ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে সৌদি আরবের হাত: স্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে যা বললেন ইমরান খান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ৫৫
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ০০
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে সৌদি আরবের হাত ছিল বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। সংবাদমাধ্যমগুলো বুশরা বিবির একটি ভিডিও বক্তব্যের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছিল। এবার স্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরান খান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্ত্রীর পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, তাঁর (বুশরা) বক্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাসঙ্গিকতা থেকে বিচ্যুত করা হয়েছে, যাতে আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশকে অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে টেনে আনা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের ভেরিফায়েড হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে ইমরান খান বলেছেন, ‘তিনি (বুশরা) সৌদি আরবের কথা একটি বারও বলেননি।’ উল্লেখ্য, ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী।

এর আগে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা এক ভিডিও ভাষণে বুশরা বিবি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন ‘খালি পায়ে’ মদিনা জিয়ারতে গিয়েছিলেন, তখন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) কমর জাভেদ বাজওয়া ‘তাদের’ ফোন গ্রহণ করতে শুরু করেন।

এই ‘তাদের’ শব্দের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী মূলত সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের নির্দেশ করেছেন। সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের নির্দেশ করে বুশরা বিবি অভিযোগ করেন, তারা ইমরান খানের কাজকর্মের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, ‘বাজওয়াকে প্রশ্ন করা হয়, “এ কেমন মানুষ, যাকে আপনি ক্ষমতায় এনেছেন...আমরা এমন ব্যক্তিত্ব চাই না।’

বুশরা বিবি আরও বলেন, ‘এর পর থেকেই তারা আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে শুরু করল এবং ইমরান খানকে ইহুদি এজেন্ট আখ্যা দিতে লাগল।’ এ সময় তিনি জানান, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা একটি বার্তা পাঠিয়েছেন যে, সবাইকে ২৪ নভেম্বরের প্রতিবাদে যোগ দিতে হবে। এই তারিখ কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না।

সৌদি আরবের প্রতি বুশরা বিবির অভিযোগের পর পাকিস্তান সরকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা এই মন্তব্যকে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য একটি ‘আত্মঘাতী আক্রমণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত