অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানে থাকলেও সরকার গঠনের মতো অবস্থানে নেই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত এমএনএরা। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল সরকার গঠনে জোট তৈরির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় ইমরান-সমর্থিতরাও মজলিশ-ই-ওহদাতুল মুসলেমিনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে একক দল হিসেবে আসনের দিক থেকে শীর্ষে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু তার পরও ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা সরকার গঠন করতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ইমরান খানের দল পিটিআই বা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ব্যারিস্টার গহার আলী খান দাবি করেছেন, তাঁর দল জাতীয় পরিষদের অন্তত ১৭০টি আসনে জিতেছে। কিন্তু কারচুপি করে তাঁদের অনেককেই হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেবল নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজকে (পিএমএল-এন) সুবিধা দিতেই এমনটা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
যাই হোক, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছে ৯২টি আসনে, নওয়াজ শরিফের দল জিতেছে ৭৫ আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি জিতেছে ৫৪ আসনে।
জাতীয় পরিষদে নারী ও অন্যান্য ধর্মের জন্য বরাদ্দ মোট ৭০টি আসনসহ মোট আসন হলো ৩৩৬টি। এই আসনগুলোর মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৯টি আসন। পিটিআইয়ের এমএনএ-রা মজলিশ-ই-ওহদাতুল মুসলেমিনে যোগ দেওয়ায় দল হিসেবে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানে আছে। আসন অনুপাতে এ ক্ষেত্রে পিটিআই অন্তত ২৫ থেকে ২৭টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের মোট আসন হবে ১১৭ বা তার বেশি। তারপরও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৫২টি আসন।
পাকিস্তানি থিংক ট্যাংক পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব লেজিসলেটিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সির প্রেসিডেন্ট আহমেদ বিলাল মাহবুব বলেন, পিএমএল-এন বা পিপিপির মতো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট বাঁধা ছাড়া সরকার গঠনের মতো কোনো অবস্থানে নেই।
আহমেদ বিলাল মাহবুব আরও জানান, মজলিশ-ই-ওহদাতুল মুসলেমিনে (এমডব্লিউএম) যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পিটিআইয়ের নেতাদের অ্যাফিডেভিট দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে এমডব্লিউএমের প্রধানকেও বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন দেওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিটিআইয়ের এমএনএদের এমডব্লিউএমে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
তবে বিলাল মাহবুবের শঙ্কা আছে আরও একটি জায়গা নিয়ে। বিশেষ করে, এমডব্লিউএমে যোগ দিলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি আসনগুলো কোথা থেকে নিশ্চিত করবে ইমরান-সমর্থিতরা সেটি একটি বিশাল প্রশ্ন।
এর জবাবও দিয়েছেন বিলাল মাহবুব। তাঁর মতে, কোনো দল বা জোট যদি ১৬৯ আসন না পায়, তবে প্রথম দফায় জাতীয় পরিষদে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে। এরপর যদি আলাপ-আলোচনা বা জোট বাঁধার পর কোনো দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীও হবে তাদেরই নির্বাচিত।
তবে এখন বোধ হয় আর এই সিনারিও চলবে না। কারণ নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দল এরই মধ্যে তাদের পুরোনো জোট পিডিএম বা পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট সক্রিয় করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কে কোন পদ পাবেন, সে বিষয়েও ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে গেছে। তাই আপাতত খুব বড় কোনো পরিবর্তন বা চমক না ঘটলে পাকিস্তানে ইমরান-সমর্থিতদের সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তথ্যসূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানে থাকলেও সরকার গঠনের মতো অবস্থানে নেই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত এমএনএরা। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল সরকার গঠনে জোট তৈরির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় ইমরান-সমর্থিতরাও মজলিশ-ই-ওহদাতুল মুসলেমিনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে একক দল হিসেবে আসনের দিক থেকে শীর্ষে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু তার পরও ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা সরকার গঠন করতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ইমরান খানের দল পিটিআই বা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ব্যারিস্টার গহার আলী খান দাবি করেছেন, তাঁর দল জাতীয় পরিষদের অন্তত ১৭০টি আসনে জিতেছে। কিন্তু কারচুপি করে তাঁদের অনেককেই হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেবল নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজকে (পিএমএল-এন) সুবিধা দিতেই এমনটা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
যাই হোক, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছে ৯২টি আসনে, নওয়াজ শরিফের দল জিতেছে ৭৫ আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি জিতেছে ৫৪ আসনে।
জাতীয় পরিষদে নারী ও অন্যান্য ধর্মের জন্য বরাদ্দ মোট ৭০টি আসনসহ মোট আসন হলো ৩৩৬টি। এই আসনগুলোর মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৯টি আসন। পিটিআইয়ের এমএনএ-রা মজলিশ-ই-ওহদাতুল মুসলেমিনে যোগ দেওয়ায় দল হিসেবে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানে আছে। আসন অনুপাতে এ ক্ষেত্রে পিটিআই অন্তত ২৫ থেকে ২৭টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের মোট আসন হবে ১১৭ বা তার বেশি। তারপরও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৫২টি আসন।
পাকিস্তানি থিংক ট্যাংক পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব লেজিসলেটিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সির প্রেসিডেন্ট আহমেদ বিলাল মাহবুব বলেন, পিএমএল-এন বা পিপিপির মতো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট বাঁধা ছাড়া সরকার গঠনের মতো কোনো অবস্থানে নেই।
আহমেদ বিলাল মাহবুব আরও জানান, মজলিশ-ই-ওহদাতুল মুসলেমিনে (এমডব্লিউএম) যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পিটিআইয়ের নেতাদের অ্যাফিডেভিট দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে এমডব্লিউএমের প্রধানকেও বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন দেওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিটিআইয়ের এমএনএদের এমডব্লিউএমে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
তবে বিলাল মাহবুবের শঙ্কা আছে আরও একটি জায়গা নিয়ে। বিশেষ করে, এমডব্লিউএমে যোগ দিলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি আসনগুলো কোথা থেকে নিশ্চিত করবে ইমরান-সমর্থিতরা সেটি একটি বিশাল প্রশ্ন।
এর জবাবও দিয়েছেন বিলাল মাহবুব। তাঁর মতে, কোনো দল বা জোট যদি ১৬৯ আসন না পায়, তবে প্রথম দফায় জাতীয় পরিষদে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে। এরপর যদি আলাপ-আলোচনা বা জোট বাঁধার পর কোনো দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীও হবে তাদেরই নির্বাচিত।
তবে এখন বোধ হয় আর এই সিনারিও চলবে না। কারণ নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দল এরই মধ্যে তাদের পুরোনো জোট পিডিএম বা পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট সক্রিয় করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কে কোন পদ পাবেন, সে বিষয়েও ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে গেছে। তাই আপাতত খুব বড় কোনো পরিবর্তন বা চমক না ঘটলে পাকিস্তানে ইমরান-সমর্থিতদের সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তথ্যসূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
৩ ঘণ্টা আগে