ইসলাম ডেস্ক
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। এই সময়ে মুমিন বান্দাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, বিপদ এসে গেলে ধৈর্য ধরতে হবে এবং আল্লাহর কাছে নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, তওবাসহ অন্যান্য আমলের মাধ্যমে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এখানে কয়েকটি করণীয়র কথা তুলে ধরা হলো—
১. সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ কিছু কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, দুর্যোগের ক্ষতি থেকে বাঁচার সম্ভাব্য সব উপায়-উপকরণ গ্রহণ করতে ইসলামে কোনো বাধা নেই। এটি তাওয়াক্কুল পরিপন্থী কোনো কাজ নয়। বরং এই সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই একজন মুমিনের কর্তব্য। কারণ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শরিয়তের অন্যতম উদ্দেশ্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, সতর্কতা অবলম্বন করো। …’ (সুরা নিসা: ৭১) হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ‘ইমানদার ব্যক্তি একই গর্তে দুইবার দংশিত হয় না।’ (বুখারি: ৬১৩৩)
২. আল্লাহর ওপর ভরসা
সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। তিনি না চাইলে পৃথিবীর কেউই কোথাও নিরাপদ নয়—এই বিশ্বাস মনের মধ্যে গেঁথে নিতে হবে। তিনিই আমাদের শেষ ভরসাস্থল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক: ৩)
৩. বিপদে ধৈর্যধারণ
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জানমালের ক্ষতি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই এই সময়ে বিচলিত না হয়ে ধৈর্যধারণ করতে হবে। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা নিজেদের বিপদ-আপদের সময় বলে—নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৬)
আর ধৈর্যধারণের সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো নামাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)
৪. তওবা-ইস্তিগফার
যখন কোনো দুর্যোগ নেমে আসে, তখন আল্লাহর কাছে তওবা করা, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা, কৃত গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনা করাই মুমিনের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘শিগগিরই মহান আল্লাহকে স্মরণ করো, তাঁর কাছে তওবা করো।’ (বুখারি: ২ / ৩০; মুসলিম: ২ / ৬২৮)
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচার দোয়াগুলোর মধ্যে সংক্ষিপ্ত একটি দোয়া হলো—
رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ اِنَّا مُؤْمِنُوْنَ
উচ্চারণ: ‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের ওপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান: ১২)
৫. দান-সদকা
বালা-মসিবতের অন্যতম কারণ মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টি। তাই তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচার জন্য অন্যতম আমল হলো দান-সদকা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সদকা আল্লাহর অসন্তুষ্টিকে নিভিয়ে দেয় এবং অপমৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি: ৬০০)
৬. হাদিসে বর্ণিত ঝড়ের দোয়া পাঠ
এখানে ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় মহানবী (সা.) পাঠ করতেন, এমন একটি দোয়া তুলে ধরা হলো—
হাদিসে বর্ণিত ঝড়-তুফানের দোয়া:
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর, এর মধ্যকার এবং এর সঙ্গে আপনার পাঠানো কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার কাছে এর, এর ভেতরে নিহিত এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (মুসলিম: ৮৯৯; বুখারি: ৩২০৬)
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। এই সময়ে মুমিন বান্দাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, বিপদ এসে গেলে ধৈর্য ধরতে হবে এবং আল্লাহর কাছে নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, তওবাসহ অন্যান্য আমলের মাধ্যমে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এখানে কয়েকটি করণীয়র কথা তুলে ধরা হলো—
১. সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ কিছু কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, দুর্যোগের ক্ষতি থেকে বাঁচার সম্ভাব্য সব উপায়-উপকরণ গ্রহণ করতে ইসলামে কোনো বাধা নেই। এটি তাওয়াক্কুল পরিপন্থী কোনো কাজ নয়। বরং এই সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই একজন মুমিনের কর্তব্য। কারণ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শরিয়তের অন্যতম উদ্দেশ্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, সতর্কতা অবলম্বন করো। …’ (সুরা নিসা: ৭১) হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ‘ইমানদার ব্যক্তি একই গর্তে দুইবার দংশিত হয় না।’ (বুখারি: ৬১৩৩)
২. আল্লাহর ওপর ভরসা
সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। তিনি না চাইলে পৃথিবীর কেউই কোথাও নিরাপদ নয়—এই বিশ্বাস মনের মধ্যে গেঁথে নিতে হবে। তিনিই আমাদের শেষ ভরসাস্থল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক: ৩)
৩. বিপদে ধৈর্যধারণ
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জানমালের ক্ষতি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই এই সময়ে বিচলিত না হয়ে ধৈর্যধারণ করতে হবে। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা নিজেদের বিপদ-আপদের সময় বলে—নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৬)
আর ধৈর্যধারণের সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো নামাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)
৪. তওবা-ইস্তিগফার
যখন কোনো দুর্যোগ নেমে আসে, তখন আল্লাহর কাছে তওবা করা, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা, কৃত গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনা করাই মুমিনের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘শিগগিরই মহান আল্লাহকে স্মরণ করো, তাঁর কাছে তওবা করো।’ (বুখারি: ২ / ৩০; মুসলিম: ২ / ৬২৮)
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচার দোয়াগুলোর মধ্যে সংক্ষিপ্ত একটি দোয়া হলো—
رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ اِنَّا مُؤْمِنُوْنَ
উচ্চারণ: ‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের ওপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান: ১২)
৫. দান-সদকা
বালা-মসিবতের অন্যতম কারণ মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টি। তাই তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচার জন্য অন্যতম আমল হলো দান-সদকা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সদকা আল্লাহর অসন্তুষ্টিকে নিভিয়ে দেয় এবং অপমৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি: ৬০০)
৬. হাদিসে বর্ণিত ঝড়ের দোয়া পাঠ
এখানে ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় মহানবী (সা.) পাঠ করতেন, এমন একটি দোয়া তুলে ধরা হলো—
হাদিসে বর্ণিত ঝড়-তুফানের দোয়া:
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর, এর মধ্যকার এবং এর সঙ্গে আপনার পাঠানো কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার কাছে এর, এর ভেতরে নিহিত এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (মুসলিম: ৮৯৯; বুখারি: ৩২০৬)
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১০ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১০ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১০ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে