অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। গতকাল শনিবার দেশটির রাজধানী তেল আবিবে জড়ো হয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কার হলে আদালতের গণতান্ত্রিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়বে। তবে সরকার বলছে, বিচারকদের বাড়াবাড়ি বন্ধ করার জন্য সরকার সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সরকারের এই সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন আইনজীবীদের সংগঠনসহ ব্যবসায়িক নেতারা। তাঁরা বলছেন, নেতানিয়াহুর এসব উদ্যোগ ইতিমধ্যে সমাজের ভেতরে রাজনৈতিক বিভাজনকে প্রশস্ত করেছে।
ইসরায়েলের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আভি চিমি বলেছেন, ‘তারা দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা বিচার বিভাগের কর্তৃত্বকে ধ্বংস করতে চায়। এটা হতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগীয় কর্তৃত্ব ছাড়া পৃথিবীতে কোনো গণতান্ত্রিক দেশ নেই।’
গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহুবিরোধী বামপন্থীরা। নির্বাচনের পর থেকেই তারা বিক্ষোভ করছেন। ইতিমধ্যে তৃতীয় সপ্তাহে পা দিয়েছে বিক্ষোভ। এরই মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম ডানপন্থী সরকার গঠন করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সরকার গঠনের পর তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন। ফলে বামপন্থীদের বিক্ষোভে এবার যোগ দিয়েছেন আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারের পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তাহলে বিচারক নিয়োগের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কঠোর হবে। একই সঙ্গে সরকার বা নেসেট (সংসদ) সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করবে। বিচারকদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং দুর্নীতির দরজা অবারিত হবে। সব মিলিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটাই ধসে পড়বে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৬৪ বছর বয়সী আমনন মিলার বলেছেন, ‘আমি ৩০ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। এখন এই সরকার আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা তা হতে দেব না। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি।’
কয়েক দিন আগে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে নেতানিয়াহু সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরিয়েহ দেরিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সঙ্গে যোগ হয়েছে এই আইনি চাপ। এতে দেশের বিচারব্যবস্থা এবং আদালতের ক্ষমতা নিয়ে গভীর এক বিভক্তি দেখা দিতে পারে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে। বিক্ষোভকারীদের ধারণা, নিজেকে আইনি শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতেই তিনি বিচার বিভাগের সংস্কার করতে চাইছেন। তবে নেতানিয়াহু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য আনতেই এই সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’
ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। গতকাল শনিবার দেশটির রাজধানী তেল আবিবে জড়ো হয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কার হলে আদালতের গণতান্ত্রিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়বে। তবে সরকার বলছে, বিচারকদের বাড়াবাড়ি বন্ধ করার জন্য সরকার সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সরকারের এই সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন আইনজীবীদের সংগঠনসহ ব্যবসায়িক নেতারা। তাঁরা বলছেন, নেতানিয়াহুর এসব উদ্যোগ ইতিমধ্যে সমাজের ভেতরে রাজনৈতিক বিভাজনকে প্রশস্ত করেছে।
ইসরায়েলের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আভি চিমি বলেছেন, ‘তারা দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা বিচার বিভাগের কর্তৃত্বকে ধ্বংস করতে চায়। এটা হতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগীয় কর্তৃত্ব ছাড়া পৃথিবীতে কোনো গণতান্ত্রিক দেশ নেই।’
গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহুবিরোধী বামপন্থীরা। নির্বাচনের পর থেকেই তারা বিক্ষোভ করছেন। ইতিমধ্যে তৃতীয় সপ্তাহে পা দিয়েছে বিক্ষোভ। এরই মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম ডানপন্থী সরকার গঠন করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সরকার গঠনের পর তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন। ফলে বামপন্থীদের বিক্ষোভে এবার যোগ দিয়েছেন আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারের পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তাহলে বিচারক নিয়োগের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কঠোর হবে। একই সঙ্গে সরকার বা নেসেট (সংসদ) সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করবে। বিচারকদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং দুর্নীতির দরজা অবারিত হবে। সব মিলিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটাই ধসে পড়বে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৬৪ বছর বয়সী আমনন মিলার বলেছেন, ‘আমি ৩০ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। এখন এই সরকার আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা তা হতে দেব না। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি।’
কয়েক দিন আগে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে নেতানিয়াহু সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরিয়েহ দেরিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সঙ্গে যোগ হয়েছে এই আইনি চাপ। এতে দেশের বিচারব্যবস্থা এবং আদালতের ক্ষমতা নিয়ে গভীর এক বিভক্তি দেখা দিতে পারে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে। বিক্ষোভকারীদের ধারণা, নিজেকে আইনি শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতেই তিনি বিচার বিভাগের সংস্কার করতে চাইছেন। তবে নেতানিয়াহু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য আনতেই এই সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল প্রস্তাব করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউয়ের রাজনৈতিক সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হোক। গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন অবমাননার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এক ব্লগ পোস্টে এ
৮ মিনিট আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর এবং কোটি কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করেছে। এমনটাই জানানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেসের (এআইপিসি) এক চিঠিতে। গত ১২ নভেম্বর ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে লেখা চিঠিতে এআইপিসির সভাপতি
২ ঘণ্টা আগেশিল্পকর্ম লুটের নেটওয়ার্ক ধরতে এ তদন্ত চলমান। এসব নেটওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে, ন্যান্সি ওয়েনার এবং সুবাস কাপুরের মতো দাগি পাচারকারীরা। সুবাস কাপুর একজন প্রত্নসম্পদ ব্যবসায়ী, তাঁর নিউইয়র্ক গ্যালারির মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার মূল্যের শিল্পকর্ম লুটের নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি ১০ বছরের কা
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ। এই মেয়াদে তিনি হোয়াইট হাউসে তাঁর প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে বেছে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিটকে। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব লেভিট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহযোগী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগে