অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল প্রস্তাব করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউয়ের রাজনৈতিক সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হোক। গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন অবমাননার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এক ব্লগ পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোসেপ বোরেল বলেন, ‘গাজা যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান বারবার অবহেলিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগের মতো চলা সম্ভব নয়।’
জোসেপ বোরেল আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমি ইইউ সদস্য দেশগুলোকে প্রস্তাব দিয়েছি, (ফিলিস্তিনি অঞ্চলে) অবৈধ বসতি থেকে (উৎপাদিত পণ্য) আমদানি নিষিদ্ধ করতে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ স্থগিত করতে। আমরা এই প্রস্তাবগুলো আগামী সপ্তাহে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলে আলোচনা করব।’
ইইউ-ইসরায়েল সম্পর্ক উন্নয়নে হওয়া চুক্তির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংলাপ চালু হয়। এটি ২০০০ সালের জুন মাসে কার্যকর হয়। সংলাপ স্থগিতের জন্য ইইউ-র ২৭টি দেশকেই অনুমোদন দিতে হবে। ইইউ—এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। তার ঠিক আগে বোরেল এই অবস্থান ব্যক্ত করলেন।
বোরেল বলেন, ‘গাজায় মানুষ সবকিছুর অভাবে ভুগছে। অনেক অঞ্চলে মানুষের সুসংহত জীবনযাত্রা বজায় রাখার মতো কিছুই নেই।’ তিনি বলেন, ‘উত্তর গাজায় একসময় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস করত, কয়েক সপ্তাহের অনবরত বোমাবর্ষণের ফলে পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে। শেষ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলও ধ্বংস হয়েছে।’
বোরেল সতর্ক করে বলেন, পশ্চিম তীর ও লেবাননেও গাজার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা, আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ পালন করা, মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানানো, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও জাতিসংঘ তদন্তকারী দলকে গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া—এই সব বিষয়ে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই তালিকা এতই দীর্ঘ যে সব উল্লেখ করা সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে। এসব হামলা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে এর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চলছে।
বোরেল বলেন, ‘আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হলে আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে। যেখানে এই নিয়ম ভাঙা হয়, সেখানেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা, সন্ত্রাসী তালিকা, আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত কোনো কঠোর পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়নি।’
বোরেল বলেন, ‘এই অবস্থা বদলাতে হবে। এ কারণেই আমি অবৈধ বসতি থেকে পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছি। এটি আন্তর্জাতিক আদালতের সাম্প্রতিক মতামতের ভিত্তিতে করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, ইইউ-ইসরায়েল চুক্তির শর্তগুলো ইসরায়েল মানছে কি না তা মূল্যায়ন করতে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল প্রস্তাব করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউয়ের রাজনৈতিক সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হোক। গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন অবমাননার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এক ব্লগ পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোসেপ বোরেল বলেন, ‘গাজা যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান বারবার অবহেলিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগের মতো চলা সম্ভব নয়।’
জোসেপ বোরেল আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমি ইইউ সদস্য দেশগুলোকে প্রস্তাব দিয়েছি, (ফিলিস্তিনি অঞ্চলে) অবৈধ বসতি থেকে (উৎপাদিত পণ্য) আমদানি নিষিদ্ধ করতে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ স্থগিত করতে। আমরা এই প্রস্তাবগুলো আগামী সপ্তাহে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলে আলোচনা করব।’
ইইউ-ইসরায়েল সম্পর্ক উন্নয়নে হওয়া চুক্তির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংলাপ চালু হয়। এটি ২০০০ সালের জুন মাসে কার্যকর হয়। সংলাপ স্থগিতের জন্য ইইউ-র ২৭টি দেশকেই অনুমোদন দিতে হবে। ইইউ—এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। তার ঠিক আগে বোরেল এই অবস্থান ব্যক্ত করলেন।
বোরেল বলেন, ‘গাজায় মানুষ সবকিছুর অভাবে ভুগছে। অনেক অঞ্চলে মানুষের সুসংহত জীবনযাত্রা বজায় রাখার মতো কিছুই নেই।’ তিনি বলেন, ‘উত্তর গাজায় একসময় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস করত, কয়েক সপ্তাহের অনবরত বোমাবর্ষণের ফলে পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে। শেষ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলও ধ্বংস হয়েছে।’
বোরেল সতর্ক করে বলেন, পশ্চিম তীর ও লেবাননেও গাজার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা, আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ পালন করা, মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানানো, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও জাতিসংঘ তদন্তকারী দলকে গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া—এই সব বিষয়ে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই তালিকা এতই দীর্ঘ যে সব উল্লেখ করা সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে। এসব হামলা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে এর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চলছে।
বোরেল বলেন, ‘আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হলে আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে। যেখানে এই নিয়ম ভাঙা হয়, সেখানেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা, সন্ত্রাসী তালিকা, আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত কোনো কঠোর পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়নি।’
বোরেল বলেন, ‘এই অবস্থা বদলাতে হবে। এ কারণেই আমি অবৈধ বসতি থেকে পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছি। এটি আন্তর্জাতিক আদালতের সাম্প্রতিক মতামতের ভিত্তিতে করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, ইইউ-ইসরায়েল চুক্তির শর্তগুলো ইসরায়েল মানছে কি না তা মূল্যায়ন করতে।’
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের ‘পার্টনার’ বা সহযোগী দেশের মর্যাদা পেয়েছে ইন্দোনেশিয়া। রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্দর প্যানকিন এই তথ্য জানিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডও এই মর্যাদা পেয়েছে। তবে শেষোক্ত দেশ দুটির নাম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। রুশ
৪৩ মিনিট আগেগতকাল শুক্রবার ৪৮ তম কলকাতা বইমেলা ২০২৫–এর লোগো উদ্বোধন হয়। এবারের থিম জার্মান। আগামী ২৮ জানুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন। তবে এবার ১ হাজার ৫০টি স্টলের মধ্যে বাংলাদেশি কোনো স্টল নেই। আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর এবং কোটি কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করেছে। এমনটাই জানানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেসের (এআইপিসি) এক চিঠিতে। গত ১২ নভেম্বর ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে লেখা চিঠিতে এআইপিসির সভাপতি
৩ ঘণ্টা আগেশিল্পকর্ম লুটের নেটওয়ার্ক ধরতে এ তদন্ত চলমান। এসব নেটওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে, ন্যান্সি ওয়েনার এবং সুবাস কাপুরের মতো দাগি পাচারকারীরা। সুবাস কাপুর একজন প্রত্নসম্পদ ব্যবসায়ী, তাঁর নিউইয়র্ক গ্যালারির মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার মূল্যের শিল্পকর্ম লুটের নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি ১০ বছরের কা
৪ ঘণ্টা আগে