রায়হান রাশেদ
আত্মীয়তা ও বন্ধুত্ব ছাড়া মানুষ একা। আত্মীয় ও বন্ধুর সঙ্গ মানুষকে আনন্দিত করে। অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয়। এই টানেই মানুষ পরস্পরের কাছে ছুটে আসে। মিলিত হয়। একে অপরের খোঁজখবর নেয়। বিপদে পাশে দাঁড়ায়। মেহমান হয়। মেহমানদারি মানুষের মধ্যে সদ্ভাব তৈরি করে। সম্পর্কের বাঁধন দৃঢ় করে। সামাজিক বন্ধন ও সৌহার্দ্য উন্নত করে।
মেহমানকে স্বাগত জানানো সুন্নত: মেহমানকে স্বাগত জানানো ও তাঁর আগমনে খুশি প্রকাশ করা মেজবানের দায়িত্ব। রাসুল (সা.)-এর কাছে কোনো মেহমান কিংবা প্রতিনিধিদল এলে তিনি স্বাগত জানাতেন। ‘মারহাবা’ বলতেন। খুশি প্রকাশ করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আবদুল কায়সের প্রতিনিধিদল নবী (সা.)-এর কাছে এলে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিনিধিদলের প্রতি “মারহাবা”, যারা লাঞ্ছিত ও লজ্জিত হয়ে আসেনি।’ তারা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমরা রাবিয়া গোত্রের লোক। আমাদের ও আপনার মাঝে মুজার গোত্র অবস্থান করছে। এ জন্য আমরা হারাম মাস ছাড়া আপনার খেদমতে পৌঁছাতে পারি না। …’ (বুখারি: ৬১৭৬)
অতিথিসেবা মুমিনের বৈশিষ্ট্য: ঘরে মেহমান এলে তাঁকে হাসিমুখে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মুমিন তাঁর আগমনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। খুশির কথা বলবেন। সদাচরণ করবেন। ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলবেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের ওপর ইমান রাখে, সে যেন মেহমানের প্রতি সদাচরণ করে।’ (মুসলিম: ৪৭)
অতিথিসেবার নিয়ম: মেহমানের সম্মান করা ইসলামের বিধান। মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা। এক দিন এক রাত মেহমানের জন্য উত্তম ব্যবস্থাপনা করা ওয়াজিব। তিন দিন, তিন রাত সাধারণ ব্যবস্থাপনা করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মেহমানের সম্মান এক দিন ও এক রাত। আর সাধারণ মেহমানদারি তিন দিন ও তিন রাত। এরপর (তা হবে) সদকা। মেজবানকে কষ্ট দিয়ে তার কাছে মেহমানের অবস্থান করা বৈধ নয়।’ (বুখারি: ৬১৩৫)
মেহমানের খাতির করা: সামর্থ্য অনুযায়ী মেহমানের হক আদায় করা মেজবানের কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে মুহাম্মদ (সা.)-এর দিকনির্দেশনা সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একবার আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাদের কোনো জায়গায় পাঠালে এমন জাতির কাছে গিয়ে উপস্থিত হই, যারা আমাদের মেহমানদারি করে না। এ ব্যাপারে আপনার হুকুম কী?’ তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা কোনো জাতির কাছে উপস্থিত হও, আর তারা মেহমানদারির জন্য উপযুক্ত যত্ন নেয়, তবে তোমরা তা গ্রহণ করবে। আর যদি তারা না করে, তাহলে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের থেকে মেহমানের হক আদায় করে নেবে।’ (বুখারি: ৬১৩৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আত্মীয়তা ও বন্ধুত্ব ছাড়া মানুষ একা। আত্মীয় ও বন্ধুর সঙ্গ মানুষকে আনন্দিত করে। অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয়। এই টানেই মানুষ পরস্পরের কাছে ছুটে আসে। মিলিত হয়। একে অপরের খোঁজখবর নেয়। বিপদে পাশে দাঁড়ায়। মেহমান হয়। মেহমানদারি মানুষের মধ্যে সদ্ভাব তৈরি করে। সম্পর্কের বাঁধন দৃঢ় করে। সামাজিক বন্ধন ও সৌহার্দ্য উন্নত করে।
মেহমানকে স্বাগত জানানো সুন্নত: মেহমানকে স্বাগত জানানো ও তাঁর আগমনে খুশি প্রকাশ করা মেজবানের দায়িত্ব। রাসুল (সা.)-এর কাছে কোনো মেহমান কিংবা প্রতিনিধিদল এলে তিনি স্বাগত জানাতেন। ‘মারহাবা’ বলতেন। খুশি প্রকাশ করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আবদুল কায়সের প্রতিনিধিদল নবী (সা.)-এর কাছে এলে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিনিধিদলের প্রতি “মারহাবা”, যারা লাঞ্ছিত ও লজ্জিত হয়ে আসেনি।’ তারা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমরা রাবিয়া গোত্রের লোক। আমাদের ও আপনার মাঝে মুজার গোত্র অবস্থান করছে। এ জন্য আমরা হারাম মাস ছাড়া আপনার খেদমতে পৌঁছাতে পারি না। …’ (বুখারি: ৬১৭৬)
অতিথিসেবা মুমিনের বৈশিষ্ট্য: ঘরে মেহমান এলে তাঁকে হাসিমুখে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মুমিন তাঁর আগমনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। খুশির কথা বলবেন। সদাচরণ করবেন। ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলবেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের ওপর ইমান রাখে, সে যেন মেহমানের প্রতি সদাচরণ করে।’ (মুসলিম: ৪৭)
অতিথিসেবার নিয়ম: মেহমানের সম্মান করা ইসলামের বিধান। মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা। এক দিন এক রাত মেহমানের জন্য উত্তম ব্যবস্থাপনা করা ওয়াজিব। তিন দিন, তিন রাত সাধারণ ব্যবস্থাপনা করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মেহমানের সম্মান এক দিন ও এক রাত। আর সাধারণ মেহমানদারি তিন দিন ও তিন রাত। এরপর (তা হবে) সদকা। মেজবানকে কষ্ট দিয়ে তার কাছে মেহমানের অবস্থান করা বৈধ নয়।’ (বুখারি: ৬১৩৫)
মেহমানের খাতির করা: সামর্থ্য অনুযায়ী মেহমানের হক আদায় করা মেজবানের কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে মুহাম্মদ (সা.)-এর দিকনির্দেশনা সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একবার আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাদের কোনো জায়গায় পাঠালে এমন জাতির কাছে গিয়ে উপস্থিত হই, যারা আমাদের মেহমানদারি করে না। এ ব্যাপারে আপনার হুকুম কী?’ তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা কোনো জাতির কাছে উপস্থিত হও, আর তারা মেহমানদারির জন্য উপযুক্ত যত্ন নেয়, তবে তোমরা তা গ্রহণ করবে। আর যদি তারা না করে, তাহলে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের থেকে মেহমানের হক আদায় করে নেবে।’ (বুখারি: ৬১৩৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে