কর্মচারীর বিয়েতে যোগ দিতে সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন সালেহ আল সেনাইদি। তিনি বাংলাদেশে এসে আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন। কর্মীর সঙ্গে বন্ধন মজবুত করতে এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন।

সৌদি নাগরিক সালেহ আল সেনাইদির বাংলাদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে গত বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গালফ নিউজ। 

সেনাইদি বলেন, এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই কর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ঢাকার অদূরেই ওই কর্মীর বাসা। ‘আমি তাঁকে পাঁচ বছর ধরে চিনি। তাঁর সততা ও কাজের দক্ষতার কারণে আমি তাঁর ওপর আস্থা রাখি।’

• পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে মেসি 

সৌদি আরবের অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাবককে সালেহ আল সেনাইদি বলেন, ‘কর্মীর সঙ্গে মালিকের দূরত্ব সংকুচিত করা এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য। আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এর মাধ্যমে অন্যান্য দেশের মানুষের আচার-অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওই কর্মী যখন আমাকে বিয়েতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানায়, আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই।’

বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন জানিয়ে সালেহ বলেন, গ্রামের অনেক মানুষই ছুটে এসেছিলেন এবং লাঞ্চ, ডিনার ও চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন।

• এক ভিসাতেই মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ ভ্রমণের সুবিধা আসছে

সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছুটা মিল আছে মন্তব্য করে সালেহ আল সেনাইদি বলেন, পরিবার, আত্মীয়দের নিয়ে গাড়িতে চড়ে বর যান কনের বাড়িতে। কনের বাড়িতে হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। বিষয়টির সঙ্গে তিনি সৌদির সংস্কৃতির মিল খুঁজে পেয়েছেন।

কর্মীদের সঙ্গে ভালো আচরণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তাঁরাও আপনাদের ভাই। সুতরাং তাঁদের ছোট করে দেখবেন না। তাঁরাও আপনাদের মতোই মানুষ। কিন্তু জীবনের কঠোর বাস্তবতায় তাঁরা নিজ দেশ ও পরিবার ছেড়ে প্রবাসজীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও পড়ুুন: 

• ফ্লাইটের টিকিট কাটলেই সৌদি আরবের ভিসা ফ্রি
• ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া যাবে যেসব দেশে
• সৌদি আরবে ই-ভিসা চালু, প্রথম সুবিধাভোগী বাংলাদেশিরা