অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অস্থির রাজনীতির দেশ পাকিস্তান। ক্রিকেট দুনিয়ায় একসময়ের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বলে খ্যাত পাকিস্তান রাজনীতিতেও কম ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ নয়। সর্বশেষ দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে বাজিমাত করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনেই জিতেছে ইমরান খানের দল। কিন্তু ইমরান খানের এই সাফল্যের পেছনে কী প্রভাবক কাজ করেছে?
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচন নিয়ে দেশটির বহুল আলোচিত গণমাধ্যম দ্য ডন গত সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের শিরোনামই যেন বর্তমান পাকিস্তানের আসল চিত্র। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জনপ্রিয়তার প্রভাবের কথা বলা হয়নি। বলা হয়নি ক্ষমতাসীন শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতির কথা। এতে ফোকাস করা হয়েছে মূলে। অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের দিকেই তোলা হয়েছে আঙুল। শিরোনামটা ছিল, ‘অজনপ্রিয় সিদ্ধান্তের তিক্ত স্বাদ’। আর তিক্ত স্বাদ যে উপনির্বাচনে ভরাডুবি তা বললেও সহজেই বোঝা যায়।
গত রোববার অনুষ্ঠিত পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে জিতেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে মাত্র ৪টি আসন। একটি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচনের বেসরকারি ফল প্রকাশের পরপরই পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইটে পাঞ্জাবের দলীয় নেতা–কর্মী ও ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ছাড়া, তিনি পিটিআই এর মিত্র পিএমএল-কিউ, মজলিশ-ই-ওয়াহদাতুল মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) নেতা–কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান।
আরেক টুইটে নির্বাচন কমিশনকে ‘সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। তিনি লিখেন, ‘এখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। অন্য যেকোনো পথ বৃহত্তর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আরও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবে।’ নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পিএমএল-এন সহসভাপতি মরিয়ম নওয়াজ।
দ্য ডন এক প্রতিবেদনে বলেছে, নির্বাচনের ফল কেবল পাকিস্তানের রাজনীতিতেই নতুন মোড় নিয়ে আসছে না, এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও। এ ফল প্রমাণ করে, ভোটারেরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের অজনপ্রিয় সিদ্ধান্তগুলো পছন্দ করেননি। সরকারকে সরাসরি এ বার্তাই দিয়েছেন।
পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া স্টাডি সেন্টারের ডক্টর আমজাদ মাগসি বলেছেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণ ভেবেছিল এবার অর্থনীতিতে পিটিআই সরকারের নেওয়া “ভুল” সিদ্ধান্তগুলো থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু শাহবাজ সরকার আইএমএফকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে অর্থনৈতিক দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
জ্যেষ্ঠ কলামিস্ট ইমতিয়াজ আলী বলছেন, ‘অর্থনীতির দুরবস্থার কারণেই জনগণ সরকারদলীয় প্রতিনিধিদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’ ফলে সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের ধারণা, পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে ইমরান খানের দলের বড় জয় এবং ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি দেশটির সরকারের অর্থনীতির ব্যাপারে অদূরদর্শিতারই কঠোর জবাব।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অস্থির রাজনীতির দেশ পাকিস্তান। ক্রিকেট দুনিয়ায় একসময়ের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বলে খ্যাত পাকিস্তান রাজনীতিতেও কম ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ নয়। সর্বশেষ দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে বাজিমাত করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনেই জিতেছে ইমরান খানের দল। কিন্তু ইমরান খানের এই সাফল্যের পেছনে কী প্রভাবক কাজ করেছে?
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচন নিয়ে দেশটির বহুল আলোচিত গণমাধ্যম দ্য ডন গত সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের শিরোনামই যেন বর্তমান পাকিস্তানের আসল চিত্র। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জনপ্রিয়তার প্রভাবের কথা বলা হয়নি। বলা হয়নি ক্ষমতাসীন শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতির কথা। এতে ফোকাস করা হয়েছে মূলে। অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের দিকেই তোলা হয়েছে আঙুল। শিরোনামটা ছিল, ‘অজনপ্রিয় সিদ্ধান্তের তিক্ত স্বাদ’। আর তিক্ত স্বাদ যে উপনির্বাচনে ভরাডুবি তা বললেও সহজেই বোঝা যায়।
গত রোববার অনুষ্ঠিত পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে জিতেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে মাত্র ৪টি আসন। একটি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচনের বেসরকারি ফল প্রকাশের পরপরই পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইটে পাঞ্জাবের দলীয় নেতা–কর্মী ও ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ছাড়া, তিনি পিটিআই এর মিত্র পিএমএল-কিউ, মজলিশ-ই-ওয়াহদাতুল মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) নেতা–কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান।
আরেক টুইটে নির্বাচন কমিশনকে ‘সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। তিনি লিখেন, ‘এখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। অন্য যেকোনো পথ বৃহত্তর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আরও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবে।’ নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পিএমএল-এন সহসভাপতি মরিয়ম নওয়াজ।
দ্য ডন এক প্রতিবেদনে বলেছে, নির্বাচনের ফল কেবল পাকিস্তানের রাজনীতিতেই নতুন মোড় নিয়ে আসছে না, এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও। এ ফল প্রমাণ করে, ভোটারেরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের অজনপ্রিয় সিদ্ধান্তগুলো পছন্দ করেননি। সরকারকে সরাসরি এ বার্তাই দিয়েছেন।
পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া স্টাডি সেন্টারের ডক্টর আমজাদ মাগসি বলেছেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণ ভেবেছিল এবার অর্থনীতিতে পিটিআই সরকারের নেওয়া “ভুল” সিদ্ধান্তগুলো থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু শাহবাজ সরকার আইএমএফকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে অর্থনৈতিক দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
জ্যেষ্ঠ কলামিস্ট ইমতিয়াজ আলী বলছেন, ‘অর্থনীতির দুরবস্থার কারণেই জনগণ সরকারদলীয় প্রতিনিধিদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’ ফলে সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের ধারণা, পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে ইমরান খানের দলের বড় জয় এবং ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি দেশটির সরকারের অর্থনীতির ব্যাপারে অদূরদর্শিতারই কঠোর জবাব।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে