই। বরং বলা হয়েছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত উপার্জন না করাই উত্তম। আর যদি কেউ উপার্জন করেও, এই উপার্জন যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেই হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা-সৌন্দর্য। স্থায়ী সৎ কাজই তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কার লাভের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট। আকাঙ্ক্ষা পোষণের ভিত্তি হিসেবেও সেটিই উত্তম।’ (সুরা কাহফ: ৪৬)
মনে রাখতে হবে, ধন-সম্পদ মানুষের জন্য আল্লাহ তাআলা আগেই বরাদ্দ করে রেখেছেন। তার বরাদ্দে যতটুকু, তা সে পাবেই। তবে সে আল্লাহর নির্দেশিত পথে অর্জন করবে, নাকি অন্যায় পথে, তা তার সিদ্ধান্ত। অন্যায় পথে হলে অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে লোকসকল, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উপার্জনে সরল পথ অবলম্বন করো। জেনে রেখো, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ তার জন্য নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না করে, ততক্ষণ তার কিছুতেই মৃত্যু হবে না। একটু দেরিতে হলেও তা তার কাছে পৌঁছাবেই। তাই আল্লাহকে ভয় করো। উপার্জনে সহজ পথ অবলম্বন করো। হালাল যতটুকু তা গ্রহণ করো আর যা কিছু হারাম, তা বর্জন করো।’ (ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)
আয়-রোজগারে হালাল পথ অবলম্বন করলে আল্লাহ তাআলা অকল্পনীয় রিজিক দান করবেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ যদি আল্লাহকে ভয় করে, তাহলে তিনি তার জন্য কোনো একটি পথ তৈরি করে দেবেন এবং তাকে তিনি এমন স্থান থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।’ (সুরা তালাক: ২-৩) বিপরীতে যারা হারাম পথে সম্পদ অর্জনের মোহে পড়বে, তাদের পরিণাম হবে জাহান্নাম। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর (দুনিয়ায়) যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করেছে এবং পার্থিব জীবনকে (পরকালের ওপর) প্রাধান্য দিয়েছে, জাহান্নামই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৩৭-৩৯)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে আয়-উপার্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ইসলাম একে অন্যতম ফরজ কাজ হিসেবে অবহিত করেছে। ইসলামের ফরজ ইবাদতগুলো পালনের পাশাপাশি হালাল উপায়ে আয়-রোজগার করাও অন্যতম ফরজ। তবে এসব আয়-উপার্জন হতে হবে পরকালীন সাফল্যের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। ধন-সম্পদ অর্জন করতে গিয়ে কেউ যেন অন্যায় ও অবৈধ পথে পা না বাড়ায়—এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করেছে ইসলাম।
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই সম্পদের প্রতি লালায়িত। একটু পেলেই সে আরেকটু চায়। এই চাহিদার শেষ নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা ধনসম্পদ অনেক বেশি ভালোবাসো।’ (সুরা ফজর: ২০) মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আদমসন্তানের যদি দুই উপত্যকা পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তাহলে সে কামনা করে, তার যদি আরেক উপত্যকা পরিমাণ স্বর্ণ থাকত! কবরের মাটি ছাড়া কোনো কিছুই তার মুখ পূর্ণ করতে পারবে না।’ (তিরমিজি: ২৩৩৭)
আল্লাহ তাআলার পরীক্ষা এখানেই। তিনি মানুষের সামনে ভোগবিলাসের সব উপকরণ পেশ করেছেন। হালাল-হারাম ও ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বোঝানোর জন্য নবীদের পাঠিয়েছেন। এখন মানুষের সামনে স্পষ্ট, সে কোন পথে যাবে। দুনিয়ার ভোগবিলাস, নাকি আখিরাতের চিরসাফল্য। দ্বিতীয়টি চাইলে অবশ্যই তাকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন অতিবাহিত করতে হবে। হারাম ও অন্যায় পথে ধন-সম্পদ উপার্জনের চিন্তাও করা যাবে না।
পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের জন্য সাজানো হয়েছে নারী, সন্তান, স্তূপীকৃত স্বর্ণ ও রৌপ্যভান্ডার, চিহ্নযুক্ত অশ্বরাজি, গৃহপালিত পশু এবং শস্যক্ষেত্র। এসব পার্থিব জীবনের সম্পদ। আর আল্লাহর কাছেই রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল। বলো, আমি কি তোমাদের এসব থেকে অতি উত্তম কোনো কিছুর সংবাদ দেব? যারা মুত্তাকি তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে এমন বাগান রয়েছে, যার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত, তারা তাতে চিরকাল থাকবে। আর রয়েছে পবিত্র সঙ্গী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। ...’ (সুরা আল ইমরান: ১৪-১৫)
অর্থাৎ, স্ত্রী-সন্তানদের জন্য ধন-সম্পদ গড়া বা তাদের সুখ-সমৃদ্ধির উপাদান জোগাড় করা পার্থিব জীবনের অনুষঙ্গ। তবে এসব করতে গিয়ে কোনোভাবেই আখিরাতকে ভুলে যাওয়া যাবে না। অন্যায় ও অবৈধ পথে পা বাড়ানো যাবে না। আর সম্পদ অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হওয়াই বরং উত্তম। কারণ সম্পদ মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করে রাখে। তাই বুদ্ধিমানেরা ধন-সম্পদের মোহ থেকে দূরে থাকে। কারণ দুই দিনের দুনিয়ায় মানুষ ক্ষণিকের মুসাফির। এখানে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অখ্যাত-অপরিচিত বা পথচারীর মতোই কাটিয়ে দাও এই দুনিয়ার জীবন।’ (বুখারি: ৬৪১৬)
আরেক হাদিসে এসেছে, হজরত আবু জর বর্ণনা করেন, ‘একবার আমি নবী (সা.)-এর সঙ্গে এশার সময় মদিনার হাররা নামক স্থান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন আমরা উহুদ পাহাড়ের মুখোমুখি হলে তিনি বললেন, ‘হে আবু জর, আমি এটা পছন্দ করি না যে আমার কাছে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আসুক এবং ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছাড়া এক দিনার পরিমাণ স্বর্ণও এক রাত বা তিন রাত পর্যন্ত আমার হাতে থেকে যাক। বরং আমি পছন্দ করি যে আমি তা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এভাবে বিলিয়ে দিই।’ কীভাবে দেবেন তা তাঁর হাত দিয়ে তিনি দেখালেন। তারপর বললেন, ‘দুনিয়ায় যাদের বেশি সম্পদ, আখিরাতে তারা হবে কম সওয়াবের অধিকারী। তবে যারা তাদের সম্পদ এভাবে বিলিয়ে দেবে, তারা হবে ব্যতিক্রম।’ (বুখারি: ৬২৬৮)
তবে এর অর্থ এই নয় যে কোনো সম্পদ উপার্জন করাই যাবে না। এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা ইসলামে নেই। বরং বলা হয়েছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত উপার্জন না করাই উত্তম। আর যদি কেউ উপার্জন করেও, এই উপার্জন যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেই হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা-সৌন্দর্য। স্থায়ী সৎ কাজই তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কার লাভের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট। আকাঙ্ক্ষা পোষণের ভিত্তি হিসেবেও সেটিই উত্তম।’ (সুরা কাহফ: ৪৬)
মনে রাখতে হবে, ধন-সম্পদ মানুষের জন্য আল্লাহ তাআলা আগেই বরাদ্দ করে রেখেছেন। তার বরাদ্দে যতটুকু, তা সে পাবেই। তবে সে আল্লাহর নির্দেশিত পথে অর্জন করবে, নাকি অন্যায় পথে, তা তার সিদ্ধান্ত। অন্যায় পথে হলে অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে লোকসকল, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং উপার্জনে সরল পথ অবলম্বন করো। জেনে রেখো, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ তার জন্য নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না করে, ততক্ষণ তার কিছুতেই মৃত্যু হবে না। একটু দেরিতে হলেও তা তার কাছে পৌঁছাবেই। তাই আল্লাহকে ভয় করো। উপার্জনে সহজ পথ অবলম্বন করো। হালাল যতটুকু তা গ্রহণ করো আর যা কিছু হারাম, তা বর্জন করো।’ (ইবনে মাজাহ: ২১৪৪)
আয়-রোজগারে হালাল পথ অবলম্বন করলে আল্লাহ তাআলা অকল্পনীয় রিজিক দান করবেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ যদি আল্লাহকে ভয় করে, তাহলে তিনি তার জন্য কোনো একটি পথ তৈরি করে দেবেন এবং তাকে তিনি এমন স্থান থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।’ (সুরা তালাক: ২-৩) বিপরীতে যারা হারাম পথে সম্পদ অর্জনের মোহে পড়বে, তাদের পরিণাম হবে জাহান্নাম। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর (দুনিয়ায়) যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করেছে এবং পার্থিব জীবনকে (পরকালের ওপর) প্রাধান্য দিয়েছে, জাহান্নামই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৩৭-৩৯)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৫ ঘণ্টা আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগে