ইমরান খানের সমর্থকদের ঠেকাতে ‘লকডাউন’ ইসলামাবাদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ২০
সরকারের নির্দেশে ইসলামাবাদের প্রধান সড়কগুলো এভাবেই আটকে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আল-জাজিরা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বড় জমায়াতের প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এই মিছিল ঠেকাতে মরিয়া এখন দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। এ জন্য ইসলামাবাদে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা স্থগিত করা হয়েছে। আর ইসলামাবাদের প্রধান সড়কগুলো শিপিং কন্টেইনার ফেলে আটকে দেওয়া হয়েছে।

রোববার আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল দেশব্যাপী এই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ইমরান খানসহ দলের গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নেতাদের মুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে দলটি।

এ অবস্থায় ইসলামাবাদ পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে—শহরে যে কোনো ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দাঙ্গা প্রতিরোধী সরঞ্জামে সজ্জিত বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে পিটিআই নেতা আলী আমিন গান্দাপুর একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ইমরান খানের নির্দেশে তাঁরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইসলামাবাদে থাকার পরিকল্পনা করেছেন। শহরের ‘ডি চৌক’ এলাকার কাছে সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আলী আমিন। ইসলামাবাদের ‘রেড জোন’ হিসেবে পরিচিত ওই এলাকাটিতে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ ভবন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যালয় রয়েছে।

ইসলামাবাদ থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার জানিয়েছেন, শহরের আশপাশের সবগুলো প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় কিছু কিছু পিটিআই সমর্থক সড়ক অবরোধ অতিক্রম করতে নৌকা ব্যবহার করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট নজরদারি সংস্থা নেটব্লকস জানিয়েছে, পিটিআই সমর্থকদের জমায়াতকে সামনে রেখে পাকিস্তানে হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সীমিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইমরান খানের দল এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। তাঁর গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় এর আগেও দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে তাঁর প্রথমবার গ্রেপ্তার করার পর তাঁর সমর্থকেরা রাষ্ট্রীয় ভবন এবং সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ আছে।

ইসলামাবাদে চলমান লকডাউন ও আন্দোলন কীভাবে সমাধান হবে—তা এখন সময়ই বলে দেবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত