আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী
ন্যায়পরায়ণতা মানুষের শ্রেষ্ঠতম গুণ। এর মাধ্যমেই সমাজে মানুষের যথাযথ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে জাতির মাঝে ন্যায়ের সৌরভ আছে, তারা সৌভাগ্যবান এবং উন্নতির সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত। মানব জাতির শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মহানবী (সা.) তাঁর অনুসারীদের ন্যায়ের শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর জীবনই ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উৎসর্গিত।
ন্যায়বিচারকারীর মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, সুবিচারক লোক আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁর ডান হাতের দিকে নূরের মিম্বরে উপবিষ্ট থাকবেন। যাঁরা তাঁদের বিচারকার্যে, পরিবারে ও দায়িত্বভুক্ত বিষয়ে ইনসাফ রক্ষা করেন। (সুনানে নাসায়ি: ৫৩৭৯)
এভাবেই নবীজি বিভিন্ন কথায় সাহাবায়ে কেরামের অন্তরে ন্যায়পরায়ণতার বীজ বপন করেছেন। নবুওতপ্রাপ্তির আগেই তিনি অত্যাচারিতের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মক্কায় আবদুল্লাহ ইবনে জুদআনের বাড়িতে কুরাইশের চিন্তাশীল যুবকদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। কাবা পুনর্নির্মাণের সময় ‘হাজরে আসওয়াদ’ স্থাপন নিয়ে কুরাইশদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনে সর্বসম্মতিক্রমে নবী (সা.)-এর বিচার ও ন্যায়পরায়ণতার ওপর আস্থা রাখা হয়েছিল।
নবুওতপ্রাপ্তির পর তিনি সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, চুরির দায়ে অভিযুক্ত এক নারীকে ক্ষমা করে দেওয়া প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোকজন, নিশ্চয়ই তোমাদের আগের লোকেরা গোমরাহ হয়ে গিয়েছে।
কারণ কোনো সম্মানী ব্যক্তি যখন চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন কোনো দুর্বল লোক চুরি করত, তখন তার ওপর শরিয়তের বিধান বাস্তবায়ন করত। আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করে, তবে অবশ্যই মুহাম্মদ তাঁর হাত কেটে দেবে।’ (বুখারি: ৬৭৮৮)
রাসুল (সা.) তাঁর দীর্ঘ জীবনে ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়েছেন। একবার এক মুনাফিক তাঁর ন্যায়পরায়ণতায় কলঙ্কলেপনের চেষ্টা করেছিল। তখন নবী (সা.) অত্যন্ত দৃঢ়তা ও প্রতাপের সঙ্গে সেই কথা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) জিরানা নামক স্থানে গনিমতের মাল ও সোনা-রুপা বণ্টন করছিলেন। এগুলো বিলাল (রা.)-এর কোলে ছিল। এক ব্যক্তি বলল, ‘মুহাম্মদ, ইনসাফ করুন। কেননা, আপনি ইনসাফ করছেন না।’
তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য দুঃখ হয়, আমিই যদি ইনসাফ না করি, তবে আমার পরে কে ইনসাফ করবে?’ ওমর (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে ছেড়ে দিন, আমি এই মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দিই।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তার সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি দলের উদ্ভব হবে, যারা কোরআন পড়বে, তবে তা তাদের কণ্ঠনালি অতিক্রম করবে না। তারা এমনভাবে ধর্মচ্যুত হবে, যেমন ধনুক থেকে তির শিকারের দিকে দ্রুত ছুটে যায়।’ (ইবনে মাজাহ: ১৭২)
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব, টঙ্গী, গাজীপুর
ন্যায়পরায়ণতা মানুষের শ্রেষ্ঠতম গুণ। এর মাধ্যমেই সমাজে মানুষের যথাযথ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে জাতির মাঝে ন্যায়ের সৌরভ আছে, তারা সৌভাগ্যবান এবং উন্নতির সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত। মানব জাতির শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মহানবী (সা.) তাঁর অনুসারীদের ন্যায়ের শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর জীবনই ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উৎসর্গিত।
ন্যায়বিচারকারীর মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, সুবিচারক লোক আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁর ডান হাতের দিকে নূরের মিম্বরে উপবিষ্ট থাকবেন। যাঁরা তাঁদের বিচারকার্যে, পরিবারে ও দায়িত্বভুক্ত বিষয়ে ইনসাফ রক্ষা করেন। (সুনানে নাসায়ি: ৫৩৭৯)
এভাবেই নবীজি বিভিন্ন কথায় সাহাবায়ে কেরামের অন্তরে ন্যায়পরায়ণতার বীজ বপন করেছেন। নবুওতপ্রাপ্তির আগেই তিনি অত্যাচারিতের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মক্কায় আবদুল্লাহ ইবনে জুদআনের বাড়িতে কুরাইশের চিন্তাশীল যুবকদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। কাবা পুনর্নির্মাণের সময় ‘হাজরে আসওয়াদ’ স্থাপন নিয়ে কুরাইশদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনে সর্বসম্মতিক্রমে নবী (সা.)-এর বিচার ও ন্যায়পরায়ণতার ওপর আস্থা রাখা হয়েছিল।
নবুওতপ্রাপ্তির পর তিনি সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, চুরির দায়ে অভিযুক্ত এক নারীকে ক্ষমা করে দেওয়া প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোকজন, নিশ্চয়ই তোমাদের আগের লোকেরা গোমরাহ হয়ে গিয়েছে।
কারণ কোনো সম্মানী ব্যক্তি যখন চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন কোনো দুর্বল লোক চুরি করত, তখন তার ওপর শরিয়তের বিধান বাস্তবায়ন করত। আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করে, তবে অবশ্যই মুহাম্মদ তাঁর হাত কেটে দেবে।’ (বুখারি: ৬৭৮৮)
রাসুল (সা.) তাঁর দীর্ঘ জীবনে ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়েছেন। একবার এক মুনাফিক তাঁর ন্যায়পরায়ণতায় কলঙ্কলেপনের চেষ্টা করেছিল। তখন নবী (সা.) অত্যন্ত দৃঢ়তা ও প্রতাপের সঙ্গে সেই কথা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) জিরানা নামক স্থানে গনিমতের মাল ও সোনা-রুপা বণ্টন করছিলেন। এগুলো বিলাল (রা.)-এর কোলে ছিল। এক ব্যক্তি বলল, ‘মুহাম্মদ, ইনসাফ করুন। কেননা, আপনি ইনসাফ করছেন না।’
তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য দুঃখ হয়, আমিই যদি ইনসাফ না করি, তবে আমার পরে কে ইনসাফ করবে?’ ওমর (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে ছেড়ে দিন, আমি এই মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দিই।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তার সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি দলের উদ্ভব হবে, যারা কোরআন পড়বে, তবে তা তাদের কণ্ঠনালি অতিক্রম করবে না। তারা এমনভাবে ধর্মচ্যুত হবে, যেমন ধনুক থেকে তির শিকারের দিকে দ্রুত ছুটে যায়।’ (ইবনে মাজাহ: ১৭২)
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব, টঙ্গী, গাজীপুর
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৪ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৪ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে