ব্রাজিলে জরিমানার পর মুক্ত হলো এক্স ও স্টারলিংকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ৪৭
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১: ৪৭

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টার লিংকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি দুটি ৩০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার পর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেসান্দ্রে দি মোরায়েস স্থানীয় সময় গতকাল এই নির্দেশ দেন। এক বিবৃতিতে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, ব্রাজিল সরকার এক্সের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭২ লাখ ব্রাজিলিয়ান রেইস (১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার) এবং স্টারলিংকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ব্রাজিলিয়ান রেইস (১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা পেয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জরিমানার পুরো অর্থ পরিশোধের পর বিচারপতি (দি মোরায়েস) বিবেচনা করেছিলেন যে, এক্স ও স্টারলিংকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই এবং তাই তিনি অবিলম্বে (স্টারলিংক ও এক্সের) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট/আর্থিক সম্পদ অবমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।’

চলতি বছরের এপ্রিলে এক্সের সঙ্গে ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্বের শুরু। সে সময় ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেসান্দ্রে দি মোরায়েস অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে বেশ কয়েক ডজন এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রতিক্রিয়ায় ইলন মাস্ক বিচারক মোরায়েসকে ‘স্বৈরাচার’ ও ‘একনায়ক’ বলে আখ্যা দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, এসব অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা হবে। 

মাস্কের হুমকির পর বিচারক মোরায়েস এক্সকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ব্রাজিলে কোম্পানিটির নতুন আইনি প্রতিনিধি দল পাঠাতে। অন্যথায় নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি পড়তে হবে বলেও নির্দেশ দেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। 

বিচারপতি মোরায়েস তাঁর আদেশে বলেন, যতক্ষণ না এক্স কর্তৃপক্ষ নতুন আইনি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে এবং ব্রাজিলের আইন লঙ্ঘন করায় যে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে তা পরিশোধ না করবে, ততক্ষণ এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এক্সের পাশাপাশি বিচারক স্টারলিংকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরপরই নিজেদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট শেয়ার করে এক টুইটে এক্স জানিয়েছিল, তারা এই নির্দেশ মানবে না। 

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই এক্স ব্রাজিল থেকে তার কার্যালয় গুটিয়ে নিয়েছে। এর কারণ হিসেবে এক্স অভিযোগ করে বলেছে, ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ মেটাকে ‘সেন্সরশিপ’ করতে বলেছিল, কিন্তু মেটা কর্তৃপক্ষ সেটি করতে রাজি না হওয়ায় কর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়।

আরও পড়ৃন

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত