মাওলানা ইসমাইল নাজিম
বৃষ্টি মহান আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। পবিত্র কোরআনে বারবার তিনি বৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর অপার দানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এক আয়াতে বলেছেন, ‘আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণের মাধ্যমে মৃতপ্রায় ধরিত্রীকে পুনরুজ্জীবিত করেন; তাতে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তার ঘটান; তাতে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৬৪)
বৃষ্টির মাধ্যমেই পৃথিবী প্রাণের স্পন্দনে জেগে ওঠে। উৎপাদিত হয় নানা স্বাদ ও রঙের ফলমূল, শাকসবজি ও খাদ্য, যা খেয়ে মানুষ ও প্রাণী জগৎ জীবনধারণ করে। এরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, তা দিয়ে তোমাদের জীবিকাস্বরূপ ফলমূল উৎপাদন করেন।’ (সুরা বাকারা: ২২)
মানুষের ব্যবহারের জন্য বৃষ্টির পানি নদী-সমুদ্র ও ভূগর্ভে সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করেছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিতভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তারপর তা ভূমিতে সংরক্ষণ করি। নিশ্চিত জেনো, আমি তা অপসারণ করতেও সক্ষম।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮)
তবে বৃষ্টি যেমন রহমতের, আবার কখনো আজাবেরও হতে পারে। এ কারণে রাসুল (সা.) বৃষ্টি দেখলেই মহান আল্লাহর দরবারে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন বৃষ্টি হতো, তখন রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সয়্যিবান নাফিআহ।’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী করে দিন।’ (নাসায়ি: ১৫২৩)
সীমালঙ্ঘনকারী অনেক জাতিকে আল্লাহ তাআলা অতিবৃষ্টি দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের ওপর পাথরের বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। অতএব চেয়ে দেখো, অপরাধীদের কী পরিণাম হয়ে থাকে।’ (সুরা আরাফ: ৮৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বৃষ্টি মহান আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। পবিত্র কোরআনে বারবার তিনি বৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর অপার দানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এক আয়াতে বলেছেন, ‘আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণের মাধ্যমে মৃতপ্রায় ধরিত্রীকে পুনরুজ্জীবিত করেন; তাতে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তার ঘটান; তাতে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৬৪)
বৃষ্টির মাধ্যমেই পৃথিবী প্রাণের স্পন্দনে জেগে ওঠে। উৎপাদিত হয় নানা স্বাদ ও রঙের ফলমূল, শাকসবজি ও খাদ্য, যা খেয়ে মানুষ ও প্রাণী জগৎ জীবনধারণ করে। এরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, তা দিয়ে তোমাদের জীবিকাস্বরূপ ফলমূল উৎপাদন করেন।’ (সুরা বাকারা: ২২)
মানুষের ব্যবহারের জন্য বৃষ্টির পানি নদী-সমুদ্র ও ভূগর্ভে সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করেছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিতভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তারপর তা ভূমিতে সংরক্ষণ করি। নিশ্চিত জেনো, আমি তা অপসারণ করতেও সক্ষম।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮)
তবে বৃষ্টি যেমন রহমতের, আবার কখনো আজাবেরও হতে পারে। এ কারণে রাসুল (সা.) বৃষ্টি দেখলেই মহান আল্লাহর দরবারে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন বৃষ্টি হতো, তখন রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সয়্যিবান নাফিআহ।’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী করে দিন।’ (নাসায়ি: ১৫২৩)
সীমালঙ্ঘনকারী অনেক জাতিকে আল্লাহ তাআলা অতিবৃষ্টি দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের ওপর পাথরের বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। অতএব চেয়ে দেখো, অপরাধীদের কী পরিণাম হয়ে থাকে।’ (সুরা আরাফ: ৮৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
এখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ ঘণ্টা আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১ দিন আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১ দিন আগে