ইমরান খানের ইসলামবাদে জমায়েতের ‘চূড়ান্ত ডাক’ কিসের দাবিতে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ১২
বান্নু থেকে ইসলামাবাদ অভিমুখে ইমরান খানের দলের গাড়িবহর। ছবি: এক্স

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদে একটি ব্যাপক প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য তার সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর তিনি তাঁর সমর্থকদের শেষবারের মতো প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার ‘চূড়ান্ত ডাক’ দেন। তিনি দাবি করেন, ২৬ তম সংশোধনী বাতিল ও জনগণের চুরি যাওয়া ম্যান্ডেট পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই প্রতিবাদ।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পিটিআই প্রধান বলেন, পাকিস্তানের মৌলিক স্তম্ভ—আইনের শাসন, গণতন্ত্র, সাংবিধানিক কর্তৃত্ব, স্বাধীনতা এবং দেশের ভবিষ্যৎ—পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সময় পিটিআইয়ের আইনজীবী আলী জাফর ও ফয়সাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

কারাগারে থাকা ইমরান খান ঘোষণা করেন, যত দিন না তাদের দাবি মানা হয়, তত দিন প্রতিবাদ চলবে। ২৬ তম সংশোধনী বাতিল ও জনগণের চুরি যাওয়া ম্যান্ডেট পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়াও তাদের তৃতীয় দাবি হলো, বিনা বিচারে আটক সব রাজবন্দীর মুক্তি।

ইমরান খান এ সময় জোর দিয়ে বলেছিলেন, এই প্রতিবাদের জন্য এটিই তাঁর শেষ আহ্বান। এই সমাবেশ কেবল ইসলামাবাদ বা পাকিস্তানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই সমাবেশ পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, দলের পুরো নেতৃত্ব প্রতিবাদে অংশ নেবে এবং খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরও প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে যোগ দেবেন।

এর আগে, গত ৯ নভেম্বর পিটিআইয়ে সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী গান্দাপুর দলের কর্মী ও সমর্থকদের বলেন, তারা ইমরান খানকে মুক্তির জন্য ‘মরণপণ’ লড়াইয়ে প্রস্তুত এবং শিগগির প্রতিবাদ শুরু হবে। সে সময় তিনি আরও বলেন, শেষবারের মতো প্রতিবাদের আহ্বান জানাবেন ইমরান খান।

ইমরান খান তাঁর সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে বলেন, ‘এটি জাতির জন্য পরীক্ষার সময়। দলের নেতৃত্ব, আইনজীবী, সুশীল সমাজ, কৃষক এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের এখন তাদের অধিকার রক্ষায় বের হয়ে আসতে হবে।’ তিনি জানান, তিনি দলের নেতৃত্বকে প্রতিবাদ কীভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এ সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনাও দিয়েছেন।

পিটিআইয়ের আজীবন চেয়ারম্যান দাবি করেন, ২৬ তম সংশোধনী দেশে ১০ বছরের অঘোষিত সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং পাকিস্তানে ভুয়া পার্লামেন্ট, ভুয়া প্রধানমন্ত্রী, ভুয়া প্রেসিডেন্ট ও ভুয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি সকল পাকিস্তানির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ২৪ নভেম্বর প্রতিবাদে অংশ নিন। আমরা ইসলামাবাদের দিকে মার্চ করব, যা আমাদের প্রতিবাদের কেন্দ্র। আমাদের সংবিধান শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে আমাদের।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত