মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: ফরজ ও নফল নামাজে কোনো নির্দিষ্ট সুরা পাঠ করা কি মহানবী (সা.)-এর সুন্নত? যদি তাই হয়ে থাকে, তবে কোন নামাজে কোন সুরা পড়া সুন্নত, তা জানালে কৃতজ্ঞ হব।
জিনিয়া ইসলাম, ঢাকা
উত্তর: নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ফরজ। কোরআনে যেকোনো স্থান থেকে পড়লেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। তবে নামাজের সুরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত নবীজি (সা.) একটি নিয়ম অনুসরণ করতেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী তিলাওয়াত করা সুন্নত। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে কিরাত পড়ার ক্ষেত্রে নবী (সা.)-এর সাধারণ অভ্যাস ছিল ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত (৪৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বুরুজ (৮৫ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক (৮৬ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বায়্যিনাহ (৯৮ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল (৯৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা নাস (সর্বশেষ সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। এটি স্বাভাবিক সময়ের জন্য সুন্নত। সফরে থাকলে এটি অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া জুমার নামাজে নবী (সা.) প্রায় সময় সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া বা সুরা জুমুআ ও সুরা মুনাফিকুন তিলাওয়াত করতেন। আবার প্রায় সময় জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর তিলাওয়াত করতেন। ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। বিতরের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন ও তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করার অভ্যাস ছিল।
সূত্র: দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম ও মালা বুদ্দা মিনহু।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: ফরজ ও নফল নামাজে কোনো নির্দিষ্ট সুরা পাঠ করা কি মহানবী (সা.)-এর সুন্নত? যদি তাই হয়ে থাকে, তবে কোন নামাজে কোন সুরা পড়া সুন্নত, তা জানালে কৃতজ্ঞ হব।
জিনিয়া ইসলাম, ঢাকা
উত্তর: নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ফরজ। কোরআনে যেকোনো স্থান থেকে পড়লেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। তবে নামাজের সুরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত নবীজি (সা.) একটি নিয়ম অনুসরণ করতেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী তিলাওয়াত করা সুন্নত। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে কিরাত পড়ার ক্ষেত্রে নবী (সা.)-এর সাধারণ অভ্যাস ছিল ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত (৪৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বুরুজ (৮৫ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক (৮৬ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বায়্যিনাহ (৯৮ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল (৯৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা নাস (সর্বশেষ সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। এটি স্বাভাবিক সময়ের জন্য সুন্নত। সফরে থাকলে এটি অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া জুমার নামাজে নবী (সা.) প্রায় সময় সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া বা সুরা জুমুআ ও সুরা মুনাফিকুন তিলাওয়াত করতেন। আবার প্রায় সময় জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর তিলাওয়াত করতেন। ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। বিতরের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন ও তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করার অভ্যাস ছিল।
সূত্র: দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম ও মালা বুদ্দা মিনহু।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ফতোয়া গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৭ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৭ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৭ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে