ইসমাঈল সিদ্দিকী
শীত হলো ইবাদতের বসন্তকাল। বসন্তকালে যেভাবে গাছগাছালি পত্রপল্লবে সমৃদ্ধ থাকে। পশুপাখি যত ইচ্ছা খেয়েদেয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তেমনি মোমিন বান্দা এ ঋতুতে ইবাদত-বন্দেগি করে আত্মিক উন্নতি করতে পারে, রবের অধিক নিকটবর্তী হতে পারে।
বছরের অন্যান্য ঋতুতে যেসব ইবাদত আদায় কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে, শীতে তা পালন করা সহজতর হয়ে যায়। যেমন শীতকালে রাত বড় হয়। ফলে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর পরও ভোররাতে উঠে ইবাদত করা যায়। আর দিন ছোট হওয়ায় নফল অথবা কাজা রোজা অনায়াসে রাখা যায়।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘শীত হলো মোমিনের বসন্ত। অন্য বর্ণনায় আছে, শীতে রাত বড় হয়ে থাকে, ফলে সে (নামাজের জন্য) জাগ্রত হয়। আর দিন হয়ে থাকে ছোট। ফলে সে রোজা রাখে।’ (মুসনাদে আহমদ: ১১৭১৬)
সাহাবায়ে কেরাম (রা.), তাবেয়িন ও পরবর্তী আলিমগণ শীতকে স্বাগত জানাতেন। নবোদ্যমে ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘শীতকালকে মোবারকবাদ। এতে বরকতের ঝরনাধারা নাজিল হয়। রাত দীর্ঘ হয় তাহাজ্জুদের জন্য। আর দিন ছোট হয় রোজা রাখার জন্য।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ: পৃ. ৩২৭)
শীতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এটি যেমন মানবিক ও নৈতিক কর্তব্য, তেমনি ইমানি দায়িত্বও। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকবে, আল্লাহ ততক্ষণ তার সাহায্য করবেন।’ (মুসলিম: ২৬৯৯)
খেয়াল রাখতে হবে, শীতের তীব্রতা যেন ইবাদতে আমাদের উদাসীন করে না দেয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দিন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
শীত হলো ইবাদতের বসন্তকাল। বসন্তকালে যেভাবে গাছগাছালি পত্রপল্লবে সমৃদ্ধ থাকে। পশুপাখি যত ইচ্ছা খেয়েদেয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তেমনি মোমিন বান্দা এ ঋতুতে ইবাদত-বন্দেগি করে আত্মিক উন্নতি করতে পারে, রবের অধিক নিকটবর্তী হতে পারে।
বছরের অন্যান্য ঋতুতে যেসব ইবাদত আদায় কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে, শীতে তা পালন করা সহজতর হয়ে যায়। যেমন শীতকালে রাত বড় হয়। ফলে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর পরও ভোররাতে উঠে ইবাদত করা যায়। আর দিন ছোট হওয়ায় নফল অথবা কাজা রোজা অনায়াসে রাখা যায়।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘শীত হলো মোমিনের বসন্ত। অন্য বর্ণনায় আছে, শীতে রাত বড় হয়ে থাকে, ফলে সে (নামাজের জন্য) জাগ্রত হয়। আর দিন হয়ে থাকে ছোট। ফলে সে রোজা রাখে।’ (মুসনাদে আহমদ: ১১৭১৬)
সাহাবায়ে কেরাম (রা.), তাবেয়িন ও পরবর্তী আলিমগণ শীতকে স্বাগত জানাতেন। নবোদ্যমে ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘শীতকালকে মোবারকবাদ। এতে বরকতের ঝরনাধারা নাজিল হয়। রাত দীর্ঘ হয় তাহাজ্জুদের জন্য। আর দিন ছোট হয় রোজা রাখার জন্য।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ: পৃ. ৩২৭)
শীতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এটি যেমন মানবিক ও নৈতিক কর্তব্য, তেমনি ইমানি দায়িত্বও। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকবে, আল্লাহ ততক্ষণ তার সাহায্য করবেন।’ (মুসলিম: ২৬৯৯)
খেয়াল রাখতে হবে, শীতের তীব্রতা যেন ইবাদতে আমাদের উদাসীন করে না দেয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দিন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৪ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৪ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে