মুফতি ইশমাম আহমেদ
আমাদের দেশে ঈদের দিন প্রিয়জনদের বিশেষ করে ছোটদের ঈদি বা ঈদ সালামি দিতে দেখা যায়। কেউ টাকা দিয়ে আবার কেউ অন্য উপহার দিয়ে ছোটদের খুশি করার চেষ্টা করেন। এভাবে ঈদ উদ্যাপনে ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো বিধিনিষেধ আছে কি?
মুহাম্মদ শামীম, ঢাকা
ঈদ অর্থ খুশি ও আনন্দ। রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখার পর মহান আল্লাহ এই দিনে মুমিন মুসলমানদের খুশি উদযাপন করতে আদেশ দিয়েছেন। এই দিন আল্লাহর আতিথেয়তার দিন। ভরপুর খাওয়া-দাওয়া, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ এবং গরিব-দুঃখী মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার দিন। বিশেষ করে ছোটদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম ঈদি বা ঈদ সালামি।
সালামি বা সেলামি শব্দের অর্থ উপহার, নজরানা ইত্যাদি। ঈদের দিনে ছোটদের খুশি করতে টাকাপয়সা বা অন্য কোনো উপহারের মাধ্যমে সালামি দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে কেবল বৈধ রীতিই নয়, বরং তা প্রশংসনীয়ও বটে। কারণ ছোটদের উপহার দিতে এবং আদর-স্নেহ করতে উৎসাহ দেয় ইসলাম। এতে আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ে। ঈদের আনন্দে যোগ হয় নতুন মাত্রা।
হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা উপহার আদান-প্রদান করো, পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান বোঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ) আরেক হাদিসে এরশাদ হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘উত্তম আমল হলো, তোমার মুসলিম ভাইকে খুশি করা।... (শুআবুল ইমান)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের দেশে ঈদের দিন প্রিয়জনদের বিশেষ করে ছোটদের ঈদি বা ঈদ সালামি দিতে দেখা যায়। কেউ টাকা দিয়ে আবার কেউ অন্য উপহার দিয়ে ছোটদের খুশি করার চেষ্টা করেন। এভাবে ঈদ উদ্যাপনে ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো বিধিনিষেধ আছে কি?
মুহাম্মদ শামীম, ঢাকা
ঈদ অর্থ খুশি ও আনন্দ। রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখার পর মহান আল্লাহ এই দিনে মুমিন মুসলমানদের খুশি উদযাপন করতে আদেশ দিয়েছেন। এই দিন আল্লাহর আতিথেয়তার দিন। ভরপুর খাওয়া-দাওয়া, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ এবং গরিব-দুঃখী মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার দিন। বিশেষ করে ছোটদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম ঈদি বা ঈদ সালামি।
সালামি বা সেলামি শব্দের অর্থ উপহার, নজরানা ইত্যাদি। ঈদের দিনে ছোটদের খুশি করতে টাকাপয়সা বা অন্য কোনো উপহারের মাধ্যমে সালামি দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে কেবল বৈধ রীতিই নয়, বরং তা প্রশংসনীয়ও বটে। কারণ ছোটদের উপহার দিতে এবং আদর-স্নেহ করতে উৎসাহ দেয় ইসলাম। এতে আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ে। ঈদের আনন্দে যোগ হয় নতুন মাত্রা।
হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা উপহার আদান-প্রদান করো, পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান বোঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ) আরেক হাদিসে এরশাদ হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘উত্তম আমল হলো, তোমার মুসলিম ভাইকে খুশি করা।... (শুআবুল ইমান)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৯ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৯ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে