মাওলানা মিজানুর রহমান
যিনি আজান দেন, তাঁকে আমরা মুয়াজ্জিন বলি। মুয়াজ্জিনদের সুমধুর আজান শুনেই আমরা নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। ইসলামে মুয়াজ্জিনদের অনেক সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মুয়াজ্জিনদের অফুরন্ত নিয়ামত দান করবেন।
রাসুল (সা.) নিজেই মুয়াজ্জিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুয়াজ্জিনের গুনাহ ওই পর্যন্ত মাফ করে দেওয়া হয়, যে পর্যন্ত তার আজানের আওয়াজ পৌঁছায়। (অর্থাৎ যদি এত দূর পর্যন্ত জায়গা তাঁর গুনাহ দ্বারা পূর্ণ হয়, তবু তাঁর সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।) প্রতিটি প্রাণী ও নিষ্প্রাণ বস্তু, যারা মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাবে, সবাই তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। ...’ (আবু দাউদ: ৫১৫)
অন্য হাদিসে হজরত বারা ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতারা প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীদের ওপর রহমত নাজিল করেন। মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যত বেশি হয়, সে অনুযায়ী তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যেসব প্রাণী এবং নিষ্প্রাণ বস্তু তার আওয়াজ শুনতে পায়, সবাই তার সত্যতার সাক্ষ্য দেয়। মুয়াজ্জিন সেসব নামাজির সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করেন, যারা তার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করে।’ (নাসায়ি: ২৫৪)
এক হাদিসে পরকালে মুয়াজ্জিনদের মর্যাদার বড় উপমা দেওয়া হয়েছে। হজরত মুয়াবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনরা সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ ঘাড়বিশিষ্ট হবেন।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ১২ বছর আজান দিয়েছে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। তার জন্য প্রতিটি আজানের বিনিময়ে ৬০ নেকি লেখা হয় এবং প্রতিটি একামতের বিনিময়ে ৩০ নেকি লেখা হয়।’ (মুসতাদরাকে হাকেম)
যিনি আজান দেন, তাঁকে আমরা মুয়াজ্জিন বলি। মুয়াজ্জিনদের সুমধুর আজান শুনেই আমরা নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। ইসলামে মুয়াজ্জিনদের অনেক সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মুয়াজ্জিনদের অফুরন্ত নিয়ামত দান করবেন।
রাসুল (সা.) নিজেই মুয়াজ্জিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মুয়াজ্জিনের গুনাহ ওই পর্যন্ত মাফ করে দেওয়া হয়, যে পর্যন্ত তার আজানের আওয়াজ পৌঁছায়। (অর্থাৎ যদি এত দূর পর্যন্ত জায়গা তাঁর গুনাহ দ্বারা পূর্ণ হয়, তবু তাঁর সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।) প্রতিটি প্রাণী ও নিষ্প্রাণ বস্তু, যারা মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাবে, সবাই তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। ...’ (আবু দাউদ: ৫১৫)
অন্য হাদিসে হজরত বারা ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতারা প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীদের ওপর রহমত নাজিল করেন। মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যত বেশি হয়, সে অনুযায়ী তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যেসব প্রাণী এবং নিষ্প্রাণ বস্তু তার আওয়াজ শুনতে পায়, সবাই তার সত্যতার সাক্ষ্য দেয়। মুয়াজ্জিন সেসব নামাজির সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করেন, যারা তার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করে।’ (নাসায়ি: ২৫৪)
এক হাদিসে পরকালে মুয়াজ্জিনদের মর্যাদার বড় উপমা দেওয়া হয়েছে। হজরত মুয়াবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনরা সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ ঘাড়বিশিষ্ট হবেন।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ১২ বছর আজান দিয়েছে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। তার জন্য প্রতিটি আজানের বিনিময়ে ৬০ নেকি লেখা হয় এবং প্রতিটি একামতের বিনিময়ে ৩০ নেকি লেখা হয়।’ (মুসতাদরাকে হাকেম)
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৪ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগে