ফারুক মেহেদী
চালের দাম কেন বাড়ছে? মৌসুমে স্থানীয় বাজার থেকে না কিনে এখন আমদানির ফলে কী প্রভাব পড়বে? মজুত বাড়াতে করণীয় কী–এ বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন খাদ্য বিশ্লেষক ও সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আমদানি করে বাজারে চালের দাম কমানো যাবে?
আনোয়ার ফারুক: শুনছি সরকার ১০ লাখ টন চাল আমদানি করছে। এখন ঢাকার বাজারের চেয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কম। তাই হয়তো সরকার বেসরকারি খাতের মাধ্যমে আনতে চায়। তবে এ ১০ লাখ টনে বাজারে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ, সরকারের হাতে তেমন স্টক নেই। চালের সংকটে এখন সরকারের অনেক খাদ্য কর্মসূচি চালানো যাচ্ছে না। সরকারের হাতে চাল না থাকলে ব্যবসায়ীরা তখন একচেটিয়া দাম বাড়ায়।
আজকের পত্রিকা: সরকার কি স্থানীয় বাজার থেকে আরও বেশি হারে চাল কিনতে পারে না?
আনোয়ার ফারুক: সরকার এখন যে টাকায় আমদানি করবে, এ টাকায় যদি তখন স্থানীয় বাজার থেকে কিনত, তাহলে এখন সংকট হতো না। সরকার যে দামে কিনতে চায়, স্থানীয় বাজারে দাম আরও বেশি। তাই কৃষক ধান বিক্রি করে না। আমি মনে করি, মৌসুমে ধানের দাম বেশি হওয়া উচিত। যাতে কৃষকেরা একটু ভালো দাম পায়। এতে ফলন বাড়বে। ফলন বাড়লেই দাম সহনীয় রাখা যাবে। সরকার যেহেতু নির্ধারিত সময়ে কেনে না, তাই সংকটে বিপাকে পড়ে। তখন চাল চলে যায় মিলারদের কাছে। কিছুদিন আগে ৪ লাখ টনের ঋণপত্র খুলেও চাল আনা যায়নি।
আজকের পত্রিকা: সরকারের মজুত বা ক্রয়–প্রক্রিয়া নিয়ে আপনার কী পর্যবেক্ষণ?
আনোয়ার ফারুক: জোর দিতে হবে স্থানীয় উৎপাদনে। সরকার যে বলছে ২ কোটি টন উৎপাদন হয়েছে, তাহলে এখন চাল কোথায়? এখন তো সংকট হওয়ার কথা না। হয় উৎপাদন হয়নি, তথ্যে গরমিল অথবা অব্যবস্থাপনা। ভারত উৎপাদনের ২০ শতাংশ স্থানীয় বাজার থেকে কিনে মজুত করে আর আমরা করি ৫ শতাংশ। তাহলে বাজার ঠিক রাখবেন কী করে? সরকারকে মৌসুমে স্থানীয় বাজার থেকে বেশি হারে কিনতে হবে। ১ হাজার ৪০০ টাকায় ধান কিনে এখন ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করলে বাজারে দাম কম থাকত। এর মাধ্যমে বাজারে একটা প্রভাব বিস্তার করা যেত। তাই সরকারের আমদানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মজুত গড়ে তুলতে হবে। দুভাবেই খাদ্যনিরাপত্তা শক্তিশালী করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সংকটে যাতে দাম না বাড়ে সে জন্য মজুত বাড়াতে আর কী কী করতে পারে সরকার?
আনোয়ার ফারুক: সরকারের নীতিমালা এমন হতে হবে, যাতে স্থানীয় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যা–ই করেন কৃষককে সুবিধা দিয়ে করতে হবে। আমদানির কারণে যেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। মৌসুমেও আমদানি করা যাবে না। আগে–পরে করতে হবে। বাজার থেকে সরকারকে অবশ্যই ২৫ শতাংশ বেশি দামে ধান কিনতে হবে। এতে সরকারের ক্ষতি হবে না। এ টাকা দেশেই থাকবে। আর আমদানি করলে টাকা বিদেশে চলে যাবে। এর মাধ্যমে মুদ্রা পাচারেরও ঝুঁকি আছে। সম্প্রতি এ রকম কয়েকটি ঘটনার খবর এসেছে যে আমদানি ঋণপত্রের আড়ালে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়।
চালের দাম কেন বাড়ছে? মৌসুমে স্থানীয় বাজার থেকে না কিনে এখন আমদানির ফলে কী প্রভাব পড়বে? মজুত বাড়াতে করণীয় কী–এ বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন খাদ্য বিশ্লেষক ও সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আমদানি করে বাজারে চালের দাম কমানো যাবে?
আনোয়ার ফারুক: শুনছি সরকার ১০ লাখ টন চাল আমদানি করছে। এখন ঢাকার বাজারের চেয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কম। তাই হয়তো সরকার বেসরকারি খাতের মাধ্যমে আনতে চায়। তবে এ ১০ লাখ টনে বাজারে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ, সরকারের হাতে তেমন স্টক নেই। চালের সংকটে এখন সরকারের অনেক খাদ্য কর্মসূচি চালানো যাচ্ছে না। সরকারের হাতে চাল না থাকলে ব্যবসায়ীরা তখন একচেটিয়া দাম বাড়ায়।
আজকের পত্রিকা: সরকার কি স্থানীয় বাজার থেকে আরও বেশি হারে চাল কিনতে পারে না?
আনোয়ার ফারুক: সরকার এখন যে টাকায় আমদানি করবে, এ টাকায় যদি তখন স্থানীয় বাজার থেকে কিনত, তাহলে এখন সংকট হতো না। সরকার যে দামে কিনতে চায়, স্থানীয় বাজারে দাম আরও বেশি। তাই কৃষক ধান বিক্রি করে না। আমি মনে করি, মৌসুমে ধানের দাম বেশি হওয়া উচিত। যাতে কৃষকেরা একটু ভালো দাম পায়। এতে ফলন বাড়বে। ফলন বাড়লেই দাম সহনীয় রাখা যাবে। সরকার যেহেতু নির্ধারিত সময়ে কেনে না, তাই সংকটে বিপাকে পড়ে। তখন চাল চলে যায় মিলারদের কাছে। কিছুদিন আগে ৪ লাখ টনের ঋণপত্র খুলেও চাল আনা যায়নি।
আজকের পত্রিকা: সরকারের মজুত বা ক্রয়–প্রক্রিয়া নিয়ে আপনার কী পর্যবেক্ষণ?
আনোয়ার ফারুক: জোর দিতে হবে স্থানীয় উৎপাদনে। সরকার যে বলছে ২ কোটি টন উৎপাদন হয়েছে, তাহলে এখন চাল কোথায়? এখন তো সংকট হওয়ার কথা না। হয় উৎপাদন হয়নি, তথ্যে গরমিল অথবা অব্যবস্থাপনা। ভারত উৎপাদনের ২০ শতাংশ স্থানীয় বাজার থেকে কিনে মজুত করে আর আমরা করি ৫ শতাংশ। তাহলে বাজার ঠিক রাখবেন কী করে? সরকারকে মৌসুমে স্থানীয় বাজার থেকে বেশি হারে কিনতে হবে। ১ হাজার ৪০০ টাকায় ধান কিনে এখন ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করলে বাজারে দাম কম থাকত। এর মাধ্যমে বাজারে একটা প্রভাব বিস্তার করা যেত। তাই সরকারের আমদানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মজুত গড়ে তুলতে হবে। দুভাবেই খাদ্যনিরাপত্তা শক্তিশালী করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সংকটে যাতে দাম না বাড়ে সে জন্য মজুত বাড়াতে আর কী কী করতে পারে সরকার?
আনোয়ার ফারুক: সরকারের নীতিমালা এমন হতে হবে, যাতে স্থানীয় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যা–ই করেন কৃষককে সুবিধা দিয়ে করতে হবে। আমদানির কারণে যেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। মৌসুমেও আমদানি করা যাবে না। আগে–পরে করতে হবে। বাজার থেকে সরকারকে অবশ্যই ২৫ শতাংশ বেশি দামে ধান কিনতে হবে। এতে সরকারের ক্ষতি হবে না। এ টাকা দেশেই থাকবে। আর আমদানি করলে টাকা বিদেশে চলে যাবে। এর মাধ্যমে মুদ্রা পাচারেরও ঝুঁকি আছে। সম্প্রতি এ রকম কয়েকটি ঘটনার খবর এসেছে যে আমদানি ঋণপত্রের আড়ালে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪