অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝেই ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের নথিপত্র যাচাই করে এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবের অধীনে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়ে তিন গুণ শক্তিশালী ওয়ারহেডগুলো সাফোকের আরএএফ লেকেনহেথে স্থাপন করা হবে।
নথিগুলো দেখায় যে, যুক্তরাজ্যের সামরিক ঘাঁটিটির জন্য নতুন অস্ত্রের ক্রয়াদেশ দিয়েছে পেন্টাগন। শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে সামরিক কর্মীদের রক্ষা করার জন্য ব্যালিস্টিক শিল্ডসহ নতুন বেশ কিছু সরঞ্জাম রয়েছে সেই তালিকায়। সেখানে কাজ করা মার্কিন সেনাদের জন্য নতুন আবাসনব্যবস্থা নির্মাণের কাজ আগামী জুন মাসে শুরু হবে।
আরএএফ লেকেনহেথের কাছে ৫০ কিলোটনের বি৬১-১২ গ্র্যাভিটি বোমা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও তিন গুণ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে আরএএফ লেকেনহেথে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছিল। পরে মস্কোর পক্ষ থেকে স্নায়ুযুদ্ধের হুমকি কমে যাওয়ায় ২০০৮ সালে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। যুক্তরাজ্যের এই বিমান ঘাঁটির জন্য নতুন অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি প্রকাশিত হলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে চাইছে।
যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে খোলাসা না করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উল্লেখিত স্থানে পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতি নিশ্চিত বা অস্বীকার করার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি রয়েছে।
ন্যাটো বাহিনী ও রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে প্রস্তুত থাকার জন্য সম্প্রতি আটলান্টিকের উভয় প্রান্তের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই সতর্কতা এসেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিদায়ী প্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স বলেছিলেন যে, সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ৭৪ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ হাজারকে মোতায়েন রাখতে হবে। জনগণকেও যুদ্ধের জন্য ডাকা হবে। কারণ সেনাবাহিনীর আকার বেশ ছোট।
ডাউনিং স্ট্রিট অবশ্য সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপের কথা অস্বীকার করে বলেছে, সেনাবাহিনীর পরিষেবায় অংশগ্রহণ ঐচ্ছিকই থাকবে।
গত সপ্তাহে ন্যাটোর জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব বাউয়ার বলেছিলেন, বেসামরিক নাগরিকদের আগামী ২০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত, আর এতে তাদের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন।
বর্তমানে বিদ্যমান হুমকি বিবেচনায় যুক্তরাজ্যকে তার সশস্ত্র বাহিনীর আকার পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন নেভির সেক্রেটারি কার্লোস দেল তোরো।
প্রতিরক্ষায় যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যয়কে সমর্থন দিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, লোহিতসাগরে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলায় যুক্তরাজ্যকে তার সামরিক শক্তির কারণেই অংশীদার হিসেবে বেছে নিয়েছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ে যুক্তরাজ্য ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ইউরোপের বৃহত্তম দেশ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেমলিনের সঙ্গে ক্রমেই বাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের উত্তেজনা। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানো এবং সেগুলোকে আরও উন্নত করার কর্মসূচি নেয় ন্যাটো। এর অংশ হিসেবেই যুক্তরাজ্যে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র।
রাশিয়া বলছে, যুক্তরাজ্যে মার্কিন অস্ত্র স্থাপনকে মস্কো উত্তেজনা বাড়ানো হিসেবে দেখবে এবং এর জন্য পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউক্রেনের সংঘাতের পাশাপাশি পশ্চিমারা বর্তমানে ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হচ্ছে।
রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝেই ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের নথিপত্র যাচাই করে এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবের অধীনে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়ে তিন গুণ শক্তিশালী ওয়ারহেডগুলো সাফোকের আরএএফ লেকেনহেথে স্থাপন করা হবে।
নথিগুলো দেখায় যে, যুক্তরাজ্যের সামরিক ঘাঁটিটির জন্য নতুন অস্ত্রের ক্রয়াদেশ দিয়েছে পেন্টাগন। শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে সামরিক কর্মীদের রক্ষা করার জন্য ব্যালিস্টিক শিল্ডসহ নতুন বেশ কিছু সরঞ্জাম রয়েছে সেই তালিকায়। সেখানে কাজ করা মার্কিন সেনাদের জন্য নতুন আবাসনব্যবস্থা নির্মাণের কাজ আগামী জুন মাসে শুরু হবে।
আরএএফ লেকেনহেথের কাছে ৫০ কিলোটনের বি৬১-১২ গ্র্যাভিটি বোমা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও তিন গুণ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে আরএএফ লেকেনহেথে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছিল। পরে মস্কোর পক্ষ থেকে স্নায়ুযুদ্ধের হুমকি কমে যাওয়ায় ২০০৮ সালে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। যুক্তরাজ্যের এই বিমান ঘাঁটির জন্য নতুন অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি প্রকাশিত হলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে চাইছে।
যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে খোলাসা না করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উল্লেখিত স্থানে পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতি নিশ্চিত বা অস্বীকার করার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি রয়েছে।
ন্যাটো বাহিনী ও রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে প্রস্তুত থাকার জন্য সম্প্রতি আটলান্টিকের উভয় প্রান্তের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই সতর্কতা এসেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিদায়ী প্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স বলেছিলেন যে, সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ৭৪ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ হাজারকে মোতায়েন রাখতে হবে। জনগণকেও যুদ্ধের জন্য ডাকা হবে। কারণ সেনাবাহিনীর আকার বেশ ছোট।
ডাউনিং স্ট্রিট অবশ্য সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপের কথা অস্বীকার করে বলেছে, সেনাবাহিনীর পরিষেবায় অংশগ্রহণ ঐচ্ছিকই থাকবে।
গত সপ্তাহে ন্যাটোর জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব বাউয়ার বলেছিলেন, বেসামরিক নাগরিকদের আগামী ২০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত, আর এতে তাদের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন।
বর্তমানে বিদ্যমান হুমকি বিবেচনায় যুক্তরাজ্যকে তার সশস্ত্র বাহিনীর আকার পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন নেভির সেক্রেটারি কার্লোস দেল তোরো।
প্রতিরক্ষায় যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যয়কে সমর্থন দিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, লোহিতসাগরে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলায় যুক্তরাজ্যকে তার সামরিক শক্তির কারণেই অংশীদার হিসেবে বেছে নিয়েছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ে যুক্তরাজ্য ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ইউরোপের বৃহত্তম দেশ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেমলিনের সঙ্গে ক্রমেই বাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের উত্তেজনা। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানো এবং সেগুলোকে আরও উন্নত করার কর্মসূচি নেয় ন্যাটো। এর অংশ হিসেবেই যুক্তরাজ্যে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র।
রাশিয়া বলছে, যুক্তরাজ্যে মার্কিন অস্ত্র স্থাপনকে মস্কো উত্তেজনা বাড়ানো হিসেবে দেখবে এবং এর জন্য পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউক্রেনের সংঘাতের পাশাপাশি পশ্চিমারা বর্তমানে ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হচ্ছে।
চিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৪০ মিনিট আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
৩ ঘণ্টা আগে