বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। এমন সময়ে দেশ দুটি এই আহ্বান জানাল যখন বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার কপ-২৭ সম্মেলন বসতে চলেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, আজ সোমবার সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, সৌদি আরবের প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে, আরব আমিরাতের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটাতে আরও ৩০ শতাংশ বেশি জ্বালানির প্রয়োজন হবে। তাঁরা উভয়েই জানান, তেল এখনো বিশ্বের জ্বালানি খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়ানো হলো বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমাতে কাজ করে যাবেন। 

সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুলাজিজ বিন সালমান আবু ধাবিতে এক জ্বালানি সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এবং আরব আমিরাত উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের জ্বালানি তেল রিফাইন করার ক্ষমতাও বাড়াচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জ্বালানি তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করতে যাচ্ছি।’ 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান অ্যাডনকের ব্যবস্থাপক সুলতান আল জাবের জানান, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ কারণে তেলকে জ্বালানি সরবরাহের মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে উভয় দেশ। তাঁরা কার্বন নির্গমন কমানো ও নবায়নযোগ্য বা কম দূষণকারী উৎস থেকে তেলের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত বছর কপ-২৬ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বে বর্তমানে যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে এ লক্ষ্য বজায় রাখাটা সম্ভব নয়।