অনলাইন ডেস্ক
নেতানিয়াহুর সরকার গাজা নিয়ে যুদ্ধপরবর্তী কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বেনি গান্টজ। যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনার জন্য তিনি ছয় দফা প্রস্তাবনাও দিয়েছেন। প্রস্তাবিত কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ৮ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গান্টজের অন্যতম দাবি হলো—গাজায় হামাস শাসনের অবসান ও সেখানে আমেরিকা-ইউরোপিয়ান-আরব-ফিলিস্তিনের একটি বহুজাতিক কোয়ালিশন প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে কোনোভাবেই সেই সরকারে হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাহমুদ আব্বাস থাকতে পারবেন না।’
গান্টজ বলেন, ‘আপনি (নেতানিয়াহু) ব্যক্তিস্বার্থের ওপর জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে এই সংগ্রামে আমাদের পাশে পাবেন। কিন্তু ধর্মান্ধদের পথ অনুসরণ করে পুরো জাতিকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হব।’
তবে নেতানিয়াহু গান্টজের মন্তব্যকে ‘উড়ো কথা’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, গান্টজের দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ ইসরায়েলের পরাজয়।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফাহ ও উত্তরের শরণার্থীশিবির জাবালিয়ায় তীব্র আক্রমণ চালানোর মধ্যে যুদ্ধের নীতি নির্ধারণ নিয়ে ইসরায়েলের রাজনীতিতে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে। যদিও জাবালিয়াকে আগেই হামাসমুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছিল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত নেতানিয়াহুকে অনুরোধ করেন, গাজায় সামরিক–বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের—জনসমক্ষে এমন ঘোষণা দেওয়ার।
গালান্ত বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে বারবার বিষয়টি উত্থাপন করলেও এর কোনো সদুত্তর পাননি তিনি।’
ইয়োভ গালান্ত ও বেনি গান্টজ মনে করেন, গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকলে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করবে। তবে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী জোট সমর্থকেরা মনে করেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।
গতকাল শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে গান্টজ বলেন, ‘দেশের মানুষ কিন্তু আপনাকে দেখছে। আপনাকে অবশ্যই ইহুদিবাদ অথবা নৈরাশ্যবাদ, ঐক্য অথবা বিভাজন, দায়িত্ব অথবা অনাচার, বিজয় অথবা বিপর্যয়ের মধ্যে থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।’
গান্টজের ছয়টি কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণের মধ্যে আরও রয়েছে, হামাসের হাতে বন্দী সকল ইসরায়েলি ও বিদেশি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তুচ্যুত সকল ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের উত্তর গাজায় ফিরিয়ে আনা। সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এর লক্ষ্য হবে আরব বিশ্বকে ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করা।
এই ভাষণের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর (গান্টজ) দাবি মানলে যুদ্ধের অবসান হবে ঠিকই তবে তা ইসরায়েলের জন্য লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে আসবে। বেশির ভাগ জিম্মিকে আমাদের ফেলে আসতে হবে গাজায়, হামাস থাকবে শক্তিশালী এবং ফিলিস্তিন পাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের তকমা।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামাস ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা ও অনেককে জিম্মি করলে ইসরায়েল সরকার এই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।
নেতানিয়াহুর সরকার গাজা নিয়ে যুদ্ধপরবর্তী কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বেনি গান্টজ। যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনার জন্য তিনি ছয় দফা প্রস্তাবনাও দিয়েছেন। প্রস্তাবিত কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ৮ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গান্টজের অন্যতম দাবি হলো—গাজায় হামাস শাসনের অবসান ও সেখানে আমেরিকা-ইউরোপিয়ান-আরব-ফিলিস্তিনের একটি বহুজাতিক কোয়ালিশন প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে কোনোভাবেই সেই সরকারে হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাহমুদ আব্বাস থাকতে পারবেন না।’
গান্টজ বলেন, ‘আপনি (নেতানিয়াহু) ব্যক্তিস্বার্থের ওপর জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে এই সংগ্রামে আমাদের পাশে পাবেন। কিন্তু ধর্মান্ধদের পথ অনুসরণ করে পুরো জাতিকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হব।’
তবে নেতানিয়াহু গান্টজের মন্তব্যকে ‘উড়ো কথা’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, গান্টজের দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ ইসরায়েলের পরাজয়।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফাহ ও উত্তরের শরণার্থীশিবির জাবালিয়ায় তীব্র আক্রমণ চালানোর মধ্যে যুদ্ধের নীতি নির্ধারণ নিয়ে ইসরায়েলের রাজনীতিতে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে। যদিও জাবালিয়াকে আগেই হামাসমুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছিল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত নেতানিয়াহুকে অনুরোধ করেন, গাজায় সামরিক–বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের—জনসমক্ষে এমন ঘোষণা দেওয়ার।
গালান্ত বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে বারবার বিষয়টি উত্থাপন করলেও এর কোনো সদুত্তর পাননি তিনি।’
ইয়োভ গালান্ত ও বেনি গান্টজ মনে করেন, গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকলে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করবে। তবে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী জোট সমর্থকেরা মনে করেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।
গতকাল শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে গান্টজ বলেন, ‘দেশের মানুষ কিন্তু আপনাকে দেখছে। আপনাকে অবশ্যই ইহুদিবাদ অথবা নৈরাশ্যবাদ, ঐক্য অথবা বিভাজন, দায়িত্ব অথবা অনাচার, বিজয় অথবা বিপর্যয়ের মধ্যে থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।’
গান্টজের ছয়টি কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণের মধ্যে আরও রয়েছে, হামাসের হাতে বন্দী সকল ইসরায়েলি ও বিদেশি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তুচ্যুত সকল ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের উত্তর গাজায় ফিরিয়ে আনা। সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এর লক্ষ্য হবে আরব বিশ্বকে ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করা।
এই ভাষণের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর (গান্টজ) দাবি মানলে যুদ্ধের অবসান হবে ঠিকই তবে তা ইসরায়েলের জন্য লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে আসবে। বেশির ভাগ জিম্মিকে আমাদের ফেলে আসতে হবে গাজায়, হামাস থাকবে শক্তিশালী এবং ফিলিস্তিন পাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের তকমা।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামাস ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা ও অনেককে জিম্মি করলে ইসরায়েল সরকার এই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
২০ মিনিট আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২ ঘণ্টা আগে