অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের জন্মের পর থেকেই প্রায় অর্ধেক সময় দেশটি শাসন করেছে সেনাবাহিনী। বাকি সময়টায়ও তারা দেশের ‘অভিভাবকের’ ভূমিকা পালন করেছে কোনো না কোনোভাবে। নাক গলিয়েছে বেসামরিক প্রশাসনেও। এত দিন তারা দেশের অর্থনীতি নিয়ে সরাসরি কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। কিন্তু এবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায় ১০ লাখ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে চাষাবাদের জন্য।
জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর মুখে খাবার তুলে দিতে বিপুল পরিমাণ সরকারি জমি অধিগ্রহণ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে সামরিক-বেসামরিক উদ্যোগে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর এক উদ্যোগ নেওয়া হয়। উদ্যোগের আওতায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাসজমি অধিগ্রহণ করে সেনাবাহিনী পরিচালিত কৃষি খামার প্রকল্প চালু করার কথা বলা হয়।
পরিকল্পনা অনুসারে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে প্রায় ১০ লাখ একর (৪ লাখ ৫ হাজার হেক্টর) জমি অধিগ্রহণ করবে সেনাবাহিনী, যা ভারতের রাজধানী দিল্লির আয়তনের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বড়। পরিকল্পনা অনুসারে, এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী উন্নত শস্য উৎপাদন করবে এবং এর ফলে পানির অপচয়ও রোধ হবে।
নিক্কেই এশিয়া পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন নথির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী আগামী ৩০ বছরের জন্য এই পরিমাণ জমি লিজ নেবে এবং এখানে তারা যব, তুলা, আখ, বিভিন্ন ফল ও সবজি উৎপাদন করবে। নিক্কেইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই কৃষিজ উৎপাদন থেকে যে পরিমাণ লাভ আসবে, তার ২০ শতাংশ ব্যয় করা হবে কৃষি উন্নয় গবেষণায়। বাকি মুনাফা রাজ্য সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমান হিস্যায় ভাগ করে নেওয়া হবে।
তবে সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন স্তরের লোকজন। তাঁরা বলছেন, সেনাবাহিনী এমনিতেই বিপুল শক্তিশালী একটি সত্তা। তার ওপর তারা যদি কৃষি খাতে এত বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করে এবং সেখান থেকে মুনাফা অর্জন করে, তবে তা দেশে আড়াই কোটি ভূমিহীন দরিদ্রকে আরও বঞ্চিত করবে।
পাকিস্তানের পরিবেশবাদী আন্দোলনের নেতা ও পরিবেশ আইনজীবী রাফে আলম বলেন, এই অধিগ্রহণ পাকিস্তানের মাটিতে সেনাবাহিনীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে এবং এর মাধ্যমে তারা দেশের সবচেয়ে বড় জমিদারে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাজ হলো দেশকে বিদেশি হুমকি থেকে রক্ষা করা এবং বেসামরিক সরকারের অনুরোধে তাদের সহায়তা করা। এর বেশিও না, কমও না।’
এদিকে, পুরো বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। নিক্কেই এশিয়া বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অধিকৃত এসব ভূমির অধিকাংশই চোলিস্তান মরুভূমিতে অবস্থিত, যেখানে পানির সংকট ব্যাপক। এ ছাড়া পাঞ্জাব হাইকোর্ট এর আগে রায় দিয়েছিলেন, সেনাবাহিনী এই জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে না। পরে গত জুলাই মাসে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ সেই রায় বদলে দেন।
পাকিস্তানের জন্মের পর থেকেই প্রায় অর্ধেক সময় দেশটি শাসন করেছে সেনাবাহিনী। বাকি সময়টায়ও তারা দেশের ‘অভিভাবকের’ ভূমিকা পালন করেছে কোনো না কোনোভাবে। নাক গলিয়েছে বেসামরিক প্রশাসনেও। এত দিন তারা দেশের অর্থনীতি নিয়ে সরাসরি কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। কিন্তু এবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায় ১০ লাখ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে চাষাবাদের জন্য।
জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর মুখে খাবার তুলে দিতে বিপুল পরিমাণ সরকারি জমি অধিগ্রহণ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে সামরিক-বেসামরিক উদ্যোগে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর এক উদ্যোগ নেওয়া হয়। উদ্যোগের আওতায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাসজমি অধিগ্রহণ করে সেনাবাহিনী পরিচালিত কৃষি খামার প্রকল্প চালু করার কথা বলা হয়।
পরিকল্পনা অনুসারে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে প্রায় ১০ লাখ একর (৪ লাখ ৫ হাজার হেক্টর) জমি অধিগ্রহণ করবে সেনাবাহিনী, যা ভারতের রাজধানী দিল্লির আয়তনের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বড়। পরিকল্পনা অনুসারে, এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী উন্নত শস্য উৎপাদন করবে এবং এর ফলে পানির অপচয়ও রোধ হবে।
নিক্কেই এশিয়া পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন নথির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী আগামী ৩০ বছরের জন্য এই পরিমাণ জমি লিজ নেবে এবং এখানে তারা যব, তুলা, আখ, বিভিন্ন ফল ও সবজি উৎপাদন করবে। নিক্কেইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই কৃষিজ উৎপাদন থেকে যে পরিমাণ লাভ আসবে, তার ২০ শতাংশ ব্যয় করা হবে কৃষি উন্নয় গবেষণায়। বাকি মুনাফা রাজ্য সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমান হিস্যায় ভাগ করে নেওয়া হবে।
তবে সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন স্তরের লোকজন। তাঁরা বলছেন, সেনাবাহিনী এমনিতেই বিপুল শক্তিশালী একটি সত্তা। তার ওপর তারা যদি কৃষি খাতে এত বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করে এবং সেখান থেকে মুনাফা অর্জন করে, তবে তা দেশে আড়াই কোটি ভূমিহীন দরিদ্রকে আরও বঞ্চিত করবে।
পাকিস্তানের পরিবেশবাদী আন্দোলনের নেতা ও পরিবেশ আইনজীবী রাফে আলম বলেন, এই অধিগ্রহণ পাকিস্তানের মাটিতে সেনাবাহিনীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে এবং এর মাধ্যমে তারা দেশের সবচেয়ে বড় জমিদারে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাজ হলো দেশকে বিদেশি হুমকি থেকে রক্ষা করা এবং বেসামরিক সরকারের অনুরোধে তাদের সহায়তা করা। এর বেশিও না, কমও না।’
এদিকে, পুরো বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। নিক্কেই এশিয়া বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অধিকৃত এসব ভূমির অধিকাংশই চোলিস্তান মরুভূমিতে অবস্থিত, যেখানে পানির সংকট ব্যাপক। এ ছাড়া পাঞ্জাব হাইকোর্ট এর আগে রায় দিয়েছিলেন, সেনাবাহিনী এই জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে না। পরে গত জুলাই মাসে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ সেই রায় বদলে দেন।
চিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ মিনিট আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
৩ ঘণ্টা আগে