আমজাদ ইউনুস
ইসলাম মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে সুন্দর, শুভ্র ও শুদ্ধ দিকটাই প্রাধান্য দেয়। চালচলন, লেনদেন, আচার-আচরণ ও বলন-কথনে ইসলামে সুনির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার রয়েছে। সেই সব শিষ্টাচারের একটি হলো অজ্ঞদের সঙ্গে আচার-আচরণ ও কথা বলার শিষ্টাচার। ইসলাম অজ্ঞ মানুষের সঙ্গে তর্কে জড়াতে নিরুৎসাহিত করে। কারণ এতে সময় ও শ্রমের অপচয় হয়। বাগ্বিতণ্ডার কারণে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আরও নানা ধরনের অসুবিধা ও অশান্তি দেখা দেয়।
মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)কে অবান্তর প্রশ্ন এড়িয়ে চলতে আদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি ক্ষমা অবলম্বন করুন। সৎ কাজের নির্দেশ দিন এবং অজ্ঞদের এড়িয়ে চলুন।’ (সুরা আরাফ: ১৯৯)
মহান আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরও অজ্ঞদের এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘আর রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে অত্যন্ত নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোক তাদের (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করলে তারা বলে—সালাম।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩)। অর্থাৎ তারা পৃথিবীতে বিনয়ের সঙ্গে চলাফেরা করে।
মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন, ‘তারা যখন নিরর্থক কথাবার্তা শোনে, তখন তা উপেক্ষা করে, তা থেকে বিরত থাকে আর বলে, আমাদের আমলের ফল আমরা পাব, তোমাদের আমলের ফল তোমরা পাবে, তোমাদের প্রতি সালাম। মূর্খদের সঙ্গে আমাদের বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই।’ (সুরা কাসাস: ৫৫)
কাব ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আলেমদের সামনে অহংকার করার জন্য অথবা মূর্খদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করার জন্য অথবা মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য জ্ঞানার্জন করে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (তিরমিজি)
আমজাদ ইউনুস, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে সুন্দর, শুভ্র ও শুদ্ধ দিকটাই প্রাধান্য দেয়। চালচলন, লেনদেন, আচার-আচরণ ও বলন-কথনে ইসলামে সুনির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার রয়েছে। সেই সব শিষ্টাচারের একটি হলো অজ্ঞদের সঙ্গে আচার-আচরণ ও কথা বলার শিষ্টাচার। ইসলাম অজ্ঞ মানুষের সঙ্গে তর্কে জড়াতে নিরুৎসাহিত করে। কারণ এতে সময় ও শ্রমের অপচয় হয়। বাগ্বিতণ্ডার কারণে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আরও নানা ধরনের অসুবিধা ও অশান্তি দেখা দেয়।
মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)কে অবান্তর প্রশ্ন এড়িয়ে চলতে আদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি ক্ষমা অবলম্বন করুন। সৎ কাজের নির্দেশ দিন এবং অজ্ঞদের এড়িয়ে চলুন।’ (সুরা আরাফ: ১৯৯)
মহান আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরও অজ্ঞদের এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘আর রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে অত্যন্ত নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোক তাদের (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করলে তারা বলে—সালাম।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩)। অর্থাৎ তারা পৃথিবীতে বিনয়ের সঙ্গে চলাফেরা করে।
মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন, ‘তারা যখন নিরর্থক কথাবার্তা শোনে, তখন তা উপেক্ষা করে, তা থেকে বিরত থাকে আর বলে, আমাদের আমলের ফল আমরা পাব, তোমাদের আমলের ফল তোমরা পাবে, তোমাদের প্রতি সালাম। মূর্খদের সঙ্গে আমাদের বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই।’ (সুরা কাসাস: ৫৫)
কাব ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আলেমদের সামনে অহংকার করার জন্য অথবা মূর্খদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করার জন্য অথবা মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য জ্ঞানার্জন করে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (তিরমিজি)
আমজাদ ইউনুস, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
১৭ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
২ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৩ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৪ দিন আগে