ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
মসজিদের নির্দিষ্ট কিছু আদব আছে। অনেকেই মসজিদে গিয়ে এমন সব ভুল ও অসংলগ্ন আচরণ করে বসেন, যা অন্য মুসল্লিদের ভোগান্তির কারণ হয় অথবা মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনার বিপরীত হয়। মসজিদে ধীরে সুস্থে আদব বজায় রেখে প্রশান্ত চিত্তে ইবাদত করা উচিত। এখানে মসজিদে মুসল্লিদের পাঁচটি সাধারণ ভুলের আলোচনা করা হলো—
১. দৌড়ে জামাতে অংশ নেওয়া
ইমাম রুকুতে চলে গেলে জামাত ধরার জন্য অনেকেই দৌড় দেন। এই কাজ মহানবী (সা.) মোটেই পছন্দ করতেন না। তাই এ ব্যাপারে সাহাবিদের নিষেধ করেন। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবী (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম, নামাজে তিনি ছোটাছুটির শব্দ শুনতে পান। নামাজ শেষে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কী করছিলে?’ তারা বলল, ‘আমরা নামাজের জন্য তাড়াহুড়ো করে আসছিলাম।’ আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, ‘এমন কাজ কখনো করো না। শান্তিপূর্ণ ও ধীরস্থিরে নামাজে আসবে। তাতে যে কয় রাকাত ইমামের সঙ্গে পাবে, তা পড়ে নেবে, আর যা ছুটে যায় তা ইমামের নামাজের পর পূর্ণ করে নেবে।’ (বুখারি)
২. কাউকে ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া
মসজিদে গিয়ে মানুষের কষ্ট হয় এমন কাজ করা ঠিক নয়। অনেক সময় দেখা যায়, মসজিদে অনেক মানুষ বসে আছেন। শেষ সময়ে এসে কেউ একজন কাতার ঠেলে ওপরের কাতারে চলে যাচ্ছেন। অনেক সময় মুসল্লিদের ডিঙিয়ে অত্যন্ত বিশ্রীভাবে সামনে যান, যা মোটেও ঠিক নয়। হাদিসে এসেছে, একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। এক লোক সবার ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে আসছিল। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, ‘বসো! তুমি মানুষকে কষ্ট দিলে।’ (আবু দাউদ)
৩. কাতার পূর্ণ না করা
কাতার পূর্ণ করার নিয়ম হলো, প্রথমে ইমামের সোজা পেছনে দাঁড়াবে, তারপর ডানে ও বাঁয়ে সমানভাবে মুসল্লি যোগ হতে থাকবে। এভাবে এক কাতার পূর্ণ হলে একই নিয়মে পরবর্তী কাতার পূর্ণ করবে। এই নিয়মের বিপরীতে গিয়ে এক কাতার খালি রেখে পরের কাতারে দাঁড়ানো অথবা একপাশ থেকে দাঁড়ানো সুন্নতের খেলাপ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাতার মিলিত করে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে দেন। আর যে ব্যক্তি কাতার বিচ্ছিন্ন করে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন।’ (নাসায়ি)
৪. তাকবিরে তাহরিমা না পড়ে রুকু করা
প্রচলিত আরেকটি ভুল হলো, তাড়াহুড়ো করে এসে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহ আকবার’ না বলে রুকুতে চলে যাওয়া। ইমামের সঙ্গে জামাত ধরতে অনেক সময় এমনটি করেন অনেকে। রুকুর জন্য তাকবির পড়লে তা তাকবিরে তাহরিমা হবে না। আর তাকবিরে তাহরিমা না পড়লে নামাজ হবে না। কারণ নামাজে তাকবিরে তাহরিমা বলা ফরজ। তাই প্রথমে আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করতে হবে, এরপর আবার আল্লাহু আকবার বলে রুকু করতে হবে। এ বিষয়ে অধিক তাড়াহুড়া বা অবহেলা করলে নামাজ শুদ্ধ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। (ফতোয়া শামি: ১ / ৪৪২-৪৫২, আল-বাহরুর রায়েক: ২ / ২৭৬)
৫. নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া
নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে চলাচল করা বৈধ নয়। অর্থাৎ, মুসল্লির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবে না। সোজা মুসল্লির সামনে থেকে ডানে বা বাঁয়ে সরে গেলে অসুবিধা নেই। অতিক্রম করতে হলে আনুমানিক এক ফুট উচ্চতার কোনো কিছু সামনে রেখে যেতে হবে। অবশ্য দুই কাতার সামনে দিয়ে গেলে বা মসজিদ অনেক বড় হলে গুনাহ হবে না। নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়ার গুনাহ সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কী পরিমাণ পাপ রয়েছে, তবে তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে ৪০ বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম হতো।’ বর্ণনাকারী আবু নসর বলেন, ‘আমার মনে পড়ে না ৪০ দিন, না ৪০ মাস, না ৪০ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
মসজিদের নির্দিষ্ট কিছু আদব আছে। অনেকেই মসজিদে গিয়ে এমন সব ভুল ও অসংলগ্ন আচরণ করে বসেন, যা অন্য মুসল্লিদের ভোগান্তির কারণ হয় অথবা মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনার বিপরীত হয়। মসজিদে ধীরে সুস্থে আদব বজায় রেখে প্রশান্ত চিত্তে ইবাদত করা উচিত। এখানে মসজিদে মুসল্লিদের পাঁচটি সাধারণ ভুলের আলোচনা করা হলো—
১. দৌড়ে জামাতে অংশ নেওয়া
ইমাম রুকুতে চলে গেলে জামাত ধরার জন্য অনেকেই দৌড় দেন। এই কাজ মহানবী (সা.) মোটেই পছন্দ করতেন না। তাই এ ব্যাপারে সাহাবিদের নিষেধ করেন। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবী (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম, নামাজে তিনি ছোটাছুটির শব্দ শুনতে পান। নামাজ শেষে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কী করছিলে?’ তারা বলল, ‘আমরা নামাজের জন্য তাড়াহুড়ো করে আসছিলাম।’ আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, ‘এমন কাজ কখনো করো না। শান্তিপূর্ণ ও ধীরস্থিরে নামাজে আসবে। তাতে যে কয় রাকাত ইমামের সঙ্গে পাবে, তা পড়ে নেবে, আর যা ছুটে যায় তা ইমামের নামাজের পর পূর্ণ করে নেবে।’ (বুখারি)
২. কাউকে ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া
মসজিদে গিয়ে মানুষের কষ্ট হয় এমন কাজ করা ঠিক নয়। অনেক সময় দেখা যায়, মসজিদে অনেক মানুষ বসে আছেন। শেষ সময়ে এসে কেউ একজন কাতার ঠেলে ওপরের কাতারে চলে যাচ্ছেন। অনেক সময় মুসল্লিদের ডিঙিয়ে অত্যন্ত বিশ্রীভাবে সামনে যান, যা মোটেও ঠিক নয়। হাদিসে এসেছে, একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। এক লোক সবার ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে আসছিল। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, ‘বসো! তুমি মানুষকে কষ্ট দিলে।’ (আবু দাউদ)
৩. কাতার পূর্ণ না করা
কাতার পূর্ণ করার নিয়ম হলো, প্রথমে ইমামের সোজা পেছনে দাঁড়াবে, তারপর ডানে ও বাঁয়ে সমানভাবে মুসল্লি যোগ হতে থাকবে। এভাবে এক কাতার পূর্ণ হলে একই নিয়মে পরবর্তী কাতার পূর্ণ করবে। এই নিয়মের বিপরীতে গিয়ে এক কাতার খালি রেখে পরের কাতারে দাঁড়ানো অথবা একপাশ থেকে দাঁড়ানো সুন্নতের খেলাপ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাতার মিলিত করে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে দেন। আর যে ব্যক্তি কাতার বিচ্ছিন্ন করে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন।’ (নাসায়ি)
৪. তাকবিরে তাহরিমা না পড়ে রুকু করা
প্রচলিত আরেকটি ভুল হলো, তাড়াহুড়ো করে এসে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহ আকবার’ না বলে রুকুতে চলে যাওয়া। ইমামের সঙ্গে জামাত ধরতে অনেক সময় এমনটি করেন অনেকে। রুকুর জন্য তাকবির পড়লে তা তাকবিরে তাহরিমা হবে না। আর তাকবিরে তাহরিমা না পড়লে নামাজ হবে না। কারণ নামাজে তাকবিরে তাহরিমা বলা ফরজ। তাই প্রথমে আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করতে হবে, এরপর আবার আল্লাহু আকবার বলে রুকু করতে হবে। এ বিষয়ে অধিক তাড়াহুড়া বা অবহেলা করলে নামাজ শুদ্ধ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। (ফতোয়া শামি: ১ / ৪৪২-৪৫২, আল-বাহরুর রায়েক: ২ / ২৭৬)
৫. নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া
নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে চলাচল করা বৈধ নয়। অর্থাৎ, মুসল্লির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবে না। সোজা মুসল্লির সামনে থেকে ডানে বা বাঁয়ে সরে গেলে অসুবিধা নেই। অতিক্রম করতে হলে আনুমানিক এক ফুট উচ্চতার কোনো কিছু সামনে রেখে যেতে হবে। অবশ্য দুই কাতার সামনে দিয়ে গেলে বা মসজিদ অনেক বড় হলে গুনাহ হবে না। নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়ার গুনাহ সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কী পরিমাণ পাপ রয়েছে, তবে তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে ৪০ বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম হতো।’ বর্ণনাকারী আবু নসর বলেন, ‘আমার মনে পড়ে না ৪০ দিন, না ৪০ মাস, না ৪০ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৯ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৯ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে