ইজাজুল হক, ঢাকা
পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া পরে মুসা (আ.)-এর আহ্বানে ইমান এনেছিলেন। এই কারণে ফেরাউনের নির্যাতনে প্রাণ দিতে হয় তাঁকে। পবিত্র কোরআনে তাঁর ধৈর্যের ও পরকালীন পুরস্কারের বিবরণ এসেছে।
ফেরাউনের প্রাসাদে শিশু মুসা
ফেরাউন জ্যোতিষীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছিল, মিসরে এমন এক ছেলে শিশুর জন্ম হবে, যে তার রাজত্বের অবসান ঘটাবে। তখন ফেরাউন ছিল মিসরের ‘খোদা’ দাবিদার শাসক। এই খবর শুনে সে সব নবজাতক ছেলেকে হত্যা করার আদেশ দেয়। এই সময়ে মুসা (আ.)-এর জন্ম হয়। আল্লাহর নির্দেশে শিশু মুসাকে তাঁর মা একটি কাটের বাক্সে ভরে নীল নদে ভাসিয়ে দেন। বাক্সটি ভাসতে ভাসতে ফেরাউনের প্রাসাদের কাছে চলে আসে। প্রাসাদের পরিচারকেরা সেটি তুলে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার সামনে পেশ করে। নিজের সন্তানের মতো মুসাকে লালনপালন করতে চান আসিয়া। ফেরাউন প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে স্ত্রীর জোরাজুরিতে রাজি হয়ে যায়। আসিয়া তাঁকে মায়ের মমতায় বড় করেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
ফেরাউনের সঙ্গে কথোপকথন
পবিত্র কোরআনে হজরত আসিয়ার সেই কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়েছে এভাবে—‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, সে (শিশু মুসা) আমার ও তোমার চোখ শীতল করবে, তোমরা তাকে হত্যা করো না, হয়তো সে আমাদের উপকার করবে কিংবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করব। তারা তা অনুধাবন করতে পারেনি।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৯)
আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেন, নীল নদে ভাসতে থাকা বাক্সটি যখন আসিয়ার কাছে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি সেটি খুললেন এবং দেখলেন, শিশু মুসার চেহারা এক অপার্থিব আলোয় জ্বলজ্বল করছে। দেখেই তিনি তার মায়ায় পড়ে যান। ফেরাউন এসে বলল, ‘এ কে আবার? একে জবাই করে দাও।’ তখন আসিয়া মুসার পক্ষে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘সে আমার ও আপনার চোখ শীতল করবে।’ ফেরাউন বলল, ‘তোমার জন্য হতে পারে, আমার জন্য নয়।’ তখন আসিয়া ফেরাউনকে বলেছিলেন, ‘হয়তো ছেলেটি আমাদের উপকার করবে।’ পরবর্তী জীবনে মুসা (আ.) সত্যিই আসিয়ার উপকার করেছিলেন। তাঁর দাওয়াতেই আসিয়া ইমান এনেছিলেন এবং জীবিতকালেই আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সুখবর দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় উপকার আর কী হতে পারে! তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অথবা আমরা তাকে সন্তান বানিয়ে নিতে পারি।’ কারণ ফেরাউন-আসিয়া দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। এ কথোপকথন উল্লেখের পর আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারা বিষয়টি বুঝতে পারেনি’। অর্থাৎ আল্লাহ যে এখানে অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছেন, তা তারা বুঝতে পারেনি। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
আসিয়ার কঠিন শাস্তি
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ইমান আনার পর প্রথমে ফেরাউন আসিয়াকে দুনিয়ার প্রাচুর্যের লোভ দেখিয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। ফেরাউনকে উপাস্য হিসেবে মেনে নেননি তিনি। বরং মুসা ও হারুন (আ.)-এর রব আল্লাহর প্রতিই ইমান আনার ঘোষণা দেন। এ কারণে তাঁকে কঠিন শাস্তি দেয় ফেরাউন। তবে কোনো শাস্তিতেই তিনি টলেননি। মৃত্যু পর্যন্ত ধৈর্য ধরে গেছেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
ইমাম তাবারি সেই নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘ফেরাউনের স্ত্রীকে সূর্যের প্রখর তাপে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। তবে সেখানে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাঁকে ছায়া দিতেন এবং জান্নাতে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরটি দেখাতেন। ফেরাউন আসিয়াকে জিজ্ঞেস করত, “কে জিতেছে?” জবাবে তিনি বলতেন, “মুসা ও হারুন জিতেছে। আমি হারুন ও মুসার রবের প্রতি ইমান এনেছি।” একপর্যায়ে ফেরাউন দেশের সবচেয়ে বড় পাথরটি খুঁজে আনার আদেশ দেয় এবং বলে, “সে নিজের বিশ্বাসে অটল থাকলে এই পাথরটি ফেলে তাকে হত্যা করো।” পাথর নিয়ে তারা যখন এল, তখন আসিয়া আসমানের দিকে তাকালেন, জান্নাতে নিজের ঘরটি দেখতে পেলেন, নিজের বিশ্বাসে অটল থাকা অবস্থায় তার প্রাণপাখি উড়ে গেল। এরপর সেই মৃতদেহের ওপর তারা পাথর ফেলে থেঁতলে দিল।’ (তাফসিরে তাবারি)
সেই কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর উপমা পেশ করছেন, তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ, আমার জন্য জান্নাতে আপনার কাছে একটি ঘর নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করুন। আমাকে জালেম জনগোষ্ঠী থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা তাহরিম: ১১)
হাদিসে হজরত আসিয়ার মর্যাদার কথা
মহানবী (সা.) হজরত আসিয়া (রা.)-কে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন বলেছেন। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পূর্ণতা অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পূর্ণতা অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া। আর সব খাবারের মধ্যে সারিদ যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি সব নারীর মধ্যে আয়েশা শ্রেষ্ঠ।’ (বুখারি: ৩৪১১; মুসলিম: ২৪৩১)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখা টেনে বলেন, ‘তোমরা কি জানো এটা কী?’ সাহাবিরা বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৯০৩)
আরেক হাদিসে এসেছে, আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)
পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন আসিয়া বিনতে মুজাহিম। আল্লাহর নবী হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে মিসরের প্রতাপশালী শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। ছোট কাঠের বাক্সে নীল নদে ভাসতে থাকা শিশু মুসাকে তিনিই ফেরাউনের শিশুহত্যার ফরমান থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। পরে মুসা (আ.)-কে লালনপালনের দায়িত্ব তাঁর মাকেই দিয়েছিলেন। আসিয়া পরে মুসা (আ.)-এর আহ্বানে ইমান এনেছিলেন। এই কারণে ফেরাউনের নির্যাতনে প্রাণ দিতে হয় তাঁকে। পবিত্র কোরআনে তাঁর ধৈর্যের ও পরকালীন পুরস্কারের বিবরণ এসেছে।
ফেরাউনের প্রাসাদে শিশু মুসা
ফেরাউন জ্যোতিষীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছিল, মিসরে এমন এক ছেলে শিশুর জন্ম হবে, যে তার রাজত্বের অবসান ঘটাবে। তখন ফেরাউন ছিল মিসরের ‘খোদা’ দাবিদার শাসক। এই খবর শুনে সে সব নবজাতক ছেলেকে হত্যা করার আদেশ দেয়। এই সময়ে মুসা (আ.)-এর জন্ম হয়। আল্লাহর নির্দেশে শিশু মুসাকে তাঁর মা একটি কাটের বাক্সে ভরে নীল নদে ভাসিয়ে দেন। বাক্সটি ভাসতে ভাসতে ফেরাউনের প্রাসাদের কাছে চলে আসে। প্রাসাদের পরিচারকেরা সেটি তুলে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার সামনে পেশ করে। নিজের সন্তানের মতো মুসাকে লালনপালন করতে চান আসিয়া। ফেরাউন প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে স্ত্রীর জোরাজুরিতে রাজি হয়ে যায়। আসিয়া তাঁকে মায়ের মমতায় বড় করেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
ফেরাউনের সঙ্গে কথোপকথন
পবিত্র কোরআনে হজরত আসিয়ার সেই কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়েছে এভাবে—‘ফেরাউনের স্ত্রী বলল, সে (শিশু মুসা) আমার ও তোমার চোখ শীতল করবে, তোমরা তাকে হত্যা করো না, হয়তো সে আমাদের উপকার করবে কিংবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করব। তারা তা অনুধাবন করতে পারেনি।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৯)
আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ বলেন, নীল নদে ভাসতে থাকা বাক্সটি যখন আসিয়ার কাছে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি সেটি খুললেন এবং দেখলেন, শিশু মুসার চেহারা এক অপার্থিব আলোয় জ্বলজ্বল করছে। দেখেই তিনি তার মায়ায় পড়ে যান। ফেরাউন এসে বলল, ‘এ কে আবার? একে জবাই করে দাও।’ তখন আসিয়া মুসার পক্ষে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘সে আমার ও আপনার চোখ শীতল করবে।’ ফেরাউন বলল, ‘তোমার জন্য হতে পারে, আমার জন্য নয়।’ তখন আসিয়া ফেরাউনকে বলেছিলেন, ‘হয়তো ছেলেটি আমাদের উপকার করবে।’ পরবর্তী জীবনে মুসা (আ.) সত্যিই আসিয়ার উপকার করেছিলেন। তাঁর দাওয়াতেই আসিয়া ইমান এনেছিলেন এবং জীবিতকালেই আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সুখবর দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় উপকার আর কী হতে পারে! তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অথবা আমরা তাকে সন্তান বানিয়ে নিতে পারি।’ কারণ ফেরাউন-আসিয়া দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। এ কথোপকথন উল্লেখের পর আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারা বিষয়টি বুঝতে পারেনি’। অর্থাৎ আল্লাহ যে এখানে অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছেন, তা তারা বুঝতে পারেনি। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
আসিয়ার কঠিন শাস্তি
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ইমান আনার পর প্রথমে ফেরাউন আসিয়াকে দুনিয়ার প্রাচুর্যের লোভ দেখিয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। ফেরাউনকে উপাস্য হিসেবে মেনে নেননি তিনি। বরং মুসা ও হারুন (আ.)-এর রব আল্লাহর প্রতিই ইমান আনার ঘোষণা দেন। এ কারণে তাঁকে কঠিন শাস্তি দেয় ফেরাউন। তবে কোনো শাস্তিতেই তিনি টলেননি। মৃত্যু পর্যন্ত ধৈর্য ধরে গেছেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
ইমাম তাবারি সেই নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘ফেরাউনের স্ত্রীকে সূর্যের প্রখর তাপে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। তবে সেখানে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাঁকে ছায়া দিতেন এবং জান্নাতে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরটি দেখাতেন। ফেরাউন আসিয়াকে জিজ্ঞেস করত, “কে জিতেছে?” জবাবে তিনি বলতেন, “মুসা ও হারুন জিতেছে। আমি হারুন ও মুসার রবের প্রতি ইমান এনেছি।” একপর্যায়ে ফেরাউন দেশের সবচেয়ে বড় পাথরটি খুঁজে আনার আদেশ দেয় এবং বলে, “সে নিজের বিশ্বাসে অটল থাকলে এই পাথরটি ফেলে তাকে হত্যা করো।” পাথর নিয়ে তারা যখন এল, তখন আসিয়া আসমানের দিকে তাকালেন, জান্নাতে নিজের ঘরটি দেখতে পেলেন, নিজের বিশ্বাসে অটল থাকা অবস্থায় তার প্রাণপাখি উড়ে গেল। এরপর সেই মৃতদেহের ওপর তারা পাথর ফেলে থেঁতলে দিল।’ (তাফসিরে তাবারি)
সেই কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর উপমা পেশ করছেন, তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ, আমার জন্য জান্নাতে আপনার কাছে একটি ঘর নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করুন। আমাকে জালেম জনগোষ্ঠী থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা তাহরিম: ১১)
হাদিসে হজরত আসিয়ার মর্যাদার কথা
মহানবী (সা.) হজরত আসিয়া (রা.)-কে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত নারীদের একজন বলেছেন। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের মধ্যে অনেকে পূর্ণতা অর্জন করেছেন। তবে নারীদের মধ্যে পূর্ণতা অর্জন করেছেন শুধু মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া। আর সব খাবারের মধ্যে সারিদ যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি সব নারীর মধ্যে আয়েশা শ্রেষ্ঠ।’ (বুখারি: ৩৪১১; মুসলিম: ২৪৩১)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখা টেনে বলেন, ‘তোমরা কি জানো এটা কী?’ সাহাবিরা বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জানেন।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৯০৩)
আরেক হাদিসে এসেছে, আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে