অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ অক্টোবর ছিল এই হামলা শুরুর এক বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ‘নো দেয়ার নেমস’ বা ‘তাঁদের নাম জেনে রাখুন’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এই প্রতিবেদনে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিহত ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতদের বিভিন্ন পরিসংখ্যানসহ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময়ের সংঘাতে গাজায় অন্তত ৯০২টি পরিবার চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রতিবেদনটির শুরুতেই আল-নাজ্জার উপাধি বহন করা একটি পরিবারের কথা বলা হয়েছে। এটি গাজার একটি সাধারণ পরিবারের উপাধি। আরবি আল-নাজ্জার শব্দের অর্থ হলো—কাঠমিস্ত্রি।
একটি আল-নাজ্জার পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিল দুই মাস বয়সী জেইন। মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহতে বসবাস করত পরিবারটি। গত বছরের ১০ অক্টোবর তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জেইনসহ পরিবারের ১৮ সদস্য নিহত হন এবং আহত হন ২৩ জন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ারওয়ারসের তথ্যমতে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা শুরু করার পর থেকে অন্তত তিনটি আল-নাজ্জার পরিবার ১০ বা তার অধিক সদস্যকে হারিয়েছে। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে আল-নিজ্জার পরিবার ছিল ৩৯৩টি। প্রত্যেক সদস্যকে হারানো অন্য পরিবারগুলোর মধ্যে আল-মাসরি পরিবার ছিল ২২৬টি, আল-আস্তাল পরিবার ২২৫টি, আশুর ১৬৬টি, শাহীন ১৬৪টি, হামদান ১৫১টি, আল-মাদুন ১৪৬টি, আহমদ ১৪৫টি, ওবেদ ১৪৪টি এবং হিজাযি উপাধি ছিল নিশ্চিহ্ন ১৪১টি পরিবারের। গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি আল-আস্তাল পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারেরই তিন প্রজন্মের ৩৮ জন সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ছাড়াও ছিল ২০ শিশু।
এ ছাড়া পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না হয়ে মাত্র একজন সদস্য জীবিত আছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৩৬৪টি পরিবারে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৪১ হাজার ৯০৯ জনের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৫৬ জনই শিশু। নিহতদের বাইরে আরও হাজার হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজের তালিকায় আছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং আইডি নম্বরের বিবরণ দিয়ে বিস্তৃত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে আরও হাজার হাজার লাশ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১১৫ জন করে মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন শিশুর সংখ্যা ছিল ৪৬ এবং অন্তত ৩১ জন নারী ছিলেন। প্রতিদিন গড়ে পুরুষ মারা গেছে ৩৮ জন।
বর্তমানে গাজার অনেক শিশুই চলমান যুদ্ধে একাধিক আঘাতের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেছে। জন্ম থেকেই তারা ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে বসবাস করেছে। ১৭ হাজারের বেশি শিশু হয় বাবা নয়তো মা কিংবা উভয়কেই হারিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ অক্টোবর ছিল এই হামলা শুরুর এক বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ‘নো দেয়ার নেমস’ বা ‘তাঁদের নাম জেনে রাখুন’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এই প্রতিবেদনে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিহত ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতদের বিভিন্ন পরিসংখ্যানসহ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময়ের সংঘাতে গাজায় অন্তত ৯০২টি পরিবার চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রতিবেদনটির শুরুতেই আল-নাজ্জার উপাধি বহন করা একটি পরিবারের কথা বলা হয়েছে। এটি গাজার একটি সাধারণ পরিবারের উপাধি। আরবি আল-নাজ্জার শব্দের অর্থ হলো—কাঠমিস্ত্রি।
একটি আল-নাজ্জার পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিল দুই মাস বয়সী জেইন। মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহতে বসবাস করত পরিবারটি। গত বছরের ১০ অক্টোবর তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জেইনসহ পরিবারের ১৮ সদস্য নিহত হন এবং আহত হন ২৩ জন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ারওয়ারসের তথ্যমতে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা শুরু করার পর থেকে অন্তত তিনটি আল-নাজ্জার পরিবার ১০ বা তার অধিক সদস্যকে হারিয়েছে। পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে আল-নিজ্জার পরিবার ছিল ৩৯৩টি। প্রত্যেক সদস্যকে হারানো অন্য পরিবারগুলোর মধ্যে আল-মাসরি পরিবার ছিল ২২৬টি, আল-আস্তাল পরিবার ২২৫টি, আশুর ১৬৬টি, শাহীন ১৬৪টি, হামদান ১৫১টি, আল-মাদুন ১৪৬টি, আহমদ ১৪৫টি, ওবেদ ১৪৪টি এবং হিজাযি উপাধি ছিল নিশ্চিহ্ন ১৪১টি পরিবারের। গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি আল-আস্তাল পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারেরই তিন প্রজন্মের ৩৮ জন সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ছাড়াও ছিল ২০ শিশু।
এ ছাড়া পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না হয়ে মাত্র একজন সদস্য জীবিত আছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৩৬৪টি পরিবারে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৪১ হাজার ৯০৯ জনের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৫৬ জনই শিশু। নিহতদের বাইরে আরও হাজার হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজের তালিকায় আছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনের নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং আইডি নম্বরের বিবরণ দিয়ে বিস্তৃত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে আরও হাজার হাজার লাশ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১১৫ জন করে মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন শিশুর সংখ্যা ছিল ৪৬ এবং অন্তত ৩১ জন নারী ছিলেন। প্রতিদিন গড়ে পুরুষ মারা গেছে ৩৮ জন।
বর্তমানে গাজার অনেক শিশুই চলমান যুদ্ধে একাধিক আঘাতের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেছে। জন্ম থেকেই তারা ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে বসবাস করেছে। ১৭ হাজারের বেশি শিশু হয় বাবা নয়তো মা কিংবা উভয়কেই হারিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
২২ মিনিট আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
২ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে