ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাতেই সন্তুষ্ট হয়েছেন। সন্তানের পরিবর্তে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর সেই কাজ আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় হয় যে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের সামর্থ্যবানদের জন্য তা আবশ্যক করে দিয়েছেন।
ইবরাহিম (আ.) ও মহানবী (সা.)-এর সম্পর্ক
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে ইবরাহিম (আ.)-এর রয়েছে এক দারুণ সখ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠতম, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (মুহাম্মদ) ও যারা ইমান এনেছে; আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।’ (সুরা আলে ইমরান: ৬৮)
ইবরাহিম (আ.)-ই ইসলামের অনুসারীদের মুসলমান নাম রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এ তো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের জাতি। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ: ৭৮)
ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার বরকতেই শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ঘটেছে। তিনি দোয়া করে বলেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রাসুল পাঠান, যে আপনার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করবে; তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা বাকারা: ১২৯)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহার নির্ধারিত দিন। মূলত ১০ জিলহজ এক বরকতময় ও ঐতিহাসিক দিন। সেদিন ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া সন্তান ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি করতে উদ্যত হন এবং তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রতি তাঁর আনুগত্য, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইল (আ.)-কে নিরাপদ রেখে তাঁর স্থলে একটি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন। এরশাদ হয়েছে, (ইবরাহিম বললেন) ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন।’ এরপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি, তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী বলো?’ সে বলল, ‘হে আমার বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।’ যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম তাকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে।’ এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এ ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৭)
মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর এই কাজকে তাঁর প্রেমের প্রতীক হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি একে পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।’ (সুরা সাফফাত: ১০৮-১০৯)
ইসলামে প্রথম কোরবানি
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২) হাসান বসরি (রহ.) বলেন, আয়াতে ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি বোঝানো হয়েছে। (আহকামুল কোরআন: ৩ / ৪৭৫)
বদর যুদ্ধের পর গাজওয়ায়ে সাবিক (ছাতুর যুদ্ধ) নামে রক্তপাতহীন একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরির জিলহজ মাসের ৯ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিন ১০ জিলহজ দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দুটি ভেড়া কোরবানি করেন এবং মুসলমানদের কোরবানি করার নির্দেশনা দেন। এটিই ছিল ইসলামের প্রথম কোরবানি। (সিরাতুল মুসতাফা: ২ / ১৭১)
কোরবানির তাৎপর্য ও ফজিলত
জায়দ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৩০২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি: ১৪৯৩)
মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত ও প্রচলিত কোরবানি, যা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু জবাই করার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়, তা মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর মাধ্যমে সূচিত হয়েছে। যদিও শাব্দিক অর্থের কোরবানি আদম (আ.) থেকেই প্রচলিত ছিল।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাতেই সন্তুষ্ট হয়েছেন। সন্তানের পরিবর্তে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর সেই কাজ আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় হয় যে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের সামর্থ্যবানদের জন্য তা আবশ্যক করে দিয়েছেন।
ইবরাহিম (আ.) ও মহানবী (সা.)-এর সম্পর্ক
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে ইবরাহিম (আ.)-এর রয়েছে এক দারুণ সখ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠতম, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (মুহাম্মদ) ও যারা ইমান এনেছে; আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।’ (সুরা আলে ইমরান: ৬৮)
ইবরাহিম (আ.)-ই ইসলামের অনুসারীদের মুসলমান নাম রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এ তো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের জাতি। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ: ৭৮)
ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার বরকতেই শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ঘটেছে। তিনি দোয়া করে বলেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রাসুল পাঠান, যে আপনার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করবে; তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা বাকারা: ১২৯)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহার নির্ধারিত দিন। মূলত ১০ জিলহজ এক বরকতময় ও ঐতিহাসিক দিন। সেদিন ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া সন্তান ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি করতে উদ্যত হন এবং তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রতি তাঁর আনুগত্য, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইল (আ.)-কে নিরাপদ রেখে তাঁর স্থলে একটি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন। এরশাদ হয়েছে, (ইবরাহিম বললেন) ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন।’ এরপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি, তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী বলো?’ সে বলল, ‘হে আমার বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।’ যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম তাকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে।’ এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এ ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৭)
মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর এই কাজকে তাঁর প্রেমের প্রতীক হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি একে পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।’ (সুরা সাফফাত: ১০৮-১০৯)
ইসলামে প্রথম কোরবানি
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২) হাসান বসরি (রহ.) বলেন, আয়াতে ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি বোঝানো হয়েছে। (আহকামুল কোরআন: ৩ / ৪৭৫)
বদর যুদ্ধের পর গাজওয়ায়ে সাবিক (ছাতুর যুদ্ধ) নামে রক্তপাতহীন একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরির জিলহজ মাসের ৯ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিন ১০ জিলহজ দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দুটি ভেড়া কোরবানি করেন এবং মুসলমানদের কোরবানি করার নির্দেশনা দেন। এটিই ছিল ইসলামের প্রথম কোরবানি। (সিরাতুল মুসতাফা: ২ / ১৭১)
কোরবানির তাৎপর্য ও ফজিলত
জায়দ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৩০২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি: ১৪৯৩)
মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত ও প্রচলিত কোরবানি, যা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু জবাই করার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়, তা মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর মাধ্যমে সূচিত হয়েছে। যদিও শাব্দিক অর্থের কোরবানি আদম (আ.) থেকেই প্রচলিত ছিল।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে