মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: রমজানের রোজা রাখা কাদের জন্য ফরজ? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই।
আহমদ হাদিদ, ঢাকা
উত্তর: সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং কেবল ৫ শ্রেণির মানুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। যথা—
ইসলামে বিশ্বাসী
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্যই রমজানের রোজা ফরজ করেছে ইসলাম। সুতরাং অমুসলিমদের রমজানের রোজা রাখার কোনো বিধান নেই। অমুসলিম ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলে তা ধর্তব্য হবে না। তবে কোনো অমুসলিম রমজানে ইসলাম গ্রহণ করলে এর পর থেকে তিনি রোজা রাখবেন। রমজানের বিগত দিনগুলোর জন্য তাঁকে কাজা করতে হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি কাফেরদের বলে দিন, তারা যদি (কুফর থেকে) বিরত হয়ে যায়, তবে আগে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সুরা আনফাল: ৩৮)
সাবালক ও মানসিকভাবে সুস্থ
ইসলামের দৃষ্টিতে সাবালক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। একইভাবে মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। সুতরাং নাবালক ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের ওপর থেকে কলম (বিধানের আবশ্যকতা) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি—যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, দুই. নাবালক—যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং তিন. পাগল—যতক্ষণ না সে জ্ঞানসম্পন্ন হয়।’
(আবু দাউদ: ৪৪০৩; তিরমিজি: ১৪২৩)
রোজা পালনে সক্ষম
শারীরিকভাবে রোজা পালনে সক্ষম ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। অসুস্থতা, বার্ধক্য বা অন্য কোনো কারণে যে ব্যক্তি রোজা রাখার সক্ষমতা রাখে না, তার জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা যে ব্যক্তি সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
নিজ ঘরে বা শহরে অবস্থানকারী
নিজের শহর বা ঘরে অবস্থানকারী ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা জরুরি। মুসাফির হয়ে শরিয়ত নির্ধারিত দূরত্বের কোনো শহর বা দেশে গেলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। যদি মুসাফির হওয়ার অন্য শর্তাবলিও পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...যে ব্যক্তিরা সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত নারী
ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব নামাজ-রোজার প্রতিবন্ধক। তাই এই দুই সময়ে নামাজ-রোজা আদায় করা যাবে না। আদায় করলেও তা আদায় হবে না। পরে রোজা কাজা করে দিতে হবে, তবে নামাজ কাজা করতে হবে না। (আশ-শারহুল মুমতি: ৬/৩৩০) মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একজন নারী ঋতুস্রাব হলে সে কি নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ (বুখারি: ২৯৮)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: রমজানের রোজা রাখা কাদের জন্য ফরজ? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই।
আহমদ হাদিদ, ঢাকা
উত্তর: সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং কেবল ৫ শ্রেণির মানুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। যথা—
ইসলামে বিশ্বাসী
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্যই রমজানের রোজা ফরজ করেছে ইসলাম। সুতরাং অমুসলিমদের রমজানের রোজা রাখার কোনো বিধান নেই। অমুসলিম ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলে তা ধর্তব্য হবে না। তবে কোনো অমুসলিম রমজানে ইসলাম গ্রহণ করলে এর পর থেকে তিনি রোজা রাখবেন। রমজানের বিগত দিনগুলোর জন্য তাঁকে কাজা করতে হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি কাফেরদের বলে দিন, তারা যদি (কুফর থেকে) বিরত হয়ে যায়, তবে আগে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সুরা আনফাল: ৩৮)
সাবালক ও মানসিকভাবে সুস্থ
ইসলামের দৃষ্টিতে সাবালক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। একইভাবে মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। সুতরাং নাবালক ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের ওপর থেকে কলম (বিধানের আবশ্যকতা) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি—যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, দুই. নাবালক—যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং তিন. পাগল—যতক্ষণ না সে জ্ঞানসম্পন্ন হয়।’
(আবু দাউদ: ৪৪০৩; তিরমিজি: ১৪২৩)
রোজা পালনে সক্ষম
শারীরিকভাবে রোজা পালনে সক্ষম ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। অসুস্থতা, বার্ধক্য বা অন্য কোনো কারণে যে ব্যক্তি রোজা রাখার সক্ষমতা রাখে না, তার জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা যে ব্যক্তি সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
নিজ ঘরে বা শহরে অবস্থানকারী
নিজের শহর বা ঘরে অবস্থানকারী ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা জরুরি। মুসাফির হয়ে শরিয়ত নির্ধারিত দূরত্বের কোনো শহর বা দেশে গেলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। যদি মুসাফির হওয়ার অন্য শর্তাবলিও পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...যে ব্যক্তিরা সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত নারী
ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব নামাজ-রোজার প্রতিবন্ধক। তাই এই দুই সময়ে নামাজ-রোজা আদায় করা যাবে না। আদায় করলেও তা আদায় হবে না। পরে রোজা কাজা করে দিতে হবে, তবে নামাজ কাজা করতে হবে না। (আশ-শারহুল মুমতি: ৬/৩৩০) মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একজন নারী ঋতুস্রাব হলে সে কি নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ (বুখারি: ২৯৮)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১২ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১২ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১২ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে