অযথা তর্কে জড়ানো অনুচিত

আমজাদ ইউনুস 
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ০২
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ২১

ইসলাম মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে সুন্দর, শুভ্র ও শুদ্ধ দিকটাই প্রাধান্য দেয়। চালচলন, লেনদেন, আচার-আচরণ ও বলন-কথনে ইসলামে সুনির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার রয়েছে। সেই সব শিষ্টাচারের একটি হলো অজ্ঞদের সঙ্গে আচার-আচরণ ও কথা বলার শিষ্টাচার। ইসলাম অজ্ঞ মানুষের সঙ্গে তর্কে জড়াতে নিরুৎসাহিত করে। কারণ এতে সময় ও শ্রমের অপচয় হয়। বাগ্‌বিতণ্ডার কারণে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আরও নানা ধরনের অসুবিধা ও অশান্তি দেখা দেয়।

মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)কে অবান্তর প্রশ্ন এড়িয়ে চলতে আদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি ক্ষমা অবলম্বন করুন। সৎ কাজের নির্দেশ দিন এবং অজ্ঞদের এড়িয়ে চলুন।’ (সুরা আরাফ: ১৯৯)

মহান আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরও অজ্ঞদের এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘আর রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে অত্যন্ত নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোক তাদের (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করলে তারা বলে—সালাম।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩)। অর্থাৎ তারা পৃথিবীতে বিনয়ের সঙ্গে চলাফেরা করে।

মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন, ‘তারা যখন নিরর্থক কথাবার্তা শোনে, তখন তা উপেক্ষা করে, তা থেকে বিরত থাকে আর বলে, আমাদের আমলের ফল আমরা পাব, তোমাদের আমলের ফল তোমরা পাবে, তোমাদের প্রতি সালাম। মূর্খদের সঙ্গে আমাদের বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই।’ (সুরা কাসাস: ৫৫)

কাব ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আলেমদের সামনে অহংকার করার জন্য অথবা মূর্খদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করার জন্য অথবা মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য জ্ঞানার্জন করে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (তিরমিজি) 

আমজাদ ইউনুস, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত