ব্রাজিলে বন্ধ হলো ইলন মাস্কের এক্স 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১১: ২৬
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১১: ৫০

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে বন্ধ হয়ে গেছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স। দেশটির আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ এক্স বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারক আলেসান্দ্রে দি মোরায়েস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেসান্দ্রে দি মোরায়েস কিছুদিন আগে এক্স কর্তৃপক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ব্রাজিলে প্রতিষ্ঠানটির নতুন বৈধ প্রতিনিধি পাঠাতে। তবে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাউকে পাঠায়নি এক্স। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার মোরায়েস ব্রাজিলে ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ এক্স বন্ধের নির্দেশ দেন। 

বিচারক মোরায়েস তাঁর আদেশে ব্রাজিলে অতি দ্রুত এক্সকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে শর্ত রাখেন যে, যখন এক্স কর্তৃপক্ষ আদালতের সবগুলো আদেশ প্রতিপালন করবে, তখন আবারও প্ল্যাটফরমটি চালু করা যাবে। তার আগে এটি বন্ধই থাকবে। 

ব্রাজিলীয় আদালতের এই সিদ্ধান্তকে বাক্‌স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছেন এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ‘বাক্‌স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং ব্রাজিলের একজন অনির্বাচিত ছদ্মবিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটিকে ধ্বংস করছেন।’ 

চলতি বছরে এপ্রিলে এক্সের সঙ্গে ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্বের শুরু। সে সময় ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেসান্দ্রে দি মোরায়েস অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে বেশ কয়েক ডজন এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রতিক্রিয়ায় ইলন মাস্ক বিচারক মোরায়েসকে ‘স্বৈরাচার’ ও ‘একনায়ক’ বলে আখ্যা দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, এসব অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা হবে। 

মাস্কের হুমকির পর বিচারক মোরায়েস এক্সকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ব্রাজিলে কোম্পানিটির নতুন আইনি প্রতিনিধি দল পাঠাতে। অন্যথায় নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি পড়তে হবে বলেও নির্দেশ দেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। 

বিচারপতি মোরায়েস তাঁর আদেশে বলেন, যতক্ষণ না এক্স কর্তৃপক্ষ নতুন আইনি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে এবং ব্রাজিলের আইন লঙ্ঘন করায় যে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে তা পরিশোধ না করবে, ততক্ষণ এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তবে সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরপরই নিজেদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট শেয়ার করে এক টুইটে এক্স জানিয়েছে, তারা এই নির্দেশ মানবে না। 

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই এক্স ব্রাজিল থেকে তার কার্যালয় গুটিয়ে নিয়েছে। এর কারণ হিসেবে এক্স অভিযোগ করে বলেছে, ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ মেটাকে ‘সেন্সরশিপ’ করতে বলেছিল, কিন্তু মেটা কর্তৃপক্ষ সেটি করতে রাজি না হওয়ায় কর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত