পাকিস্তানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আগে ৫ হাজার রুপির নোট নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে ওভারসিজ ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স (ওআইসিসিআই। আসন্ন বাজেটের আগে সরকারের কাছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেওয়া বেশ কয়েকটি সুপারিশের মধ্যে এটিও ছিল। পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

পাকিস্তান সরকার আগামী ৭ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে চায়। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা হয়নি।

২০০টি বহুজাতিক সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত ওআইসিসিআই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব করে। ৫ হাজার রুপির নোট নিষিদ্ধ ছাড়াও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, গাড়ি ক্রয়-বিক্রয়, ব্যয়বহুল সম্পত্তি বিক্রয়, বিদেশ ভ্রমণ এবং বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যপদ অর্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় কর নম্বর (এনটিএন) বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছে ওআইসিসিআই।

ওআইসিসিআই আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা নন-ফাইলারদের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় এমন সম্পদ এবং আয়ের উৎসগুলোর তদন্তের জন্য একটি ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ (এফবিআর) উইং গঠন এবং পেনশনভোগীদের দেওয়া ছাড় বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে।

ওআইসিসিআই সব এয়ার টিকিটের ওপর আয়কর সংগ্রহ এবং ভ্রমণ ব্যয়ের ওপর উৎসে ট্যাক্স আরোপের পরামর্শ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির অবসান এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সিনেটর হিসেবে গত বছর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ৫ হাজার রুপির নোটের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন মহসিন আজিজ।

এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাক্তন এফবিআর প্রধান শাব্বার জাইদি জোর দিয়েছিলেন যে, ৫ হাজার রুপির নোট বন্ধ করা এবং ডলারের নোটের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণই দেশের নগদ অর্থনীতিকে রোধ করার মূল চাবিকাঠি।

জাইদি তখন যুক্তি দেন যে, পাকিস্তানে মুদ্রার প্রচলন তখন খুব বেশি ছিল এবং ৫ হাজার রুপির নোট নগদ অর্থনীতির জন্য অনুকূল। তা ছাড়া, মানুষ তাদের লকারে ডলার এবং ৫ হাজার রুপিতেই সম্পদ রেখে দেয়, যা নিষিদ্ধ করা উচিত।