এএফপি, জেনেভা
ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছে ১৭২ দিন ধরে। এই হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘের যে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে, তাদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। বিভিন্ন দেশই এখন এই গণহত্যার অভিযোগ খতিয়ে দেখার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ফিলিস্তিনের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে গত সোমবার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন সময়ে গণহত্যার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে, যখন আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজার রাফাহ এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে হামলায় ৭৬ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৩২ হাজার ৪৯০ জন নিহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার ফিলিস্তিনের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত আলবানেজ তাঁর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই হামলা শুরুর পর থেকে গাজার বাসিন্দাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েল। এই গাজাবাসীদের ওপর হামলা করা যায়, তাদের মেরে ফেলা যায়, এমনকি তাদের ধ্বংস করে ফেলা যায়—এমনটাই ধরে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা ফিলিস্তিন থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের দূতেরা। ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে যাঁরা আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে মুসলিম ও আরব দেশের দূতেরা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন লাতিন আমরিকার দেশের দূতেরাও।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) হয়ে আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তান। ওআইসির পক্ষ থেকেও ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। আলবানেজ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে যখন এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, তখন সেখানে উপস্থিত পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যার তথ্য নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনার সাহসের প্রশংসা করি আমরা।’
আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে কথা বলেন মিসরের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের কাঠামোগত এবং পদ্ধতিগত আক্রমণ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তাঁরা। বৈঠকে উপসাগরীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে কাতার। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে যুদ্ধ চালাচ্ছে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের পদক্ষেপ চায় তারা।
যা বললেন আলবানেজ
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন আলবানেজ। তিনি বলেন, গাজা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যেটা হচ্ছে তাতে গণহত্যার অভিপ্রায় স্পষ্ট। আমরা সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারি না। আমাদের এর মুখোমুখি হতে হবে, এই গণহত্যা আমাদের ঠেকাতে হবে এবং এই পদক্ষেপ যারা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মানবাধিকার পরিষদের এই বৈঠকে ইসরায়েলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে গত মঙ্গলবারই তাঁর প্রতিবেদন খারিজ করেছে দেশটি। ইসরায়েলের দাবি, আলবানেজের এই প্রতিবেদন বাস্তবতা বর্জিত।
ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও আলবানেজের সমালোচনা করেছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রতিবেদন ইসরায়েলবিরোধী।
গাজায় ত্রাণ ফেলা অব্যাহত
এদিকে গাজায় ত্রাণ না ফেলতে আহ্বান জানিয়েছিল হামাস। তাদের দাবি, এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। তবে হামাসের এই বক্তব্য খারিজ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার এই কার্যক্রম চলবেই।
ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছে ১৭২ দিন ধরে। এই হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘের যে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে, তাদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। বিভিন্ন দেশই এখন এই গণহত্যার অভিযোগ খতিয়ে দেখার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ফিলিস্তিনের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে গত সোমবার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন সময়ে গণহত্যার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে, যখন আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজার রাফাহ এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে হামলায় ৭৬ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৩২ হাজার ৪৯০ জন নিহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার ফিলিস্তিনের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত আলবানেজ তাঁর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই হামলা শুরুর পর থেকে গাজার বাসিন্দাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েল। এই গাজাবাসীদের ওপর হামলা করা যায়, তাদের মেরে ফেলা যায়, এমনকি তাদের ধ্বংস করে ফেলা যায়—এমনটাই ধরে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা ফিলিস্তিন থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের দূতেরা। ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে যাঁরা আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে মুসলিম ও আরব দেশের দূতেরা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন লাতিন আমরিকার দেশের দূতেরাও।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) হয়ে আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তান। ওআইসির পক্ষ থেকেও ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। আলবানেজ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে যখন এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, তখন সেখানে উপস্থিত পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যার তথ্য নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনার সাহসের প্রশংসা করি আমরা।’
আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে কথা বলেন মিসরের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের কাঠামোগত এবং পদ্ধতিগত আক্রমণ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তাঁরা। বৈঠকে উপসাগরীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে কাতার। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে যুদ্ধ চালাচ্ছে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের পদক্ষেপ চায় তারা।
যা বললেন আলবানেজ
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন আলবানেজ। তিনি বলেন, গাজা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যেটা হচ্ছে তাতে গণহত্যার অভিপ্রায় স্পষ্ট। আমরা সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারি না। আমাদের এর মুখোমুখি হতে হবে, এই গণহত্যা আমাদের ঠেকাতে হবে এবং এই পদক্ষেপ যারা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মানবাধিকার পরিষদের এই বৈঠকে ইসরায়েলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে গত মঙ্গলবারই তাঁর প্রতিবেদন খারিজ করেছে দেশটি। ইসরায়েলের দাবি, আলবানেজের এই প্রতিবেদন বাস্তবতা বর্জিত।
ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও আলবানেজের সমালোচনা করেছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রতিবেদন ইসরায়েলবিরোধী।
গাজায় ত্রাণ ফেলা অব্যাহত
এদিকে গাজায় ত্রাণ না ফেলতে আহ্বান জানিয়েছিল হামাস। তাদের দাবি, এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। তবে হামাসের এই বক্তব্য খারিজ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার এই কার্যক্রম চলবেই।
চিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৩৭ মিনিট আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
৩ ঘণ্টা আগে