ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি নতুন প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। রাশিয়ার আক্রমণের বিপরীতে কিয়েভের পাল্টা আক্রমণের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ সহায়তা প্যাকেজটিতে ৩৭ হাজার আর্টিলারি রাউন্ড, ১ হাজার নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুর ক্ষেপণাস্ত্র, চারটি কাউন্টার-আর্টিলারি রাডার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ছাড়া এই প্যাকেজে কিয়েভের সৈন্যদের বিভিন্ন পরিষেবা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানানো হয়। 

এদিকে, পেন্টাগন থেকে জানানো হয় যে হিমারস রকেট সিস্টেম এর জন্য আরও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হবে তবে এর সাথে কিয়েভ অনুরোধকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস থাকবে কিনা তা জানানো হয়নি। 

ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত কিয়েভকে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক পাল্টা আক্রমণ শুরু করার দুই সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই অনুমোদনের ঘোষণা আসে। 

এর আগে, ইউক্রেনকে আরও প্রায় ২৭০ কোটি ডলারের সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির রামস্টেইনে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই সহায়তা তহবিল অনুমোদন হওয়ার ঘোষণা দেন। এবারের সামরিক সহায়তার মধ্যে অ্যান্টি-ট্যাংক ব্যবস্থা, হামভি পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স ও গোলাবারুদ থাকছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘোষিত নতুন এই তহবিল দীর্ঘমেয়াদি এই সহায়তায় আরও ২ বিলিয়ন ডলার যুক্ত করল।