ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্কের সব পুরুষের জন্য দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতে আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা অনেকটা ওয়াজিবের কাছাকাছি। সুনির্দিষ্ট কারণ ও শরিয়ত অনুমোদিত অপারগতা ছাড়া নিয়মিত জামাতে নামাজ ছেড়ে দেওয়া গুনাহের কাজ। যেসব অপারগতা ও অসুবিধার কারণে ইসলামি শরিয়ত জামাতে নামাজ না পড়ার অনুমতি দেয়, তা এখানে আলোচনা করা হলো—
১. মুষলধারে বৃষ্টি হলে এবং মসজিদে যেতে অসুবিধা হলে নামাজের জন্য মসজিদে না যাওয়ার অনুমতি আছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১২৬)
২. বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘর থেকে বের হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা আছে, তাহলে জামাতে অংশ না নেওয়ার অবকাশ আছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৬)
৩. রাস্তায় বেশি কাদা হলে এবং চলাচল করতে অসুবিধা হলে জামাতে নামাজ না পড়ার অনুমতি আছে। (বদরুল মুনির: ৪ / ৪১৯)
৪. মসজিদের পথ রাতের বেলায় ঘুটঘুটে আঁধারে ঢাকা থাকলে এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলে রাতের নামাজের জামাতে অংশ না নেওয়ার সুযোগ আছে। (জমউল জাওয়ামে: ১ / ৩০৫৮)
৫. অসুস্থ হলে এবং মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হলেও জামাতে অংশ নেওয়া জরুরি নয়। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
৬. মহামারি কবলিত এলাকায় না যাওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকায় মহামারি দেখা দিলে মসজিদে না যাওয়ার সুযোগ আছে। (তিরমিজি, হাদিস: ১০৬৫; বুখারি, হাদিস: ৫৭২৯)
৭. দৃষ্টিহীন মানুষের জন্যও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৭)
৮. মসজিদে যেতে অক্ষম বয়োবৃদ্ধের জন্যও জামাতে নামাজ বাধ্যতামূলক নয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৮৫)
৯. রোগীর সেবাযত্নে ব্যস্ত থাকলে এবং মসজিদে গেলে রোগীর সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাতে নামাজ পড়া জরুরি নয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৮৫)
১০. কারও ঘন ঘন প্রস্রাব-পায়খানার বেগ পেলে তাঁকেও ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে অপারগ মনে করা হয়। (তিরমিজি, হাদিস: ১৩২)
১১. বন্দি অবস্থায় জামাতে নামাজ পড়া আবশ্যক নয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৮৫)
১২. কারও এক পা বা উভয় পা না থাকলে তাঁর জন্যও জামাতে উপস্থিত হওয়া জরুরি নয়। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
১৩. চলাফেরা করতে অক্ষম এমন রোগে আক্রান্ত হলেও মসজিদে উপস্থিত না হওয়ার সুযোগ আছে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
১৪. নামাজের সময় খাবার উপস্থিত হলে এবং ক্ষুধার্ত থাকলে জামাতে না গিয়ে খেতে বসার অনুমতি আছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩১)
১৫. দূরের সফরের প্রস্তুতি গ্রহণের সময় মানুষের অনেক ব্যস্ততা থাকে, তখন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা জরুরি নয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩ / ৬৭)
১৬. জামাতে নামাজ আদায় করতে গেলে সম্পদ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাত ত্যাগ করার অনুমতি রয়েছে। পশুপাখির কারণে কিংবা চোর, ডাকাত ও ছিনতাইকারীর কারণে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে এই বিধান প্রযোজ্য হবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
১৭. জামাতে যাওয়ার কারণে ট্রেন, ফ্লাইট বা গাড়ি চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও জামাতে অংশ না নেওয়ার অনুমতি আছে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
এসব অপারগতা না থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্কের সব পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। আল্লাহ তাআলা আমাদের মসজিদে গিয়ে জামাত সহকারে নামাজ আদায় করার তৌফিক দিন।
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্কের সব পুরুষের জন্য দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতে আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা অনেকটা ওয়াজিবের কাছাকাছি। সুনির্দিষ্ট কারণ ও শরিয়ত অনুমোদিত অপারগতা ছাড়া নিয়মিত জামাতে নামাজ ছেড়ে দেওয়া গুনাহের কাজ। যেসব অপারগতা ও অসুবিধার কারণে ইসলামি শরিয়ত জামাতে নামাজ না পড়ার অনুমতি দেয়, তা এখানে আলোচনা করা হলো—
১. মুষলধারে বৃষ্টি হলে এবং মসজিদে যেতে অসুবিধা হলে নামাজের জন্য মসজিদে না যাওয়ার অনুমতি আছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১২৬)
২. বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘর থেকে বের হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা আছে, তাহলে জামাতে অংশ না নেওয়ার অবকাশ আছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৬)
৩. রাস্তায় বেশি কাদা হলে এবং চলাচল করতে অসুবিধা হলে জামাতে নামাজ না পড়ার অনুমতি আছে। (বদরুল মুনির: ৪ / ৪১৯)
৪. মসজিদের পথ রাতের বেলায় ঘুটঘুটে আঁধারে ঢাকা থাকলে এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলে রাতের নামাজের জামাতে অংশ না নেওয়ার সুযোগ আছে। (জমউল জাওয়ামে: ১ / ৩০৫৮)
৫. অসুস্থ হলে এবং মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হলেও জামাতে অংশ নেওয়া জরুরি নয়। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
৬. মহামারি কবলিত এলাকায় না যাওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকায় মহামারি দেখা দিলে মসজিদে না যাওয়ার সুযোগ আছে। (তিরমিজি, হাদিস: ১০৬৫; বুখারি, হাদিস: ৫৭২৯)
৭. দৃষ্টিহীন মানুষের জন্যও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৭)
৮. মসজিদে যেতে অক্ষম বয়োবৃদ্ধের জন্যও জামাতে নামাজ বাধ্যতামূলক নয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৮৫)
৯. রোগীর সেবাযত্নে ব্যস্ত থাকলে এবং মসজিদে গেলে রোগীর সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাতে নামাজ পড়া জরুরি নয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৮৫)
১০. কারও ঘন ঘন প্রস্রাব-পায়খানার বেগ পেলে তাঁকেও ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে অপারগ মনে করা হয়। (তিরমিজি, হাদিস: ১৩২)
১১. বন্দি অবস্থায় জামাতে নামাজ পড়া আবশ্যক নয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৮৫)
১২. কারও এক পা বা উভয় পা না থাকলে তাঁর জন্যও জামাতে উপস্থিত হওয়া জরুরি নয়। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
১৩. চলাফেরা করতে অক্ষম এমন রোগে আক্রান্ত হলেও মসজিদে উপস্থিত না হওয়ার সুযোগ আছে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
১৪. নামাজের সময় খাবার উপস্থিত হলে এবং ক্ষুধার্ত থাকলে জামাতে না গিয়ে খেতে বসার অনুমতি আছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩১)
১৫. দূরের সফরের প্রস্তুতি গ্রহণের সময় মানুষের অনেক ব্যস্ততা থাকে, তখন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা জরুরি নয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩ / ৬৭)
১৬. জামাতে নামাজ আদায় করতে গেলে সম্পদ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাত ত্যাগ করার অনুমতি রয়েছে। পশুপাখির কারণে কিংবা চোর, ডাকাত ও ছিনতাইকারীর কারণে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে এই বিধান প্রযোজ্য হবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
১৭. জামাতে যাওয়ার কারণে ট্রেন, ফ্লাইট বা গাড়ি চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও জামাতে অংশ না নেওয়ার অনুমতি আছে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)
এসব অপারগতা না থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্কের সব পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। আল্লাহ তাআলা আমাদের মসজিদে গিয়ে জামাত সহকারে নামাজ আদায় করার তৌফিক দিন।
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৬ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৬ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে